ঢাকা, রবিবার   ২৭ জুলাই ২০২৫

একাত্তরের ইতিহাসে গণহত্যার ঘটনাপ্রবাহ উঠে আসেনি গভীরভাবে

প্রকাশিত : ১০:০৮, ১২ ডিসেম্বর ২০১৬ | আপডেট: ১০:০৮, ১২ ডিসেম্বর ২০১৬

Ekushey Television Ltd.

মুক্তিযুদ্ধে গৌরব আর বীরত্বের ইতিহাস যতটা উচ্চারিত, ততটাই উপেক্ষিত গণহত্যা, বধ্যভূমি আর নির্যাতনের ইতিহাস। ফলে অজানাই থেকে গেছে মুক্তিযুদ্ধের অনেক ঘটনা প্রবাহ ও আঙ্গিক। গণহত্যার নিদর্শন, তথ্যপ্রমান, কথ্য ইতিহাস সংরক্ষণে খুলনায় প্রতিষ্ঠিত হয়েছে গণহত্যা-নির্যাতন আর্কাইভ ও জাদুঘর। শুধু ইতিহাস সংরক্ষণ নয়, নতুন ইতিহাসের খোঁজে কাজ করে যাবে এই সংগ্রহশালা ও জাদুঘরটি-বললেন এর কর্ণধার অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন। মুক্তিযুদ্ধে রক্তক্ষয়ী সংগ্রামে প্রাণ দিতে হয়েছে ত্রিশ লাখ মানুষকে। যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছেন দুই লক্ষাধিক বীরাঙ্গনা। পচিশ লাখ মানুষের পঙ্গুত্ব আর এককোটি শরনার্থির চরম বিপন্নতা ও আত্মত্যাগের বিনিময়ে আসে স্বাধীনতা। অথচ মুক্তিযুদ্ধের সংরক্ষিত ইতিহাসে গণহত্যার ঘটনাপ্রবাহ উঠে আসেনি গভীরভাবে। এমন সীমাবদ্ধতা দূর করতে, খুলনায় সাউথ সেন্ট্রাল রোডে দ্বিতল বাড়িসহ ১৭ শতক জমির ওপর গড়ে উঠেছে গণহত্যা আর্কাইভ ও জাদুঘর। যা দক্ষিণ এশিয়ার একমাত্র গণহত্যা জাদুঘর। গণহত্যার নির্মম চিত্র, পাঠাগার, মুক্তিযোদ্ধাদের ব্যবহৃত নানা অনুসঙ্গ দিয়ে শুরু করা জাদুঘরটি ধীরে আরো সমৃদ্ধ করতে কাজ করছেন উদ্যেক্তারা। জাদুঘরটির স্বপ্নদ্রষ্টা মুনতাসীর মামুন জানালেন কেন জরুরী ছিল এমন একটি গণহত্যা আর্কাইভ প্রতিষ্ঠার। গণহত্যার নিদর্শন রক্ষায় জাদুঘরটির রয়েছে নানামুখি গবেষণা ও বিশাল কর্মযজ্ঞ। চালু হয়েছে আইপি টেলিভিশন। দেশের বাইরেও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ছড়িয়ে দিতে ত্রিপুরার চোত্তাখোলায় ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী উদ্যানে জাদুঘরটি মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক ভাস্কর্য নির্মাণে রাখে ভূমিকা। গণহত্যার নিদর্শন সংরক্ষণ করতে পারলে মূর্ত হয়ে উঠবে পাকিস্তানি বাহিনী ও তাদের এদেশীয় দোসরদের বিভৎস নির্যাতনের ইতিহাস।
Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি