ঢাকা, শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪

ক্রসফায়ারের ভয়ে সাজানো স্বীকারোক্তি দেন জজ মিয়া

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১১:২১, ২১ আগস্ট ২০১৯ | আপডেট: ১৮:১৪, ২১ আগস্ট ২০১৯

বর্বরোচিত ২১শে আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলা থেকে বিএনপি-জামায়াতের কুশীলবদের বাঁচাতে সাজানো হয় জজ মিয়া নাটক। ঘটনার পরের বছর জুন মাসে নোয়াখালীর সেনবাগে চায়ের দোকান থেকে মাদকসেবী ভবঘুরে জজ মিয়াকে গ্রেফতারও করা হয়। তবে, তিন বছর পর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় অধিকতর তদন্তে বেরিয়ে আসে, ঘটনার নেপথ্যের প্রকৃত সত্য।

২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার মোড় ঘুরাতে তৎকালীন বিএনপি- জামায়াত জোট সরকার ও আইন শৃংখলা বাহিনীর উর্ধ্বতন কিছু কর্মকর্তা যৌথভাবে মঞ্চ সাজায় জালাল উদ্দিন ড্রাইভার ওরফে জজ মিয়া নাটকের। ২০০৫ সালের ৯ জুন নোয়াখালীর সেনবাগের একটি চায়ের দোকান থেকে আটক করা হয় তাকে।

এরপর জজ মিয়াকে ঢাকার সিআইডি কার্যালয়ে এনে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার ভিডিও দেখিয়ে কিছু নাম শিখিয়ে দেয়া হয়। জজ মিয়া জানান, সিআইডি কর্মকর্তারা কিছু নাম মুখস্থ করতে বলে। একইসাথে হামলার দায় স্বীকার করতে ক্রসফায়ারের হুমকি দেয়া হয়।

নিজের ও পরিবারের সদস্যদের জীবন বাঁচাতে সাজানো স্বীকারোক্তি দিতে রাজি হন জজ মিয়া। সিআইডির এক কর্মকর্তা তাকে একটি কাগজে জবানবন্দি লিখে দেন। সেটি মুখস্থ করিয়ে জজ মিয়াকে গ্রেনেড হামলার ঘটনায় জড়িত বলে ১৬৪ ধারায় আদালতে স্বীকারোক্তি দেয়ায় সিআইডি। জজ মিয়া জানান, রাজসাক্ষী হলে পরিবারের সদস্যদের মাসিক টাকা এবং তাকে বিদেশে পাঠিয়ে দেয়ার আশ্বাসও দেন কর্মকর্তারা।

নানা নাটকীয়তার পর ২০০৮ সালের ১১ জুন আদালতে সিআইডি’র দাখিল করা চার্জশিটে ২২ জনকে আসামি করা হয়। সেখান থেকে বাদ দেয়া হয় জজ মিয়ার নাম। নির্মম নির্যাতন আর অমানুষিক কষ্টে টানা ৪ বছর ২৬ দিন অন্ধকার কুঠুরিতে থাকার পর মুক্তির স্বাদ পান জজ মিয়া।

বিএনপি- জামায়াত জোট সরকারের সাজানো মামলা থেকে মুক্তি পেলেও জজ মিয়া ভালো নেই। নিরাপত্তাহীনতার পাশাপাশি রয়েছে আর্থিক সমস্যা। পরিচয় গোপন করে দিন পার করতে হয় তাকে।

এসএ/

 


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি