ঢাকা, মঙ্গলবার   ১৩ মে ২০২৫

ঐতিহাসিক ৬-দফা ঘোষণার দিনকে নিয়ে বঙ্গবন্ধু পরিষদের কৃতজ্ঞতা

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৯:১৮, ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩

Ekushey Television Ltd.

ঐতিহাসিক ৬-দফা ঘোষণার দিনে আন্দোলন-সংগ্রামে আত্মদানকারী বীর শহিদদের প্রতি অসীম শ্রদ্ধা ও প্রবল কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেছে বঙ্গবন্ধু পরিষদ।

রোববার (৫ ফেব্রুয়ারি) বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক এবং সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আ ব ম ফারুক এক যুক্ত-বিবৃতিতে আজকের দিনটির ঐতিহাসিক গুরুত্বের কথা স্মরণ করে এক যুক্ত-বিবৃতি প্রদান করেন।

বিবৃতিতে তারা বলেন, ১৯৬৬ সালের এই দিনে বাঙালির অবিসংবাদিত নেতা শেখ মুজিবুর রহমান লাহোরে তদানীন্তন পাকিস্তানের বিরোধীদলগুলোর সম্মেলনে তখনকার পূর্ব বাংলার শোষিত মানুষের বঞ্চনার অবসানকল্পে ৬-দফা দাবিনামা পেশ করেন। তিনি পূর্ব বাংলাসহ পাকিস্তানের সব প্রদেশের জন্যই স্বায়ত্বশাসন দাবি করলেও সেখানকার কায়েমীস্বার্থ সমর্থক কিছু পত্রপত্রিকা শেখ মুজিবকে বিচ্ছিন্নতাবাদী বলে আখ্যায়িত করে স্বায়ত্বশাসন আদায় ও শোষণ-বঞ্চনা অবসানের মূল দাবিকে পাশ কাটিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। শেখ মুজিব এর প্রতিবাদ করেন এবং ঢাকায় ফিরে এসে নিজ দলের ওয়ার্কিং কমিটির সভায় এই দাবিনামা উত্থাপন করেন। 

পরবর্তীতে আওয়ামী লীগের এই কমিটির সভায় এই দাবিনামা গৃহীত হয় এবং সারা পূর্ব বাংলায় এই দাবিনামার ভিত্তিতে গণ-আন্দোলন গড়ে ওঠে। ঊনসত্তরে তা ব্যাপকতা পেয়ে গণ-অভ্যুথ্থানে রূপান্তরিত হয়, যা সত্তরের নির্বাচনে গণরায় হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয় এবং একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে বাংলাদেশ নামের স্বাধীন জাতিরাষ্ট্রটির প্রতিষ্ঠা করে। 

বঙ্গবন্ধু পরিষদের পক্ষ থেকে আমরা বঙ্গবন্ধু ও তাঁর সহযোগী নেতৃবৃন্দ ও এই আন্দোলন-সংগ্রামে আত্মদানকারী বীর শহিদদের প্রতি আমাদের অসীম শ্রদ্ধা ও প্রবল কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি।

এছাড়া ২০১৩ সালে আজকের এই দিনে একাত্তরের অন্যতম ঘাতক কাদের মোল্লাকে মৃত্যুদণ্ডের পরিবর্তে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়ার প্রতিবাদে শাহবাগের সড়ক মোহনায় তরুণ প্রজন্ম প্রতিবাদী অবস্থান গ্রহণ করে এবং বিরতিহীনভাবে শ্লোগান ও বক্তৃতার মাধ্যমে কুখ্যাত কাদের মোল্লাসহ একাত্তরের অন্যান্য ঘাতকদেরও ফাঁসি দেওয়ার দাবি করে। সারা দেশের সকল শ্রেণি-পেশার মানুষ এই দাবিকে সমর্থন করে এবং তরুণ প্রজন্মের এই আন্দোলন ইতিহাসের অংশ হিসেবে স্থান পায়। 

তাই শাহবাগের দক্ষিণাংশ এখনো ‘প্রজন্ম চত্বর’ বলে পরিচিত। কয়েক মাস ধরে চলা যুগান্তকারী এই আন্দোলনের ফলে সর্বোচ্চ আদালতের সুষ্ঠু বিচারে কাদের মোল্লা তার কৃত অপরাধের জন্য মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত হয় এবং একাত্তরের অন্যান্য অপরাধীদেরও বিচারের পথ সুগম হয়। কিন্তু এজন্য এই তরুণদের কয়েকজন বলিষ্ঠ কণ্ঠ মৌলবাদী জঙ্গিদের আক্রমণে শহিদ হন। বাংলাদেশের নতুন প্রজন্মকে তাদের সেই বলিষ্ঠ ও সাহসী নেতৃত্ব ও বিপ্লবী ভূমিকার জন্য বঙ্গবন্ধু পরিষদের অভিনন্দন ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি  এবং শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করছি।

ঐতিহাসিক ৫ই ফেব্রুয়ারি অমর হোক। জয় বাংলা। জয় বঙ্গবন্ধু।

এসি
 


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি