ঢাকা, শনিবার   ১২ জুলাই ২০২৫

বাংলাদেশ ঝুঁকিতে থাকলেও হামলার আশঙ্কা নেই: মনিরুল

প্রকাশিত : ১৭:২৭, ২৭ এপ্রিল ২০১৯

Ekushey Television Ltd.

বৈশ্বিক ঝুঁকির পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ ঝুঁকিতে থাকলেও হামলার কোনো আশঙ্কা নেই বলে জানিয়েছেন পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম। তবে দেশে কোনো হুমকি বা হামলার তথ্য এখন পর্যন্ত তাদের কাছে নেই।

শনিবার মিন্টু রোডে নিজের কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মনিরুল এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গে হামলার বিষয়ে আইএস হুঁশিয়ারি দেয় বলে ভারতীয় গণমাধ্যম ইন্ডিয়ান টাইমস এক প্রতিবেদনে জানায়। তারপরই সিটিটিসি প্রধানের এ বক্তব্য এলো।

মনিরুল ইসলাম বলেন, নিউজিল্যান্ডে হামলার পর আমাদের দেশের জঙ্গি সংগঠনের মধ্যে একটি প্রতিশোধপরায়ণ প্রবণতা জেগে উঠেছে। আমাদের বিভিন্ন ইন্টেলিজেন্সির মাধ্যমে কিছু তথ্য পেয়েছি। তবে হামলার জন্য যে পরিমাণ সরঞ্জামের প্রয়োজন সেগুলো জোগাড় করা অনেক সময়ের ব্যাপার।

তিনি বলেন, ইতিপূর্বে আমাদের বিভিন্ন অভিযানে তাদের সাংগঠনিক সক্ষমতা অনেকটা ভেঙে গেছে। তবে শ্রীলঙ্কায় হামলার ঘটনার পর থেকে নিঃসন্দেহে তারা ইন্সপায়ার হয়েছে। তবে হামলার জন্য সাংগঠনিক কাঠামো, মনোবল ও সরঞ্জাম তাদের নেই।

শ্রীলঙ্কা থেকে ঢাকায় ফেরা ১১ শ্রমিককে জিজ্ঞাসাবাদের বিষয়ে তিনি বলেন, শ্রীলঙ্কা থেকে ফেরত ১১ বাংলাদেশি শ্রমিক সেখানকার ইব্রাহিম ইনসাফ আহমেদের কলসাস মেটাল নামে একটি পিতলের কারখানায় তৈজসপত্র তৈরির কাজ করতেন। হামলার ঘটনায় ওই ফ্যাক্টরির মালিক নিহত হয়েছেন। ওই ১১ জন মূলত ট্যুরিস্ট ভিসায় সেখানে গিয়ে ওয়ার্ক পারমিট ছাড়া কাজ করছিলেন। অনেকের আবার ভিসার মেয়াদও ছিল না। শ্রীলঙ্কার কর্তৃপক্ষ তাদের অ্যাম্বাসির মাধ্যমে বাংলাদেশে ফেরত পাঠিয়েছে। সেখানে আরও অন্যান্য দেশের শ্রমিকরা ছিল তাদেরও ফেরত পাঠানো হয়েছে।

তাদের জিজ্ঞাসাবাদের বিষয়ে তিনি বলেন, আমরা এই ১১ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করছি। যে সন্ত্রাসী মারা গেছে তার সম্পর্কে এবং তার আত্মীয়দের সম্পর্কে জানার চেষ্টা করছি। এখন পর্যন্ত জিজ্ঞাসাবাদে তারা কিছুই জানাতে পারেনি। তারা মালিককে দু-চার বার দূর থেকে দেখেছে; তবে মালিকের সঙ্গে তাদের যোগাযোগ করার কোনো সুযোগ হয়নি বলে জানিয়েছে।

তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত আমরা জেনেছি এই হামলা ও ফ্যাক্টরির মালিকের সঙ্গে তাদের কোনো সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়নি। তবে এখনও জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। কোনো সংশ্লিষ্টতা না পেলে তাদের বিরুদ্ধে কোনো আইনি ব্যবস্থা নেয়ার সুযোগ নেই।

শ্রীলঙ্কায় হামলার বিষয়ে এ পর্যন্ত তারা কোনো তথ্য দিতে পারেনি। এছাড়া বাংলাদেশে এই ১১ জনের এখন পর্যন্ত কোনো ক্রিমিনাল রেকর্ড পাওয়া যায়নি। তবে সেটির বিষয়েও খোঁজখবর নেয়া হচ্ছে। আপাত দৃষ্টিতে মনে হয়েছে শ্রীলঙ্কার হামলা ও হামলাকারীর সঙ্গে তাদের কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই।

আরকে//


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি