যুদ্ধাপরাধীদের বিচারে গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে চলতি বছরে নিস্পত্তি হয়েছে ছয়টি মামলা
প্রকাশিত : ১০:৪১, ২৬ ডিসেম্বর ২০১৬ | আপডেট: ১০:৪১, ২৬ ডিসেম্বর ২০১৬
যুদ্ধাপরাধীদের বিচারে গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে চলতি বছরে নিস্পত্তি হয়েছে ছয়টি মামলা। এসব মামলায় মৃত্যুদন্ড হয়েছে ১২ জনের, যদিও এর অধিকাংশই পলাতক। তবে ঘুরেফিরে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল যুদ্ধাপরাধী সংগঠন হিসেবে জামায়াতে ইসলামীর বিচার কবে শুরু হচ্ছে।
বছর জুড়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারে খুব বেশি উত্তেজনা না ছড়ালেও আলোচনার কেন্দ বিন্দুতে ছিল সংগঠন হিসেবে জামায়েত ইসলামীর বিচার শুরু করা যাচ্ছে কিনা।
আইন সংশোধন না হওয়ায় আটকে আছে যুদ্ধাপরাধী সংগঠন হিসেবে জামায়াতে ইসলামীর বিচার। বর্তমান আইনে যুদ্ধাপরাধের দায়ে ব্যক্তির পাশাপাশি সংগঠনের বিচারের বিধান থাকলেও শাস্তির উল্লেখ নেই। আইন সংশোধনীর খসড়া চূড়ান্ত হলেও এখনো ওঠেনি মন্ত্রিসভায়।
এদিকে জামায়াতের নতুন আমির মকবুল হোসেনের বিরুদ্ধে প্রাথমিক তদন্তে যুদ্ধাপরাধের প্রমান পাওয়া গেছে। সিলোনিয়া লালপুর গ্রামের পাল বাড়ির ১০ জনকে ধরে নিয়ে হত্যার নির্দেশদাতা হিসেবে উঠে আসে মকবুল আহমাদের নাম।
বর্তমানে তদন্তাধীন মামলার সংখ্যা ২৭টি, যেখানে আসামী ৫৫ জন। রায় ঘোষনা করা হয়েছে ৬টি মামলার। মৃত্যুদন্ড হয়েছে ১২ জনের। কার্যক্রম চলছে আটটি মামলার। আর তদন্ত প্রতিবেদন জমা পড়েছে ৭টি মামলার।
এদিকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালকে স্থানন্তর করা নিয়ে চিঠি চালাচালি হয়েছে সুপ্রিম কোর্ট এবং আইন মন্ত্রনালয়ের মধ্যে। স্থান সংকুলানসহ নানা বিষয়কে সামনে এনে মন্ত্রনালয় থেকে তা না সরানোর অনুরোধ করা হয়েছে।
এবিষয়ে রাষ্ট্র এবং এর প্রতিটি অঙ্গ যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করেই পদক্ষেপ নেবে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।
আরও পড়ুন