ঢাকা, শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪

‘এপ্রিলের মধ্যে টিকার দ্বিতীয় ডোজ পাবে ১২ কোটি মানুষ’ 

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৬:৪৭, ১০ অক্টোবর ২০২১

আগামী বছরের মার্চ-এপ্রিলের মধ্যে ১২ কোটি মানুষের দ্বিতীয় ডোজ সম্পন্ন করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি বলেন, ‘আমরা টিকার জোগান নিশ্চিত করেছি। আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে আট কোটি মানুষকে ডাবল ডোজ টিকা দেওয়া সম্ভব হবে। আগামী বছরের মার্চ-এপ্রিলের মধ্যে ১২ কোটি মানুষের দ্বিতীয় ডোজ সম্পন্ন করা হবে।’

রবিবার (১০ অক্টোবর) দুপুরে রাজধানীর মহাখালীতে বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিশিয়ানস অ্যান্ড সার্জনসে (বিসিপিএস) করোনার টিকা বিষয়ক ব্রিফিংয়ে এই স্বস্তির কথা জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

দেশে করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে, তবে স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব ভুলে গেলে চলবে না বলে মন্তব্য করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। করোনা পরিস্থিতি স্বস্তিদায়ক জানিয়ে তিনি বলেন, করোনা হাসপাতালগুলোর ৮০ থেকে ৯০ শতাংশ বেড এখন খালি। রোগীর চাপ এখন কমে আসায় আমরা সবাই স্বস্তিতে আছি।

মন্ত্রী জানান, অক্টোবরে তিন কোটি, নভেম্বরে পৌনে চার কোটি, ডিসেম্বরে পাঁচ কোটি ও জানুয়ারিতে পৌনে চার কোটি ডোজ টিকা আসবে। বাংলাদেশে ১৮ বছরের নিচে স্কুল শিক্ষার্থীদের টিকা দিতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সম্মতি দিয়েছে বলেও জানান মন্ত্রী।

জাহিদ মালেক বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালকের সঙ্গে আমার সাক্ষাৎ হয়েছে, স্কুল শিক্ষার্থীদের টিকার বিষয়ে তিনি আমাদের অনুমোদন দিয়েছেন।

স্বাস্থ্যবিধি মানার ওপর জোর দিয়ে জাহিদ মালেক বলেন, ‘আমরা স্বস্তির সাথে থাকলেও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব ভুলে গেলে চলবে না। নতুন কোনো করোনার ঢেউ যেন না আসে, সে জন্য সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।’

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ব্যবসা-বাণিজ্য ও জীবনযাত্রা প্রায় স্বাভাবিক হয়ে এসেছে। দেশ ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হয়ে আসছে। এটা সম্ভব হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে। আমরা তার নেতৃত্বে কাজ করে যাচ্ছি।’

সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্যসচিব লোকমান হোসেন মিয়া বলেন, ‘করোনাভাইরাস প্রতিরোধে ৮০ শতাংশ মানুষকে টিকার আওতায় আনতে ২৬ কোটি টিকা ইতিমধ্যে নিশ্চিত হয়েছে। আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে ৫০ শতাংশ মানুষকে ভ্যাকসিনের আওতায় আনা হবে।’

করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে রাখার ওপর জোর দিয়ে সচিব বলেন, ‘করোনা সংক্রমণের হার এখন দুই শতাংশের নিচে, তবে যেকোনো সময় এই সংক্রমণ আবার বেড়ে যেতে পারে। এ কারণে আমাদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।’

ব্রিফিংয়ে আরও উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক আবুল বাশার খুরশীদ আলম।

আরকে//


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি