ঢাকা, শনিবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৫

Ekushey Television Ltd.

‘মুজিববর্ষে মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য ১৪ হাজার বাড়ি’

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ২০:১২, ২৪ জানুয়ারি ২০২০

ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

Ekushey Television Ltd.

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজ্জামেল হক বলেছেন, মুজিববর্ষে মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য ১৪ হাজার বাড়ি নির্মাণ করে দেয়া হবে। এজন্য ২ হাজার ৩শ’ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এসব বাড়ি মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার।

আজ শুক্রবার বিকেলে সিলেটের দক্ষিণ সুরমা ও বালাগঞ্জ উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি একথা বলেন।

সিলেটের জেলা প্রশাসক এম কাজী এমদাদুল ইসলামের সভাপতিত্বে দক্ষিণ সুরমা উপজেলা অডিটরিয়ামে আয়োজিত অনুষ্ঠানে মন্ত্রী আরও বলেন, আগামী একবছরের মধ্যে বাড়ি নির্মাণ করে দেয়া হবে। একটি বাড়ি নির্মাণে ব্যয় হবে ১৬ লক্ষ টাকা।

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী নতুন প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস জানাতে নানা উদ্যোগের কথা উল্লেখ করে বলেন, আগামী মার্চ মাসে দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মুক্তিযোদ্ধাদের মুখে মুক্তিযুদ্ধের গল্প শোনানোর উদ্যোগ নেয়া হবে। কোন কে.জি স্কুল, প্রাইমারি, হাইস্কুল ও মাদরাসায় নিয়মিত জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও জাতীয় সঙ্গীত গাওয়া না হলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

তিনি বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের রণাঙ্গনের বীরত্বগাঁথা পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্তির পাশাপাশি রাজাকার, আল শামস ও জামায়াতের ইসলামের ভূমিকা কী ছিল তাও তুলে ধরা হবে। শিক্ষার্থীরা এ ইতিহাস থেকে জানতে পারবে তারা কোন পক্ষে যাবে।

মুক্তিযোদ্ধাদের উদ্দেশ্যে মন্ত্রী বলেন, নিজেদের চেতনা কেবল নিজেদের মধ্যে ধরে রাখলে চলবে না। আপনারা জয় বাংলা স্লোগান দিচ্ছেন, আপনার সন্তান, আপনার ভাই কী স্লোগান দিচ্ছে, কোন পথে যাচ্ছে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।

বিসিএস পরীক্ষায় মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ে ১০০ নম্বর অন্তর্ভুক্তির পরিকল্পনার কথা উল্লেখ করে আ ক ম মোজ্জাম্মেল হক বলেন, আগামীতে বিসিএস এর লিখিত পরীক্ষায় ৫০ নম্বর থাকবে ৯ মাসের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ে এবং আরো ৫০ নম্বর থাকবে পূর্ববর্তী ২৪ বছরের সংগ্রামের ইতিহাস বিষয়ে।

তিনি আরও বলেন, মন্ত্রণালয় জীবিত প্রত্যেক মুক্তিযোদ্ধার বক্তব্য ধারণের ব্যবস্থা করবে। ১৫-২০ মিনিটের ভিডিও ধারণের মাধ্যমে তাঁর মুক্তিযুদ্ধকালীন ভূমিকা ফুটে উঠবে।

মুজিববর্ষে মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযোদ্ধাদের স্মৃতি সংরক্ষণে মন্ত্রণালয়ের বেশ কিছু উদ্যোগের কথা উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ইতোমধ্যে ইহলোক ত্যাগ করা প্রত্যেক মুক্তিযোদ্ধার কবর একই ডিজাইনে পাকাকরণের উদ্যোগ নেওয়া হবে। যাতে একশ’ বছর পরও বীর সেনানীদের কবর মানুষ চিনতে পারে। এছাড়াও বধ্যভূমিসমূহ চিহ্নিত করে একই নকশায় সংরক্ষণ, যেসব স্থানে সম্মুখ সমরে যুদ্ধ হয়েছে তা সংরক্ষণের উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে।

তিনি বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক দূরদর্শিতা ও নেতৃত্বের গুণাবলীর বর্ণনা দিয়ে বলেন, তিনি দেশকে স্বাধীন করে অর্থনৈতিক মুক্তি দিতে চেয়েছিলেন। তার আগেই তাঁকে হত্যা করে দেশকে অনেক পিছিয়ে দেয়া হয়েছে।

তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা ৪০ বছর পর হলেও রাজাকারদের বিচার করেছেন, বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের ফাঁসিতে ঝুলিয়েছেন। এখন বঙ্গবন্ধু হত্যার আন্তর্জাতিক ও দেশীয় ষড়যন্ত্রকারীদের বিচারের মুখোমুখি করতে হবে।

অনুষ্ঠানে জাতীয় সংসদ সদস্য মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী, পুলিশ সুপার ফরিদ উদ্দিন আহমদ, বালাগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা মুস্তাকুর রহমান মফুরসহ মুক্তিযোদ্ধা, প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। বাসস

এসি
 


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি