ঢাকা, রবিবার   ২৭ এপ্রিল ২০২৫

Ekushey Television Ltd.

উফশী প্রকল্প কর্মকর্তা-কর্মচারীদের রাজস্বতে স্থানান্তরের দাবি

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ২২:১৩, ১ মার্চ ২০২২

Ekushey Television Ltd.

উচ্চ ফলনশীল পাট, পাটবীজ উৎপাদন ও উন্নত পাটপচন শীর্ষক (উফশী) প্রকল্পের ১২৪ জন কর্মীকে রাজস্ব খাতে তাদের চাকরি স্থানান্তরের দাবি জানিয়েছেন। এছাড়া হাইকোর্টের রায়ের পরও চাকরি স্থানান্তরে পাট অধিদপ্তরের মহা-পরিচালকের অবহেলার অভিযোগ তুলেছেন তারা।

সোমবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে বঙ্গবন্ধু উফশী প্রকল্প কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্য পরিষদ আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি তুলে ধরা হয়। সংগঠনের সভাপতি মাধব চন্দ্র বাড়ৈ সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন।  

লিখিত বক্তব্যে উল্লেখ করেন, বঙ্গবন্ধু পাট চিন্তা ও সোনালী আশেই সোনার বাংলাদেশের সৃষ্টি। এদেশের অর্থনীতিতে এক সময় পাটের অবস্থা ছিল প্রাণভোমরার মতো। আগে বৈদেশিক মুদ্রার সিংহভাগ আসত পাট ও পাটজাত রপ্তানি থেকে। 

তিনি বলেন, সমাপ্ত হওয়া উফশী প্রকল্পে আমরা কর্মরত ছিলাম। সরকারি সব বিধি-বিধান মেনে আমরা এ প্রকল্পে যোগ দিয়েছি। প্রকল্পের ডিপিপিতে মেয়াদ শেষে রাজস্ব খাতে স্থানান্তরের কথা রয়েছে। কিন্তু দীর্ঘদিন অতিবাহিত হলেও আমাদের স্থানান্তর করা হয়নি।

হাইকোর্টে রিট করার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, রাজস্ব খাতে স্থানান্তর না করায় আমরা হাইকোর্টে রিট করি। পরে হাইকোর্ট ১৫৮ জন পিটিশনাকারীকে রাজস্ব খাতে স্থানান্তরের আদেশ দিয়েছেন। কিন্তু হাইকোর্টের আদেশ অমান্য করে মাত্র ২৪ জনকে রাজস্ব খাতে স্থানান্তর করে পাট অধিদপ্তর। অথচ পাট অধিদপ্তরের প্রায় ৪ শতাধিক পদ শূন্য আছে। 

পাট অধিদপ্তরের চার শতাধিক শূন্যপদের কথা জানিয়ে সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, পাট অধিদপ্তরে বর্তমানে কর্মরত জনবল ও রিটকারীদের শিক্ষাগত যোগ্যতার কোনো পার্থক্য নেই। পাট অধিদপ্তরে বর্তমানে মূখ্য পরির্দশক, সহকারি পরিদর্শক পদে কর্মরত যারা আছে তাদের অধিকাংশ এস এস সি, বি এ, বি কম, এম কম ডিগ্রী ধারী রয়েছে। এক্ষেত্রে কর্মরত জনবল এবং রিটকারীদের শিক্ষাগত যোগ্যতার মধ্যে কোন পার্থক্য নেই। এ কারণে ১২৪ জনের চাকরি রাজস্ব খাতে স্থানান্তর করার জন্য পাট অধিদপ্তরের মহা-পরিচালকের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তারা। 

এসি

 


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি