ঢাকা, শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪

কোরবানির অর্থনীতি এবং স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় সংস্কার

প্রফেসর ড. মুহম্মদ মাহবুব আলী

প্রকাশিত : ২২:৪৯, ১৭ জুলাই ২০২০ | আপডেট: ২২:৫২, ১৭ জুলাই ২০২০

কোরবানির অর্থ হচ্ছে মনের পশুত্ব ত্যাগ করা। কোরবানির অর্থনৈতিক তাৎপর্যও অপরিসীম। কোরবানি ধর্মীয় নির্দেশের পাশাপাশি মুসলিমদের জন্য কেবল নয়, দেশের সকল মানুষের মধ্যে এক ধরনের অর্থনৈতিক তাৎপর্য এনে থাকে। এবারে করোনার ক্রান্তিকালে কোরবানির অর্থনীতি আরও বেশি করে সুস্পষ্ট হয়ে উঠছে। কেননা, পশু লালন পালনই নয়, এক স্থান থেকে অন্য স্থানে আনা-নেয়া, যে কয়দিন পশুটি গৃহে রাখা হবে তার দেখভাল করা, খাদ্য খাওয়ানো ঘাস-পাট-কাঠ-ছুরি-দাও-বঁটি, আবার কোরবানির মাংস বানানোর ক্ষেত্রে পেশাজীবী কসাইয়ের পাশাপাশি সেমি কসাইয়েরাও অংশ নিয়ে থাকে। তার সঙ্গে রয়েছে ধর্মীয় বিধান মেনে মাংস গরিব দুঃখীদের মধ্যে বিতরণ এবং বর্জ্য পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কর্মীরাও কিছু অর্থ উপার্জন করতে পারে।

বৈশ্বিক মহামারী আজ এমন জেঁকে বসেছে কোরবানির যে, অর্থনৈতিক অবদান আছে, তা ম্রিয়মান হতে বসেছে দেশে-বিদেশে, বিশেষত যে দেশগুলোতে সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমানদের বসবাস। আবার কোরবানির চামড়া থেকে খণ্ডকালীন চামড়া ব্যবসায়ী এবং পূর্ণকালীন চামড়া ব্যবসায়ীরাও লাভবান হয়ে থাকে। সাধারণত এদেশের মোট আশি শতাংশ চামড়া সংগ্রহের কাজটি হয়ে থাকে কোরবানির সময়। দেশে জবাইকৃত গবাদি পশুর চামড়ার গুণগতমান ভাল হলেও সংরক্ষণ ব্যবস্থা ঠিক থাকলে, যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা গেলে দেশের চামড়া শিল্প ও পাদুকা শিল্পে উপযুক্ত ব্যবহার করা যায়। যে বৈশ্বিক কোভিড অর্থনীতির ক্ষেত্রে ক্ষুরধার আঘাত হেনে চলেছে, তা থেকে উত্তরণের জন্য সরকারপ্রধান ‘জীবন ও জীবিকা’-র মধ্যে মেলবন্ধন ঘটাতে সচেষ্ট রয়েছেন। একজন প্রথম শ্রেণীর রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে জননেত্রী শেখ হাসিনা সামনে থেকে প্রথম থেকেই কোভিড ১৯-এর মধ্যেও মানুষের জন্য কাজ করে চলেছেন। 

স্বাস্থ্যবিধি মেনে কোরবানির পশুক্রয় করা এবং কোরবানির পশু জবাই করে ধর্মীয় বিধান মেনে কেউ কাউকে না ঠকিয়ে বিতরণ করা প্রয়োজন। গরিব মানুষদের জীবন নিয়ে এক শ্রেণীর মানুষ একধরনের বিভ্রান্তি ছড়ায়, যা মোটে গ্রহণযোগ্য নয়। ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে ই-কোরবানির হাট বসানোর সিদ্ধান্ত অধিকাংশ মানুষই প্রশংসা করেছে। কিন্তু সমস্যা হলো কেউ কেউ এতবেশি দাম হাঁকছে যে, যারা কোরবানির পশু কিনতে চাচ্ছে- মাত্রাতিরিক্ত দাম চাচ্ছে বলে গ্রাহকরা যে সমস্ত মন্তব্য করছে তাতে, সুস্পষ্ট হয়ে উঠেছে। স্বাস্থ্যের টেকনিক্যাল কমিটি যেভাবে রিপোর্ট দিয়েছে তাতে দেখা যায়, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই তারা মানুষের কিছুটা হলেও জীবিকা ফেরানোর প্রত্যাশার বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা কতটুকু বিবেচনায় এনেছে তা বোধগম্য নয়। আসলে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ডিজিটাল গরুর হাট বসালেই হবে না, তদারকির ব্যবস্থাও করতে হবে। নচেত জেকেজি-রিজেন্ট, পাপুল কাণ্ডের মতো ঘটনা ঘটার সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে। আবার অতিরিক্ত দাম হাঁকার পাশাপাশি পরীক্ষামূলকভাবে হোক সার্ভিস চার্জ ধারণ করা হয়েছে ২৩% এবং ঢাকার মধ্যে হলে ১৫০০ টাকা পৌঁছে দেয়ার চার্জ। আবার বেঙ্গল মিট চার্জ করছে বাইশ থেকে পঁচিশ হাজার টাকা মাথা পিছু গরু বানানো, যা সাধারণ মানুষের ধরাছোঁয়ার বাইরে। উচ্চ সার্ভিস চার্জ যে গ্রুপটি নির্ধারণ করেছে, তারা কেন করল এটি বোধগম্য নয়। এদিক দিয়ে ঢাকার দক্ষিণ সিটির পশুর হাট পাঁচটি জায়গায় স্থাপন করাটি যৌক্তিক হয়েছে। বিএনপি-জামায়াতীরা যে বসে নেই তা প্রতীয়মান হয় তাদের মিথ্যে গুজব এবং ফ্ল্যাট বাড়িতে যাতে কোরবানি না দেয়া যায় এবং বণ্টন ব্যবস্থার মাধ্যমে গরিবরা যাতে সীমিত পরিমাণে হলেও উপকৃত না হয়, তাদের ন্যায্য পাওয়া থেকে বঞ্চিত হয়, সেজন্য তৎপর থাকতে পারে। 

ঢাকার অনেক ফ্ল্যাট বাড়িতে মালিকপক্ষ এখন পর্যন্ত কোন কোরবানি দেয়া যাবে না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যদি এ ধরনের ব্যবস্থা হয় তবে একদিকে পশু খামারিরা যেমন ন্যায্য মূল্য থেকে বঞ্চিত হবেন, যারা সারা বছর ঐদিনটি ঘিরে তাদের অর্থনৈতিক আয়কে কিছুটা হলেও আয়-রোজগারের ব্যবস্থা করতেন, তারাও ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। ছদ্মবেশী বেকাররা আরও বেকারত্বের বোঝা বইবে। সরকারের সদিচ্ছাকে তারা আশানুরূপভাবে সাড়া না দিয়ে বরং দরিদ্র শ্রেণীকে নিষ্পেষিত করবে। এক্ষেত্রে বিএনপি-জামায়াতের কিছু সবজান্তা পণ্ডিত বিভিন্ন রকমের গুজব রটনা করছে। এমনিতেই যারা ই-মার্কেটিং করছি, মার্চ মাস থেকে দেখা যাচ্ছে নানা ধরনের সমস্যা। একটি ফার্মকে দেখা গেল যে, হঠাৎ করে ডেলিভারি অনক্যাশ বন্ধ করে দিয়েছে। আবার দেখা যায় যে, ক্রেডিট কার্ড জালিয়াতির গ্রুপও কিন্তু র‌্যাব দক্ষতার সঙ্গে ধরেছিল। আবার আরেকটি প্রতিষ্ঠান, যেটি এখন ফুড ফর নেশনের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে তারা একটি জিনিস দেখায়, দেয় আরেকটি। আবার নানারকম খেলার নাম করে হাতিয়ে নেয় অর্থ। সম্প্রতি লিচুর জন্য অর্ডার দিলাম আরেকটি প্রতিষ্ঠানে। তারা বলল ক্যাশ ইন ডেলিভারি হবে না। 

সম্প্রতি ভারতের নায়ক প্রসেনজিতের স্ত্রী অনলাইনের ফাঁদে পড়ে দেড় লাখ টাকা হারিয়েছেন বলে দৈনিক ইত্তেফাকের রিপোর্টে দেখা যায়। আমাদের দেশে ডিজিটাল পদ্ধতির হাট বসানো বেশ কয়েক বছর ধরে চললেও এবারের দুর্যোগপূর্ণ পরিবেশে ডিজিটাল হাট একটি অতিপ্রয়োজনীয় ব্যবস্থা। কিন্তু সে হাট যারা পরিচালনা করছেন তাদের তদারকি করাটা বেশ দরকার হয়ে পড়েছে। একজন চিকিৎসক যদি টাকার লোভে ভুয়া রিপোর্ট স্বামীসহ দিয়ে যে অসুস্থতার চক্র এবং সুনামহানি সমাজ ও রাষ্ট্রের করেছে, সুযোগ সন্ধানীরা এবার সে ধরনের কাণ্ড ই-কমার্সের মাধ্যমে দেশের মধ্যে ঘটালে তা সমস্যা তৈরি করতে পারে। কেন যেন মনে হয়, ন্যূনতম সততা সামাজিকভাবে হারিয়ে ফেলেছি। বরং মিথ্যের আবরণে সমাজ, রাষ্ট্রের ক্ষতি করতে বদ্ধপরিকর। সাবরিনা কিভাবে ডাক্তার হলো, জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে কারা তার মতো নিচ প্রকৃতির লোককে চিকিৎসক হিসেবে নিয়োগ দিল তাদের বিরুদ্ধেও তদন্ত হওয়া দরকার। কারা তাকে টিভি চ্যানেলে বিশাল সম্মান দিয়ে তিতুমীর কলেজকে কালিমায় ঢেকে দিয়ে দেশের ইমেজ নষ্ট করতে চাইল তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত হওয়া উচিত। তার স্বামীর এত ঔদ্ধত্য কেমন করে হয় যে, ভুয়া রিপোর্ট দিয়ে কেবল নিজের সম্পত্তি বাড়ানো নয়, বরং যারা দেশের মান ইজ্জত এবং মানুষের স্বাস্থ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলেছে! 

আবার সাহেদের যে ঐদ্ধত্য, শঠতা ও শিকারী প্রবৃত্তি তা দেশ ও জাতির জন্য ক্ষতির কারণ হয়েছে। একই কাণ্ড পাপুল আর তার স্ত্রী করেছে। সরকার বর্তমান ডেমেজ কন্ট্রোলের চেষ্টা করছে। অথচ এদেশে তিল তিল করে যে ব্র্যাড ইমেজ তা জননেত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্ব গুণে গড়ে উঠেছে। এ দুঃসময়ে একটি লোভাতুর শ্রেণীর সর্বগ্রাসী লোভে তো আর দেশ ও দশের ক্ষতি হতে পারে না। কেননা প্রাজ্ঞ নেত্রী শেখ হাসিনা সব সময়ে জনকল্যাণের চেষ্টায় রত রয়েছেন। অন্যদিকে ঘাপটি মারা একটি শ্রেণী হাওয়া বুঝে গিরগিটির মতো যখন তখন রং বদলাচ্ছে। এদের জন্য দেশের উন্নয়নের অভিযাত্রা যাতে ক্ষুণ্ন না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। আজ বিদেশে যে ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে, যেমন বাংলাদেশের কুয়েতের রাষ্ট্রদূত সম্পর্কে যে সংবাদ পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে, সেটি আসলে তদন্ত হওয়া দরকার। রাষ্ট্র যখন উন্নয়নের দিকে যাচ্ছে, কিন্তু পেছন থেকে দ্য ব্রুটাসের মতো ছুরিকাঘাত যাতে না করতে পারে, সে ব্যাপারে খেয়াল রাখা দরকার। রিজেন্টের সাহেদ তো বিএনপির সৃষ্টি। কেমন করে ভোল পাল্টাল? কারা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে তাকে সুযোগ দিয়েছে? কারা স্বাস্থ্য অধিদফতরকে ব্যবহার করেছে? যখন জাতীয় দুর্যোগ তখন তাদের মধ্যে কারা এ ধরনের অন্যায় করে কালিমা লেপনে পেছন থেকে ছুরিকাঘাত করতে চেষ্টা করেছে? তারা আর যাই হোক বর্তমান সরকার এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের শুভাকাক্সক্ষী নয়। যে গ্রুপটি এদের নিয়ে নাচানাচি করেছে তাদেরকেও চিহ্নিত করতে হবে। যখন সমগ্র জাতির জীবন ও জীবিকা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী কাজ করে চলেছেন, তখন একটি কায়েমী সুবিধাবাদী গোষ্ঠী, যাদের সংখ্যা কম হলেও ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে, সরকারপ্রধান সব সময়ে দুর্নীতির বিরুদ্ধে জেহাদ করে চলেছেন। অথচ অজান্তে স্বাস্থ্য মহাপরিচালকের অধিদফতরে পরিচালকের চারটি পদে কেমন করে ড্যাব নেতা ক্ষমতা দখল করে রাখেন, সেটিও বোধগম্য নয়। তলে তলে বেড়া কেটে দেয়ার উপায় হয়েছে। এদেরকে চিহ্নিত করার জন্য দুর্নীতি দমন কমিশনকে আরও শক্তিমত্তা নিয়ে কাজ করতে হবে। প্রয়োজনে শুধু চাকরিচ্যুতি নয়, বরং আইনের আওতায় আনতে হবে। 

প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা সঠিকভাবে যাতে বাস্তবায়ন হয়, সেদিকে খেয়াল রাখা দরকার। বর্তমান স্বাস্থ্য সচিব একজন যোগ্য ব্যক্তি। ডা. আব্দুল্লাহকে আরও কোন বড় দায়িত্ব দেয়া যায় কিনা যাতে স্বাস্থ্য খাতকে সঠিকভাবে পরিচালনায় একজন দক্ষ সারথী পাওয়া যায়, সে ব্যাপারটি প্রধানমন্ত্রী ভেবে দেখতে পারেন। আসলে দীর্ঘদিন আমরা প্রথমে ইংরেজদের উপনিবেশ পরে পাকিস্তানীদের উপনিবেশ ছিলাম। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে এদেশ স্বাধীনতা পেলেও ষড়যন্ত্র কিন্তু থেমে থাকেনি। বঙ্গবন্ধু ও তাঁর নিকটজনদের নৃশংসভাবে হত্যা একজন বাঙালী হিসেবে আমাদের কষ্ট দেয়। যারা না চাইতেই অনেক পেয়েছেন, কখনও কষ্ট করেননি-তাদের এবার পরীক্ষা দেয়া বাঞ্ছনীয় হয়ে পড়েছে। প্রজন্ম ’৭১-কে প্রমাণ করতে হবে তারা যে কোন কূটচালের বিরুদ্ধে দক্ষতার সঙ্গে কাজ করতে পারে। দেশের স্বাস্থ্যখাতের এডহকভিত্তিক পরিকল্পনা না করে দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনার আওতায় কাজ করতে হবে। যারা ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী, খামারী, গৃহ ও পরিবহন শ্রমিকসহ নানা পেশায় নিয়োজিতরা কাজ হারাচ্ছেন, তাদের জন্য স্থানীয় পর্যায়ে কর্মসংস্থান করতে হবে। পোড়খাওয়া আওয়ামী লীগাররা যাতে দলে তাদের অধিকার ফেরত পায় সেজন্য জননেত্রী সব সময়েই উন্মুখ। তার এ ইচ্ছার প্রতি সম্মান প্রদর্শন করে ভূইফোঁড়দের সম্মুখ সারিতে আসা থেকে আটকাতে হবে।

বস্তুত মানি মাল্টিপ্লায়ার তত্ত্বের কারণে আমরা জানি, অর্থ যত হাতবদল হয় তত অর্থ সম্প্রসারিত হয়। স্বাস্থ্যবিধি মেনে কোরবানি পশু ক্রয়ের ব্যবস্থা করা দরকার। যাতে সাধারণ ক্রেতারা ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। এদিকে কোরবানির ক্ষেত্রে যেহেতু তিনদিন সময় পাওয়া যায়, সেহেতু লটারীর ভিত্তিতে একটি নির্দিষ্ট সময়ে একটি ফ্ল্যাটের গবাদি পশু জবাই এবং বানানোর কাজ করা যেতে পারে। পর্যায়ক্রমে গবাদিপশু তৈরি করলে সামাজিক দূরত্ব বজায় থাকবে। আবার দরিদ্র মানুষের মধ্যে মাংস বিতরণের জন্যও একটি পদক্ষেপ গ্রহণ করা যেতে পারে। ঢাকার দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের কর্মকা- মানুষের প্রতি সহানুভূতিশীল। ফ্ল্যাট ও সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনায় কোরবানি দেয়ার নির্দেশ দরকার। বিএনপি-জামায়াত চক্রটি এবার কোরবানি নিয়ে যাতে কোন ধরনের ভুল বোঝাবুঝি সৃষ্টি করতে না পারে সেজন্য এখন থেকেই সতর্ক থাকতে হবে। একটি দুঃখজনক ঘটনা হলো আমাদের মধ্যে মাস্ক পরা, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার ব্যাপারে সরকারের বার বার আহ্বান জানানো সত্ত্বেও সচেতনতার অভাব রয়েছে। ডিজিটাল মার্কেটে যাতে ক্রেতা-বিক্রেতা কেউ না ঠকে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। 

আবার কোরবানির জন্য সার্ভিস চার্জ ২৩% করায় অনেক ক্রেতাই মনোক্ষুণ্ন হয়েছেন। পাশাপাশি রয়েছে ঢাকার মধ্যে পৌঁছে দেয়ার জন্য ১৫০০ টাকা। বেসরকারীরাও সুযোগ বুঝে চার্জ বাড়াচ্ছে। মানুষের জন্য কোরবানি দেয়া সার্ভিস চার্জের জন্য কষ্ট সাধ্য হয়ে পড়েছে। আসলে ব্যবসায়ীনির্ভর সিদ্ধান্ত নিয়েছে ঢাকার উত্তর সিটি কর্পোরেশন। চাকরিজীবীদের জন্য সমস্যার সৃষ্টি করেছে। কোরবানির অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় দরিদ্র শ্রেণী যেন তার প্রাপ্য থেকে বঞ্চিত না হয়। যাদের ঢাকা ছেড়ে গ্রামে কোরবানি দেয়ার অবস্থা নেই তাদের অনেকেই কোরবানি থেকে বঞ্চিত হবে এবার। আসলে ফুড ফর ন্যাশনের সঙ্গে বাংলাদেশ কৃষিব্যাংক, রাকার (RAKUB) এবং পিকেএসএফকে ডিজিটাল মার্কেটিং এবং ইন্টিগ্রেটেড মার্কেটিং কমিউনিকেশন প্রসেসকে কাজে লাগাতে হবে। ক্রেডিট কার্ড যাতে নিরাপদ থাকে, সে জন্য সতর্ক থাকতে হবে। যারা টকশোতে গরম গরম কথা বলে, তাদের উদ্দেশ্য সম্পর্কে সজাগ থাকতে হবে।

লেখক : ম্যাক্রো ও ফিন্যান্সিয়াল ইকোনমিস্ট ও প্রফেসর
Pipulbd@gmail. com

এসি

 


** লেখার মতামত লেখকের। একুশে টেলিভিশনের সম্পাদকীয় নীতিমালার সঙ্গে লেখকের মতামতের মিল নাও থাকতে পারে।
Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


টেলিফোন: +৮৮ ০২ ৫৫০১৪৩১৬-২৫

ফ্যক্স :

ইমেল: etvonline@ekushey-tv.com

Webmail

জাহাঙ্গীর টাওয়ার, (৭ম তলা), ১০, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫

এস. আলম গ্রুপের একটি প্রতিষ্ঠান

© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি