ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২৮ মার্চ ২০২৪

খুলনা উপকূল অতিক্রম করেছে আম্পান

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ২২:৫৮, ২০ মে ২০২০

বঙ্গোপসাগরের সৃষ্ট সুপার সাইক্লোন আম্পান কিছুটা দুর্বল হয়ে বর্তমানে খুলনা উপকূল অতিক্রম করেছে। এ সময় খুলনায় ৫০ কিলোমিটার বেগে দমকা থেকে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যায়। বর্তমানে এটি সাতক্ষীরা ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। আম্পান পশ্চিমবঙ্গে গতি নিয়ে আঘাত করার পরে অনেকটা দুর্বল হয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে।

আজ বুধবার রাত ১০টার পর বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর। তাতে আরও বলা হয়েছে, ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৭৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ১৬০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ১৮০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় বায়ুচাপের তারতম্যের আধিক্য বিরাজ করছে। সাগর উত্তাল থাকবে।

এর আগে, বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের অগ্রভাগ সুন্দরবন সংলগ্ন কয়রা, মোংলা ও সাতক্ষীরার শ্যামনগরে আঘাত হানে। ওই এলাকায় বর্তমানে বাতাসের গতিবেগ ৬০ থেকে ৭০ কিলোমিটার। ঘূর্ণিঝড় আম্পনের প্রভাবে বুধবার সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ৪১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।

উপকূলীয় জেলা নোয়াখালী, ফেনী, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলো ৯ নম্বর মহাবিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে। তবে মোংলা ও পায়রা বন্দরে আগের মতোই ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। সতর্ক সংকেতে আরও বলা হয়, উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলো ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।

ঘূর্ণিঝড় জনিত জলোচ্ছ্বাসের সতর্কতায় বলা হয়, ঘূর্ণিঝড় এবং দ্বিতীয় পক্ষের চাঁদের সময়ের শেষ দিনের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী ও চট্টগ্রাম এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলোর নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে থেকে ১০ থেকে ১৫ ফুট অধিক উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে। 

সুন্দরবন সংলগ্ন কয়রা সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবির বলেন, স্থানীয় নদ-নদীতে ৫ থেকে ৬ ফুট পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। উপকূল সংলগ্ন এলাকার মানুষ সাইক্লোন শেল্টারগুলোতে আশ্রয় নিয়েছে। খুলনার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেন জানান, খুলনার উপকূলীয় এলাকার দুই লক্ষাধিক মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছে। তবে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ক্ষয়ক্ষতির কোনো খবর পাননি তিনি।

এমএস/এসি


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি