১২ ঘন্টা পরও নিয়ন্ত্রণে আনা যায়নি ডিসিসি মার্কেটের আগুন
প্রকাশিত : ১৪:০৮, ৩ জানুয়ারি ২০১৭ | আপডেট: ১৪:০৮, ৩ জানুয়ারি ২০১৭
১২ ঘন্টা পরও পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনা যায়নি রাজধানীর গুলশানে ডিসিসি মার্কেটের ভয়াবহ আগুন। আগুন নেভাতে ফায়ার সার্ভিসের সাথে যোগ দিয়েছে নৌ-বাহিনী। ধসে পড়েছে মার্কেটের একাংশ। ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির কথা জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। তাদের অনেকেই নাশকতার আশংকা করলেও ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র তা নাকচ করে বলেছেন, এটি একটি দুর্ঘটনা। আর পুলিশ কমিশনার বলেছেন, প্রকৃত কারণ খতিয়ে দেখা হবে। ঘটনা তদন্তে ৫ সদস্যের কমিটি গঠন করেছে ফায়ার সার্ভিস।
সোমবার রাত ২টার দিকে গুলশানের ডিসিসি মার্কেটে আগুন লাগার পর থেকেই নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে ফায়ার সার্ভিস। কিন্তু আগুনের লেলিহাস শিখা গ্রাস করে পুরো মার্কেটকে। সেই সঙ্গে ধসে পড়েছে মার্কের্টের একাংশ। মার্কেট লাগোয়া কাঁচাবাজারও আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
ফায়ার সার্ভিসের ২৩টি ইউনিট কাজ করলেও ঠিক কখনও আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হবে তা বলতে পারছে না কেউই। ফায়ার সার্ভিসকে সহযোগিতা করতে নৌবাহিনীর দু’টি ফায়ার ইউনিটও কাজ শুরু করেছে।
আগুন লাগার খবর পেয়ে রাতেই মার্কেটের দোকান মালিক ও কর্মচারীরা ঘটনাস্থলে ছুটে যান। আগুন নিয়ন্ত্রণে না আসায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন তারা। ব্যবসায়ীক ক্ষয়ক্ষতির কথা ভেবে কান্নায় ভেঙে পড়েন অনেকেই।
দুপুরেও দেখা যায়, মার্কেটের বিভিন্ন স্থানে আগুন জ্বলছে। এক জায়গায় কিছুটা নিভলে অন্য জায়গায় আগুন জ্বলে উঠতে দেখা যাচ্ছে।
আগুনে নিয়ন্ত্রণের জন্য আনা পানি দ্রুত ফুরিয়ে যাওয়ায় পরিস্থিতির অবনতি হয়। নতুন করে পানি আনতে সময় লাগায় আগুন নেভাতে ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের বেগ পেতে হচ্ছে।
অগ্নিকান্ডের কারণ নিয়ে দু’ধরণের বক্তব্য মিলেছে। নিরাপত্তা কর্মীদের বরাত দিয়ে ব্যবসায়ীদের কেউ কেউ বলছেন, বৈদ্যতিক ট্রান্সফরমার বিস্ফোরণের কারণেই অগ্নিকান্ডের সূত্রপাত।
আর ব্যবসায়ীদের কেউ কেউ মনে করেন এটি আসলে নাশকতা।
তবে নাশকতার আশংকা নাকচ করে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র বলেছেন, এটি কেবলই দুর্ঘটনা।
ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানিয়েছেন মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান।
পুলিশের আইজি বলেছেন, ঘটনার প্রকৃত কারণ খতিয়ে দেখবে আইনশৃঙ্খলাবাহিনী।
দুই তলা বিশিষ্ট ডিসিসি মার্কেটে দোকান আড়াইশ’র মতো। নিচতলার বড় অংশ জুড়ে আসবাবপত্রের দোকান। বেশ কিছু খাবার ও গ্যাস সিলিন্ডার মেরামতের দোকানও নিচ তলায়। দোতালায় রয়েছে আমদানি করা খাদ্যপণ্য, প্রসাধনী, পোশাক, প্লাস্টিক পণ্য ও গয়নার দোকান।
আরও পড়ুন