ঢাকা, শনিবার   ২৮ জুন ২০২৫

দেশে খাদ্য ঘাটতির আশঙ্কা নেই!

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৩:১৩, ৩০ এপ্রিল ২০২০

Ekushey Television Ltd.

দেশে করোনা ভাইরাসের মধ্যেও আশার দিক হচ্ছে চলতি বোরো মৌসুম শেষে দেশে খাদ্যশস্য উৎপাদন বাড়বে। আবহাওয়া অনুকূল থাকলে এ বছর বাড়তি প্রায় সাড়ে চার লাখ টন চাল উৎপাদন হতে পারে। উৎপাদন বেড়ে খাদ্য ঘাটতির কোনো আশঙ্কা না থাকলেও ভোগের চাপ থাকবে বাংলাদেশ। বিশেষ করে চাল ভোগের পরিমাণও বাড়বে। 

বাংলাদেশের খাদ্য ও কৃষি পরিস্থিতির সর্বশেষ তথ্য নিয়ে এক প্রতিবেদনে এ পূর্বাভাস দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের কৃষি বিভাগ ইউএসডিএ। 

বৈদেশিক কৃষিসেবার আওতায় গ্লোবাল এগ্রিকালচার ইনফরমেশন নেটওয়ার্ক (জিএআইএন) শীর্ষক ওই প্রতিবেদনটি গতকাল বুধবার প্রকাশ করে ইউএসডিএ। প্রতিবেদনে বৈশ্বিক খাদ্য পরিস্থিতির সঙ্গে বাংলাদেশের কৃষি ও খাদ্য পরিস্থিতির নানা সূচকের তুলনা করা হয়েছে, যাতে বেশকিছু সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান ‘বেশ ভালো’ বলে উল্লেখ করা হয়।

প্রতিবেদনের তথ্যমতে, বাংলাদেশে এবার ধানের আবাদ ও উৎপাদন বাড়তে পারে। চলতি বোরো মৌসুম শেষে আবাদ ১ কোটি ১৮ লাখ হেক্টর এবং উৎপাদন ৩ কোটি ৬৩ লাখ টনে উন্নীত হতে পারে। এর মধ্যে চলতি মৌসুমে বোরোর উৎপাদন হতে পারে ১ কোটি ৯৫ লাখ টন, যা গত মৌসুমের তুলনায় ১ লাখ টন বেশি। অন্যদিকে আউশ উৎপাদন ২৪ লাখ ৫০ হাজার টন থেকে দেড় লাখ টন বেড়ে ২৬ লাখ টনে উন্নীত হতে পারে। এছাড়া আমনের উৎপাদন ১ কোটি ৪০ লাখ টন থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ১ কোটি ৪২ লাখ টনে দাঁড়াতে পারে। সব মিলিয়ে চলতি বছর চাল উৎপাদন ৪ লাখ ৫০ হাজার টন বাড়বে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে ইউএসডিএ।

শুধু চাল নয়, এ বছর গম ও ভুট্টাসহ অন্যান্য দানা শস্য কেমন উৎপাদন হতে পারে তার পূর্বাভাসও দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের কৃষি বিভাগ। ইউএসডিএ বলছে, চলতি মৌসুমে ৩ লাখ ৫০ হাজার হেক্টর জমিতে ১২ লাখ ৫০ হাজার টন গম উৎপাদন হতে পারে। তবে গম ও ভুট্টাসহ কর্নজাতীয় শস্যের আবাদ হতে পারে ৫ লাখ ৫০ হাজার হেক্টর জমিতে। আর উৎপাদন দাঁড়াবে ৫১ লাখ টন।

উৎপাদনের ঊর্ধ্বমুখিতার কারণে গত মৌসুমের তুলনায় চলতি মৌসুমে দানাদার খাদ্যশস্যের আমদানি ১০ লাখ টন কমতে পারে বলে পূর্বাভাস দিচ্ছে ইউএসডিএ। যদিও এ সময়ে চালের আমদানি কিছুটা বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।

ইউএসডিএ বলছে, চালের আমদানি বাড়াতে হতে পারে, কারণ করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় সরকার ও ব্যক্তি চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। চলতি মৌসুমে দেশে ৩ কোটি ৬৩ লাখ টন চালের ভোগ হতে পারে। বাজারে চালের ভোগের পরিমাণ বাড়াবে সরকারের প্রয়োজনীয়তা। কারণ কভিড-১৯ মোকাবেলা করার জন্য খোলা বাজার থেকে সরকারকে চাল কিনতে হবে। এছাড়া বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও উন্নয়ন সংস্থাগুলোর চাল বিতরণ কার্যক্রমও বাজারে চালের বাড়তি চাহিদা তৈরি করবে। সরকারের ভর্তুকি মূল্যে চাল বিতরণ কর্মসূচির কারণে বেশি পরিমাণ চালের মজুদ করতে হতে পারে। এরই মধ্যে ১০ টাকায় খোলা বাজারে চাল বিতরণ কার্যক্রম চলছে। এছাড়া রাইস ব্র্যান অয়েল ও খাদ্য উৎপাদন খাতেও চালের চাহিদা তৈরি হবে। করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে জরুরি ত্রাণসহায়তা কার্যক্রম পরিচালনার জন্য সরকার এরই মধ্যে ৫ লাখ টন চাল বরাদ্দ দিয়েছে। এসব চাল স্থানীয় বাজার থেকেই সংগ্রহ করা হবে।

এমবি//


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি