ঢাকা, সোমবার   ০৭ জুলাই ২০২৫

‘পাকিস্তানকে ২০৩০ সালে বাংলাদেশের কাছে সাহায্য চাইতে হতে পারে’

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ২২:০৪, ২৬ মে ২০২১

Ekushey Television Ltd.

বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিও ভূয়সী প্রশংসা এবং পাকিস্তানের বর্তমান অর্থনৈতিক অস্থিরতা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বিশ্বব্যাংকের একজন সাবেক উপদেষ্টা বলেছেন, দেশটির অর্থনৈতিক খাতে এই হতাশাজনক অবস্থা অব্যাহত থাকলে বাংলাদেশের কাছে পাকিস্তানের সহায়তা চাইতে হতে পারে।

আবিদ হাসান বলেন, ‘যদি পাকিস্তানে অর্থনৈতিক বিশৃঙ্খল অবস্থা অব্যাহত থাকে, তাহলে এমন সম্ভবনা দেখা দিতে পারে যে, ২০৩০ সালে বাংলাদেশের কাছে আমাদের সহায়তা চাইতে হতে পারে।’

পাকিস্তান ইকোনমিক এডভাইজরি কমিটি এবং ফেডারেল বোর্ড অব রেভিনিউ ট্যাক্স রিফর্ম গ্রুপের সাবেক সদস্য হাসান বলেন, ‘আমরা যদি “স্বাভাবিক নিয়মে” ব্যবসা অব্যাহত রাখতে পারি, তাহলে এক দশকের মধ্যে আমরা বাংলাদেশ থেকে সহায়তা নেয়ার মত অবস্থার অবসান ঘটাতে পারি।’

করাচি, লাহোর, রাওয়ালপিন্ডি, ইসলামাবাদ এবং লন্ডন থেকে প্রকাশিত পাকিস্তান ভিত্তিক ইংরেজি দৈনিক ‘নিউজ ইন্টারন্যাশনাল’ এ সোমবার প্রকাশিত এক নিবন্ধে এই অভিমত ব্যক্ত করা হয়। হাসান বাংলাদেশের গত কয়েক বছরের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং প্রায় সকল উন্নয়ন সূচকের অগ্রগতির প্রশংসা করেন।

তিনি বলেন, অতীতের মতো একই হারে জিডিপি বৃদ্ধি পেলে ২০৩০ সালে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক শক্তিকেন্দ্র হতে পারে।

বিশ্বব্যাংকের সাবেক উপদেষ্টা বলেন, ‘২০ বছর আগে এটা ভাবাই যেত না ২০২০ সালে বাংলাদেশের মাথাপিছু জিডিপি পাকিস্তানের প্রায় দ্বিগুণ হবে।’
হাসান বিস্মিত হন, যে বাংলাদেশ কিভাবে বিস্ময়কর গল্প হয়ে উঠেছে এবং পাকিস্তান বিপর্যয়ের গল্পে পরিণত হয়েছে, মাত্র দুই দশকে বাংলাদেশ প্রধান অর্থনৈতিক সূচকগুলোতে পাকিস্তানকে ছাড়িয়ে গেছে।
তিনি বলেন, ‘গত ২০ বছরের মধ্যে বাংলাদেশের জিডিপি মাথাপিছু ৫০০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।’

সাবেক উপদেষ্টা মনে করেন, রাষ্ট্র থেকে ধর্মকে আলাদা, রাজনীতিতে অনির্বাচিত প্রতিষ্ঠানের ভূমিকা বর্জন এবং দেশের প্রতি তাদের নেতৃত্বের একক মনোযোগের কারণে বাংলাদেশের পক্ষে বিস্ময়কর অর্থনৈতিক সাফল্য অর্জন সম্ভব হয়েছে।

পাকিস্তান প্রসঙ্গে তিনি লিখেছেন, পাকিস্তানের প্রতিটি সরকার এবং বর্তমান সরকারও ‘ভিক্ষার ঝুলি নিয়ে’ সারা বিশ্বে ঘুরছে।
হাসান বলেন, ‘আমরা এখন ঋণে ডুবে যাচ্ছি এবং দুর্বল প্রবৃদ্ধির অক্ষে আটকে আছি এবং অর্থনৈতিকভাবে শক্তিশালী পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার জন্য প্রয়োজনীয় গভীর সংস্কার কোন সরকার অনুসরণ না করার কারণে আমরা এভাবেই চলতে থাকবো।’

তিনি লিখেছেন, পাকিস্তানের খারাপ কর্মক্ষমতা তার নিজের দোষ, দেশটির নেতারা তাদের শত্রু এবং আইএমএফ ও বিশ্বব্যাংককে দোষারোপ করে ।

হাসান বলেন, দুর্নীতি এবং সন্ত্রাসবাদের অর্থনৈতিক প্রভাবের এই বিশৃঙ্খলার একটি ভূমিকা রয়েছে, কিন্তু বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই খারাপ কর্মদক্ষতা, দায়িত্বহীনতা, অনুপযুক্ত এবং অপ্রত্যাশিত নীতি অনুসরণ এবং আধাআধি সংস্কারের ফল।- বাসস

এসি
 


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি