ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ১৬ মে ২০২৪

কুমিল্লার প্রত্নতত্ত্বের অন্যতম নিদর্শন রানী ময়নামতির রাজপ্রাসাদ

প্রকাশিত : ১৪:২২, ৭ জানুয়ারি ২০১৭ | আপডেট: ১৪:২২, ৭ জানুয়ারি ২০১৭

কুমিল্লার প্রত্নতত্ত্বেরর অন্যতম নিদর্শন রানী ময়নামতির রাজপ্রাসাদ। বুড়িচং উপজেলার লালমাই পাহাড়ের উত্তর প্রান্তে বিচ্ছিন্ন এক পাহাড় চূড়ায় এর অবস্থান। এটি ৮ম থেকে ১২ শতকের পুরাকীর্তি বলে ধারনা বিশেষজ্ঞদের। তবে, প্রত্নতাত্ত্বিকদের মতে এটি জয়কর্মান্তবসাক নামে একটি প্রাচীন নগরীর ধ্বংসাবশেষ। পৌরাণিক ও ইতিহাস থেকে জানা যায়, লালমাই পাহাড়ী অঞ্চলের প্রাচীন নাম ছিল দেব পর্বত। অষ্টম শতাব্দীতে এই অঞ্চল দেব বংশের রাজাদের অধীনে ছিল। পরে চন্দ্র বংশীয় রাজা মানিক্য চন্দ্রের স্ত্রী রানী ময়নামতির নামানুসারে এই এলাকার নাম হয় ময়নামতি। যা ছিল পূর্ব ভারতের বৌদ্ধ সংস্কৃতি চর্চা কেন্দ্র। দ্বাদশ শতকে হিন্দু রাজ বংশের উত্থানের পর থেকে এই অঞ্চলের গুরুত্ব কমতে থাকে। এসময় অনেক বৌদ্ধ ভিক্ষু এই অঞ্চল থেকে তিব্বত, নেপাল, উড়িষ্যা, কামরূপ, আরাকান অঞ্চলে চলে যান। ফলে ত্রয়োদশ শতাব্দীর দিকে এই অঞ্চল থেকে বৌদ্ধ সভ্যতা বিলুপ্ত হতে থাকে। অযতœ অবহেলায়  কালক্রমে এই জনপদ মাটি চাপা পড়ে। ১৮৭৫ সালে পাহাড়গুলোর মধ্য দিয়ে রাস্তা তৈরীর সময় শ্রমিকরা প্রাচীন বৌদ্ধ মঠ আবিষ্কার করে। পরে ১৯৫৫ সালে ময়নামতির প্রতœতত্ত্ব খনন কাজ শুরু হয়। পরে সরকারের প্রতœতত্ত্ব বিভাগ এই এলাকার কয়েকটি পাহাড় খনন করে বিভিন্ন বিহার উন্মোচন করে। বিহারটির ধ্বংসাবশেষ থেকে আটটি তাম্রলিপি, প্রায় ৪০০টি স্বর্ণ ও রৌপ্য মুদ্রা, অসংখ্য পোড়ামাটির ফলক, টেরাকোটা, সিলমোহর, ব্রৌঞ্জ ও মাটির মূর্তি পাওয়া গেছে। যা প্রাচীন আমলের নিদর্শন বহন করে।
Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি