দেশে বিকল্প পুষ্টির নামে তৈরি করা পণ্য আমদানির কোনো নীতিমালাই নেই
প্রকাশিত : ১২:১১, ২৪ ডিসেম্বর ২০১৬ | আপডেট: ১২:১১, ২৪ ডিসেম্বর ২০১৬
দেশে ফুড সাপ্লিমেন্ট বা বিকল্প পুষ্টির নামে তৈরি করা পণ্য আমদানির কোনো নীতিমালাই নেই। তাই বাজারজাত ও বিক্রির কোনো প্রশ্নই ওঠে না। তারপরও এক শ্রেণীর ব্যবসায়ী ফুড সাপ্লিমেন্টের ব্যবসা করে কোটি কোটি টাকা মুনাফা করছে। এক্ষেত্রে কিছু ডাক্তার নানা প্রলোভনে তাদের ব্যবস্থাপত্রে লিখছেন বিভিন্ন ধরনের ফুড সাপ্লিমেন্টের নাম। এগুলো আবার মিলছে তাদের চেম্বারেই।
ফুড সাপ্লিমেন্ট কি? শুরুতেই সহজ করে জেনে নিই। ভিটামিন, মিনারেল এমাইনো এসিডসহ এমন কিছু উপাদান। যা বিভিন্ন ফল বা শাক সবজিতে যে পুষ্টিগুণ থাকে তারই বিকল্প। ওষুধের রূপ দিয়েই তৈরি হয় এই ফুড সাপ্লিমেন্ট।
উন্নত বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ফুড সাপ্লিমেন্টের ব্যবহার বৈধ হলেও বাংলাদেশের আর্থ সামাজিক অবস্থা বিবেচনা করে সরকার ফুড সাপ্লিমেন্ট বিক্রির অনুমোদন দেয়নি। গেলো কয়েক বছরে ফুড সাপ্লিমেন্টের ব্যবহার বন্ধে কয়েক দফায় ডাক্তারসহ বিভিন্ন মহলকে পরমর্শ দেয় ওষুধ প্রশাসন। এর পরও সাধারণ মানুষকে ফুড সাপ্লিমন্ট খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছে কিছু কিছু চিকিৎসক।
রাজধানীর ওয়ারীর হেলথ কেয়ার হাসপাতাল। এখানেই ডাক্তার আ,ফ,ম আজিজুল ইসলামের চেম্বার। প্রতিদিন এখানে সন্ধ্যার পর রোগি দেখেন তিনি। প্রতিদিনই তিনি রোগীদের ব্যবস্থাপত্রে লিখছেন ফুড সাপ্লিমেন্ট। তবে তার লেখা এসব ফুড সাপ্লিমেন্ট কোন দোকানে পাওয়া যায় না। চড়া দাম দিয়েই কিনতে হয় তার চেম্বার থেকেই।
এসব বিষয়ে জানতে একুশের অনুসন্ধানী টিম হেলথ কেয়ার হাসপাতালে গেলে তাকে পাওয়া যায়নি। তবে টেলিফোনে জানান, তিনি এগুলো আর লিখবেন না।
পরে হাসপাতালের মালিক ডাক্তার জালাল উদ্দিন কথা বলেন একুশের সাথে। দেশে খাদ্যে ভেজাল রয়েছে বলেই ফুড সাপ্লিমেন্ট লেখা হয় বলে খোড়া যুক্তি দেন তিনি ।
এ বিষয়ে ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের পরিচালক বলেন, ফুড সাপ্লিমেন্ট বিক্রি বন্ধে তারা কঠোর ব্যবস্থা নিচ্ছেন।
এদিকে, পুষ্টি বিজ্ঞানী ও চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন ফুড সাপ্লিমেন্টের নামে এক শ্রেনীর ব্যবসায়ী জনগনের সাথে প্রতারণা করছে।
দৈনন্দিন খাদ্য তালিকায় মাছ-মাংস, শাব-সব্জি ছাড়াও দেশি ফলমূল খাওয়ার পরমর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।
আরও পড়ুন