ঢাকা, শুক্রবার   ১০ মে ২০২৪

অনেক নিরীহ মানুষকে হত্যা করা হচ্ছে : নোমান

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৭:৫৭, ৪ জুন ২০১৮

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান বলেছেন, মাদক ব্যবসায়ী নিধনের নামে অনেক নিরীহ মানুষকে হত্যা করা হচ্ছে। মাদক ব্যবসার বিরুদ্ধে দেশের সব মানুষ আছে। যারা মাদক ব্যবসা করে, তারা ছাড়া সবাই এর বিরুদ্ধে। কিন্তু যে প্রক্রিয়ায় রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে মাদক ব্যবসায়ীদের নিধন চলছে, এটা সভ্য সমাজে কাম্য হতে পারে না। এসব বিষয়ে উচ্চ আদালতের আপিল বিভাগ অথবা সমপর্যায়ের বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি করা প্রয়োজন। সেটা নিম্ন আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট দিয়ে করলে চলবে না।

আজ সোমবার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের তৃতীয় তলার কনফারেন্স লাউঞ্জে জিয়াউর রহমানের ৩৭তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ‘বহুদলীয় গণতন্ত্র : শহীদ জিয়া এবং আজকের প্রেক্ষাপট’ শীর্ষক জাতীয়তাবাদী প্রজন্ম-৭১ আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

আবদুল্লাহ আল নোমান বলেন, মাদক ব্যবসায়ী নিধনের নামে অনেক নিরীহ মানুষ হত্যা করা হচ্ছে। কাউন্সিলর একরামের ব্যাপারে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও ওবায়দুল কাদের যে বক্তব্য দিয়েছেন, এই বক্তব্যের অর্থ কী? একরামের এ ঘটনা হত্যা না বন্দুকযুদ্ধ, সেটা নিয়ে অনেক আলোচনা হচ্ছে। আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, এই হত্যাকাণ্ডের বিচার হতে হবে।

তিনি বলেন, দেশে এখন একদলীয় শাসন ব্যবস্থা চলছে। সংবিধান থেকে মৌলিক কিছু বিষয় বাদ দেওয়া হয়েছে। আমরা মনে করি, নির্দলীয়-নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মাধ্যমে যে নির্বাচন হয়েছিল, সেগুলো মন্দের ভালো ছিল। কাজেই আজকে দেশে নির্বাচন করতে হলে নির্দলীয়-নিরপেক্ষ সরকার প্রয়োজন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যদি ষড়যন্ত্রের নির্বাচন করতে চায়, তাহলে বাংলাদেশের মানুষ এবার অতীতের আন্দোলনের মতো ঠেকিয়ে দেবে বলে আমি বিশ্বাস করি।

বিএনপির নেতা বলেন, আমি মনে করি, গণতান্ত্রিক আন্দোলন সব সময় জয়লাভ করেছে। আর যারা অস্ত্র নিয়ে রাজনীতি করেছে, তাদের সেই শক্তি কোনো না কোনো সময় পরাজিত হয়েছে। যেমন—আইয়ুব খান, ইয়াহিয়া খান, এরশাদ পরাজিত হয়েছে। তাদের হাতে অস্ত্র ছিল, টাকা ছিল, গুণ্ডা ছিল, কিন্তু শেষ পর্যন্ত তারা জনতার হাতে নিগৃহীত হয়ে পালিয়েছে। আমরা মনে করি, আজকে অনেকে শঙ্কিত, তারা মনে করেন এই আন্দোলন সফল হবে কি না। তাদের তো জেলখানা আছে। তাদের অস্ত্র, গুণ্ডা বাহিনী আছে, অর্থ আছে। কিন্তু এই অস্ত্র-অর্থ-গুণ্ডা কোনোটাই কাজে আসে না, যখন জনতার রুখে দাঁড়ায়।

আয়োজক সংগঠনের সভাপতি ঢালী আমিনুল ইসলাম রিপনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য দেন বিএনপির সহসাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ, মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কাজী আবুল বাশার, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মোহাম্মদ রহমাতুল্লাহ, খালেদা ইয়াসমিন প্রমুখ।


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি