ঢাকা, শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪

হানাদার বাহিনীর পলায়ন, বিজয়ের উল্লাসে ভোলাবাসী

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১২:১২, ১০ ডিসেম্বর ২০২২ | আপডেট: ১২:১৩, ১০ ডিসেম্বর ২০২২

আজ ১০ ডিসেম্বর ভোলা মুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালের এ দিনে পাকিস্তানী বাহিনীর কবল থেকে মুক্ত হয় দ্বীপ জেলা ভোলা। সেদিন সকালে হানাদার বাহিনী ভোলা লঞ্চঘাট হয়ে কার্গো লঞ্চযোগে পালিয়ে যায়। আর বিজয়ের উল্লাসে মেতে উঠে ভোলাবাসী।

এ খবর পেয়ে হাজার হাজার মুক্তিকামী মানুষ ভোলার রাজপথে নেমে আসে। ‘জয় বাংলা’ ‘তোমার নেতা, আমার নেতা’ ‘শেখ মুজিব, শেখ মুজিব’ স্লোগানে স্লোগানে মুখোরিত করে চারপাশ। 

ডিসেম্বরের প্রথম থেকেই বিভিন্ন স্থান থেকে মুক্তিযোদ্ধাদের বিজয়ের খবর আসতে শুরু করে। পাক হানাদারেরা নিশ্চিত পরাজয় টের পেয়ে পালানোর পথ খুঁজতে থাকে। ১০ ডিসেম্বর তাদের পালিয়ে যাওয়ার খবর চারিদিকে ছড়িয়ে পড়লে শহরের ভোলার খালে ব্যারিকেড দিয়ে হানাদারদের লঞ্চের গতিরোধ করার চেষ্টা করে মুক্তিকামী জনতা।

এসময় তারা গুলিবর্ষণ করতে করতে পালিয়ে যায়। পরে অবশ্য চাঁদপুরের ডাকাতিয়া নদীতে মিত্রবাহিনীর বিমান হামলায় কার্গো লঞ্চটি ডুবে গেলে পাক হানাদারদের সকল সদস্য নিহত হয়।

এ ব্যাপারে বীর মুক্তিযোদ্ধা এম হাবিবুর রহমান জানান, ভোলার পানি উন্নয়ন বোর্ড কার্যালয়ে (ওয়াপদা) পাকিস্তানী বাহিনীর অবস্থান ছিল। ১০ ডিসেম্বর রাতে ওয়াপদা ঘেরাওয়ের পরিকল্পনা নেই আমরা মুক্তিযোদ্ধারা। কিন্তু তারা পরাজয় জেনে আগেই সটকে পরে সেখান থেকে। পাকসেনাদের পালাবার খবরে হাজার-হাজার জনতা রাজপথে নেমে এসে বিজয় উল্লাসে মাতে।

তিনি বলেন, হানাদাররা পালিয়ে গেলে ওয়াপদা থেকে ৩০ বীরঙ্গণাকে উদ্ধার করে চিকিৎসা শেষে তাদের পরিবারের কাছে পৌঁছে দেয়া হয়। পরে সবার অংশগ্রহণে বিজয় র‌্যালি করা হয়। এক অন্যরকম আবেগঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয় সেদিন।

এদিকে যথাযথ মর্যাদায় দিবসটি পালনে জেলা প্রশাসন, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডসহ বিভিন্ন সামাজিক, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।

এএইচ


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি