সার্ভিস চার্জের নামে বেশ কিছু ব্যাংক হাতিয়ে নিচ্ছে বাড়তি টাকা
প্রকাশিত : ১৪:১৮, ৬ জানুয়ারি ২০১৭ | আপডেট: ১৪:১৮, ৬ জানুয়ারি ২০১৭
প্রযুক্তির কারণে দিন দিন সহজ হচ্ছে ব্যাংকিং কার্যক্রম। কিন্তু, এক্ষেত্রে সার্ভিস চার্জের নামে বেশ কিছু ব্যাংক হাতিয়ে নিচ্ছে বাড়তি টাকা। এমনকি একই সেবায় এক এক ব্যাংকের চার্জও এক এক রকম। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অলস টাকা পড়ে থাকায় ব্যাংকগুলো সেবা নির্ভর আয়ের দিকে ঝুঁকছে। তবে, সার্ভিস চার্জ স্বাভাবিক রাখতে ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক।
দেশের প্রায় সব ব্যাংকই এখন অনলাইন সেবার আওতায়। এই সুযোগে ইন্টারনেট, মোবাইল ব্যাংকিং, কার্ড সিস্টেম সহ নানা সেবার নামে খাত-উপখাত দেখিয়ে গ্রাহকের একাউন্ট থেকে টাকা কেটে নিচ্ছে ব্যাংকগুলো।
অনলাইন একাউন্টে বার্ষিক চার্জ ব্যাংক ভেদে ২০০ থেকে ৫০০ টাকা। এক শাখা থেকে অন্য শাখার হিসাবে টাকা জমা দিতে নেয়া হয় ২০ টাকা থেকে দেড় হাজার টাকা পর্যন্ত আর উত্তোলন ফি ৫০ টাকা থেকে ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত রাখা হচ্ছে। (<ংঃৎড়হম>৫০ হাজার থেকে ১ লাখ টাকা পর্যন্ত জমা দেয়ার খরচ ৫০ টাকা ও উত্তোলনের খরচ ১০০ টাকা। ১ লাখ থেকে ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত জমার চার্জ ১০০ টাকা এবং উত্তোলনের চার্জ ২০০ টাকা)
ই-ব্যাংকিং চার্জ বাবদ বছরে ২০০ থেকে ১০০০ টাকা, নিরাপত্তা টোকেন ফি ১৫০ টাকা, মোবাইলে এসএমএস সেবা, এমনকি এলার্ট ব্যাংকিং চার্জও কাটা হচ্ছে।
সাধারণ কার্ডের ইস্যু ফ্রি হলেও বার্ষিক চার্জ ৪০০ থেকে ১০০০ টাকা, নবায়ন ফি ৪০০ এবং পিন পরিবর্তন চার্জ ২০০ থেকে ৬০০ টাকা। (<ংঃৎড়হম>গোল্ড কার্ড ইস্যু চার্জ দেড় থেকে ২ হাজার, বার্ষিক ফি ২ থেকে ৩ হাজার, রিপ্লেসমেন্ট ফি ৭০০ থেকে ১ হাজার এবং পিন পরিবর্তন ২০০ টাকা থেকে ৫০০ টাকা পর্যন্ত। ভিসা ও মাস্টার কার্ডের সব ধরনের ফি ৫০০ টাকা করে ও পিন পরিবর্তন ফি ২০০ টাকা। )
ব্যাংকগুলো ইচ্ছামতো ফি নির্ধারণ করছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা।
তবে, সেবার চার্জ কমিয়ে আনতে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানালেন বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র।
সব ব্যাংকের সেবার চার্জ কেন্দ্রীয় ব্যাংক পর্যবেক্ষণ করছে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন