তারা জানাবে বর্ষবরণের উৎসবের কথা বিশ্বে
প্রকাশিত : ২২:২০, ১৪ এপ্রিল ২০১৯ | আপডেট: ২২:২১, ১৪ এপ্রিল ২০১৯

বিদেশি ২৬ সাংবাদিক ও ট্যুর অপারেটর বাঙালিদের প্রাণের উৎসব পহেলা বৈশাখের আনন্দে মাতলেন। ১০ দেশের এরা সাংবাদিক। রোববার বাংলা নববর্ষ ১৪২৬ বরণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের বিশ্ব ঐতিহ্য মঙ্গল শোভাযাত্রায় যোগ দেন তারা। নিজেদের দেশে ফিরে এই চমৎকার অভিজ্ঞতা লিখবেন তারা বলে জানা গেছে। ফলে বর্ষবরণের রঙিন উৎসবের গল্প তাদের চোখে জানবে বিশ্ব।
বিদেশি তরুণেরা পাঞ্জাবি ও নারীরা সালোয়ার কামিজ পরেন। তাদের পোশাকের নকশায় বৈশাখী দেখা গেছে ছোঁয়া। মঙ্গল শোভাযাত্রায় সব বয়সের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার হাজারও মানুষের মধ্যে যেন তাদের আলাদা করার উপায় নেই। ঢাকের বাদ্যের তালে তালে তারাও নেচেছেন। বড় আকারের বাহারি মুখোশ, শোলার পাখি আর ট্যাপা পুতুল দেখে অনেক ছবি তুলেছেন বিদেশিরা।
বৈশাখী আায়োজনকে ঘিরে বাংলাদেশকে বিশ্বের সামনে তুলে ধরতে ১০ দেশের ২৬ জন সাংবাদিক ও ট্যুর অপারেটরকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে বাংলাদেশ পর্যটন বোর্ড। এ আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে ১৩ এপ্রিল ঢাকায় আসেন তারা। ২৩ এপ্রিল পর্যন্ত বাংলাদেশের দর্শনীয় স্থানগুলো তাদের ঘুরে দেখাবে পর্যটন বোর্ড। এর মধ্যে রয়েছে সুন্দরবন, কক্সবাজার, ষাট গম্বুজ মসজিদ, লালনের মাজার, বান্দরবান ও ঢাকার পানাম সিটি। নিজেদের দেশে ফিরে গিয়ে এসব অভিজ্ঞতা সংবাদমাধ্যমে তুলে ধরবেন তারা। এই দলে আছেন জাপান, থাইল্যান্ড, চীন, যুক্তরাজ্য, বেলজিয়াম, দক্ষিণ কোরিয়া, লেবানন, নেদারল্যান্ড, ইতালি, স্পেনের প্রতিনিধিরা।
বেলজিয়ামের শার্লোত নায়েলের অনুভূতি এমন, এদেশের মানুষের আতিথেয়তা আমাকে মুগ্ধ করেছে। মানুষজন আমাদের আন্তরিকভাবে আপন করে নিয়েছে।
মঙ্গল শোভাযাত্রার বৃহৎ আয়োজনে ছিল কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা। সেটি উল্লেখ করে নেদারল্যান্ডের আলেকজান্ডার বলেন, আইনশৃঙখলা বাহিনীর উপস্থিতি ছিল ব্যাপক। ফলে নিরাপত্তা নিয়ে মনে কোনও শঙ্কা ছিল না। এত বড় আয়োজন, এত মানুষ, এত রঙ; সব মিলিয়ে অসাধারণ অভিজ্ঞতা।
বিদেশি সাংবাদিকদের সঙ্গে ছবি ও সেলফি তুলেছেন বাংলাদেশিরাবাঙালির প্রাণের উৎসব পহেলা বৈশাখের মঙ্গল শোভাযাত্রা স্থান করে নিয়েছে ইউনেস্কোর বিশ্ব সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের তালিকায়। এর সুবাদে বাংলা নববর্ষ নিয়ে বিদেশি ভ্রমণপিপাসুদের মধ্যে আগ্রহ তৈরি করতে এই উদ্যোগ বলে জানান পর্যটন বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা. ড. ভুবন চন্দ্র বিশ্বাস।
এসএইচ/
আরও পড়ুন