ঢাকা, সোমবার   ২০ মে ২০২৪

শেখ হাসিনার ৭৩তম জন্মদিন পালিত

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০০:০০, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯

রক্তস্নাত বাংলায় স্বজন হারানোর শোক বুকে চেপে আন্দোলন-সংগ্রামে গণতন্ত্রের পথযাত্রায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ বিশ্বনেতা। তার নেতৃত্বেই সব সূচকেই বাংলাদেশ এখন বিশ্বের কাছে রোল মডেল। শনিবার ৭৩ বছরে পা রেখেছেন বঙ্গবন্ধু কন্যা।

রাজনীতির পথচলায় নানা ঘাত প্রতিঘাত পেরিয়ে জাতির পিতার স্বপ্নের উন্নত সমৃদ্ধ দেশ গঠনে এগিয়ে যাচ্ছেন রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা। 
জন্ম ২৮ সেপ্টেম্বর ১৯৪৭ সালে গোপালগঞ্জের টুঙ্গীপাড়ায়। শেখ মুজিবুর রহমান ও ফজিলাতুননেসা মুজিবের প্রথম সন্তান শেখ হাসিনা। পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দৃঢ়তা, দেশপ্রেম ও মানবকল্যাণের ব্রত ধারণ করেছিলেন শৈশবেই। 

রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান হিসেবে ছাত্রজীবন থেকেই প্রত্যক্ষ রাজনীতিতে হাতেখড়ি তার। দেশি-আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রে ৭৫ এর ১৫ আগস্ট গোটা পরিবারকেই হারিয়েছেন তিনি। ছোটো বোন শেখ রেহানাকে নিয়ে বিদেশে থাকায় বেঁচে যান শেখ হাসিনা। তারপর থেকেই নির্বাসিত জীবন।

১৯৮১ সালে বিদেশে থাকা অবস্থাতেই সর্বসম্মতিক্রমে আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হন শেখ হাসিনা। ওই বছরের ১৭ মে ফিরে আসেন দেশে। শুরু হয় গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের সংগ্রাম। চলার পথ কখনওই সহজ ছিলো না। সামরিক স্বৈরাচারের রোষানলে পড়ে বারবার কারা বরণ করেছেন তিনি। হয়েছেন জঙ্গিদের টার্গেট।

সব ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে ১৯৯৬ সালের জাতীয় নির্বাচনে জয়ী হয়ে সরকার গঠন করেন। এক মেয়াদ বিরতি এবং সেনা সমর্থিত শাসনের পর ২০০৮ সালে গণতন্ত্রের অভিযাত্রায় শেখ হাসিনার ওপরই আস্থা রাখে জনগণ।
 
দেশে শুরু হয় উন্নয়নের মহাযজ্ঞ। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার, বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের হত্যাকারীদের বিচার করে দেশকে কলঙ্কমুক্ত করেছেন। টানা তিন মেয়াদে বিশ্বের কাছে নিজেকে তুলে ধরেছেন অনন্য উচ্চতায়।

স্বীকৃতি হিসেবে পেয়েছেন ৩৮টি আন্তর্জাতিক পুরস্কার ও সম্মাননা। পিতা বঙ্গবন্ধুর নেত্বত্বের সম্মোহনী শক্তি কন্যা শেখ হাসিনাকে পরিণত করেছে বিশ্বনেতায়।

দেশের মানুষের উন্নত জীবন নিশ্চিত করাই তার লক্ষ্য। তিনি একজন মা, একজন বোন, একজন রাজনীতিবিদ ও রাষ্ট্রনায়ক- শেখ হাসিনা।

জন্মদিনে দলীয় নেতাকর্মী ও জনগণের ভালোবাসায় সিক্ত হলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ উপলক্ষে শনিবার বিভিন্ন আলোচনা সভায় আওয়ামী লীগ নেতারা বলেন, দুর্নীতি, সন্ত্রাস, টেন্ডারবাজী, চাঁদাবাজী ও ক্যাসিনোর বিরুদ্ধে প্র্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শুদ্ধি অভিযান সময়োপযোগী। গুটি কয়েক অপরাধীর জন্য সরকারের উন্নয়নকে ম্লান হতে দেয়া যাবে না বলেও জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতারা।  

এদিন রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে আলোচনা সভা। যেখানে যোগ দেন ওবায়দুল কাদের, তোফায়েল আহমেদ, মতিয়া চৌধুরী, আমির হোসেন আমু, মাহবুব উল আলম হানিফসহ আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতারা। 

বক্তৃতায় আওয়ামী লীগ নেতারা বলেন, বাংলাদেশকে উন্নয়নের চাদরে ঢেকে দেয়া এক নেতৃত্বের নাম শেখ হাসিনা। তার অসামান্য নেতৃত্বের কারণে বদলে গেছে দেশ। তার হাতেই নিরাপদ বাংলাদেশ।  
 
গুটি কয়েক অপরাধী ও দুর্নীতিবাজের জন্য সরকারের উন্নয়নকে ম্লান হতে দেয়া যাবে না বলেও মন্তব্য করেন দলটির নেতারা।

এদিকে শেখ হাসিনার জন্মদিন উপলক্ষে জাতীয় জাদুঘরে আলোচনা সভার আয়োজন করে শেখ রাসেল জাতীয় শিশু-কিশোর পরিষদ। যেখানে উপস্থিত ছিলেন অর্থমন্ত্রী আহম মুস্তফা কামাল, আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক, কে এম  শহিদুল্লাহসহ আরো অনেকে। 

সভায় উঠে আসে বঙ্গবন্ধু কন্যার রাজনৈতিক জীবনের নানা দিক। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ২০৩০ সালের মধ্যে দেশ থেকে দারিদ্র্য বিদায় নেবে, কোনও মানুষ গরীব থাকবে না বলে জানান বক্তারা।

এছাড়া বঙ্গবন্ধু কন্যার জন্মদিন উদযাপন করে বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন ও প্রজন্ম ৭১ সাংস্কৃতিক সংগঠন। রাজধানীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, শেখ হাসিনার হাত ধরে উন্নয়নের প্রতিটি সূচকে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। কোনও অপশক্তির কারণে সরকারের এই উন্নয়নের চাকা থামতে দেয়া হবে না বলেও জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। 
 

এনএস/আরকে


Ekushey Television Ltd.





© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি