সীমান্তে গরু ব্যবসাকে বৈধ ঘোষনা করলে হত্যাকান্ড কমে আসবে: বিষেশজ্ঞদের মত
প্রকাশিত : ১৩:০২, ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ | আপডেট: ১৩:০২, ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৭
সীমান্তের গরু ব্যবসা কে বৈধ ঘোষণা করলে হত্যাকান্ড অনেকটাই কমে আসবে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। তাদের মতে সীমান্তে কঠোর নয় বন্ধুত্বপূর্ন সম্পর্কই মানবাধিকার লংঘন রোধ করতে পারে।বাংলাদেশের সীমান্তে কাস্মীর এর সৈন্য নয় বাংলা ভাষাভাষি সৈন্য নিয়োগ দিলেও সীমান্তে সংঘাত কমে আসবে বলে মনে করেন তারা। সীমান্তে দুই দেশের হাট চালু করার পাশাপাশি যৌথ সামজিক প্রতিষ্ঠানও সীমান্তবাসীদের সম্পর্কে উন্নয়ন ঘটাবে।
সীমান্তে অবৈধ অনুপ্রবেশ,গরু পাচার ও চোরাচালানের অভিযোগে প্রতিদিনই সীমান্তে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা।ভারতীয় পন্য রপ্তানি আইনে জীবিত প্রানী রপ্তানি করা অবৈধ বা নিষিদ্ধ ও নয় ।তারপরও সীমান্তে গরু পাচারকে কেন্দ্র করেই ঘটে চলছে হত্যাকান্ড।
ভারত-চীন সীমান্তের চেয়ে বড় বাংলাদেশ ও ভারতের সীমান্ত।প্রতিবেশী ভারত ও বাংলাদেশের সীমান্তকে স্থীতিশীল রাখতে ভারতকে প্রধান ভূমিকা রাখতে হবে বলে মনে করেন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষক অধ্যাপক ইমতিয়াজ আহমেদ।
ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যকার কাস্মীর সীমান্তের সাথে তুলনা করে মানবাধিকার কর্মীরা বলেন,সীমান্ত নিয়ে ভারত দ্বিমুখী আচরন করছে। ভারত বাংলাদেশের সীমান্তে আধিপত্য বজায় রাখতে ভয়ের সংস্কৃতি টিকিয়ে রাখতে চায়।
প্রতি চারদিনে বিএসএফের গুলিতে একজন নিরস্ত্র বাংলাদেশীকে হত্যার ঘটনায় বিএসএফএর আচরনকে সাম্প্রদায়িক আচরন বলেই মনে করেন মানবাধিকার কর্মীরা।সীমান্তে হত্যাকান্ডের পেছনে বাংলাদেশের দূর্বল পররাষ্ট্রনীতিকেও দায়ী করছেন বিষেশজ্ঞরা।তাদের মতে সীমান্তকে যত বেশি কাটাতারে ঘিরে ফেলা হবে সংকট ততই প্রকটতর হবে।
আরও পড়ুন