টিআইবির প্রতিবেদনের ব্যাখ্যা চাইবে শ্রম মন্ত্রণালয়
প্রকাশিত : ১৯:৩২, ২৭ এপ্রিল ২০১৯

নতুন কাঠামোতে পোশাক শ্রমিকদের মজুরি বাড়েনি, উল্টো ২৬ শতাংশ কমেছে বলে টিআইবি যে প্রতিবেদন দিয়েছে তার ব্যাখ্যা চাওয়া হবে বলে জানিয়েছেন শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মন্নুজান সুফিয়ান। শনিবার সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেইফটি দিবস উদযাপন নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান তিনি।
এর আগে গত ২৩ এপ্রিল ‘তৈরি পোশাক খাতে সুশাসন : অগ্রগতি ও চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক এক গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করে বেসরকারি গবেষণা সংস্থা ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। সংস্থাটি ওই প্রতিবেদনে বলেছে, আইন অনুযায়ী প্রতিবছর পাঁচ শতাংশ হারে মজুরি বাড়ানোর নিয়ম রয়েছে। এ হিসাবে পোশাক শ্রমিকদের মজুরি বাড়েনি, বাস্তবিক অর্থে সার্বিকভাবে ২৬ শতাংশ কমানো হয়েছে।
টিআইবির এ প্রতিবেদনের বিষয়ে জানতে চাইলে শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বলেন, ২০১৩ সালে আমরা যখন মজুরি কাঠামো দেই, তখন শেষ পর্যন্ত বার্গেনিং প্রধানমন্ত্রীই করেন। মালিকরা তো মজুরি বাড়াইতেই চান না। সেই সময় ন্যূনতম মজুরি ঘোষণা করা হয় ৫ হাজার ৩০০ টাকা। ওই সময়ই প্রথম ৫ শতাংশ করে ইনক্রিমেন্ট যোগ করেছি।
তিনি আরো বলেন, এবার মজুরি ৫ হাজার ৩০০ টাকা থেকে ৮ হাজারে উন্নীত হয়েছে। এটাও কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে হয়েছে। আমি এবার আসার পর দেখলাম মজুরি ঘোষণা নিয়ে শ্রমিকদের মধ্যে অসন্তোষ আছে। আমি দেখলাম ৩, ৪, ৫ নম্বর গ্রেড পর্যন্ত মজুরি হিসাব অনুযায়ী কমে গেছে, বাড়েনি। আমরা এ বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীর কাছে নিয়ে যাই এবং মালিকরাও সম্মত হয়। পরবর্তী সময়ে ৫ শতাংশ ইনক্রিমেন্ট যোগ করে দেয়া হয়। কিছু কিছু জায়গায় বাড়তিও দেয়া হয়। মূল বেতন ৮ হাজারের সঙ্গে বাড়িভাড়া ভাতা, চিকিৎসা ভাতা ও যাতায়াত ভাতা যোগ হবে।
টিআইবির কাছে কোনো ব্যাখ্যা চাওয়া হবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, অবশ্যই আমরা চাইব। কেন চাইব না। শ্রমিক ঠকুক, বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনা তো এটা কোনোদিনও মেনে নেবেন না।
আরকে//
আরও পড়ুন