ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪

চুয়াত্তরের দুর্ভিক্ষ: মার্কিন চক্রান্তে বন্ধ হয় খাদ্য সহায়তা (ভিডিও)

মানিক শিকদার, একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১১:৩৪, ৪ আগস্ট ২০২২ | আপডেট: ১১:৫১, ৪ আগস্ট ২০২২

স্বাধীনতার মাত্র ২ বছর যেতে না যেতেই ৩০ হাজার মানুষের মৃত্যু হয় দুর্ভিক্ষে। চক্রান্ত করে খাদ্য সহায়তা বন্ধ করে দেয় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। আন্তর্জাতিক খাদ্যনীতি গবেষণা প্রতিষ্ঠানের মহাপরিচালক ডক্টর ফারল্যান্ড বলেছিলেন, ১৯৭৪ সালের দুর্ভিক্ষ ছিল মানবসৃষ্ট।

৭১-এ মুক্তিযুদ্ধ, কৃষি উৎপাদনে চরম ব্যাঘাত ঘটে। ৭২-এর ক্ষরা ৭৩ সালের বন্যা এর সাথে যোগ হয় মধ্যপ্রাচ্যের যুদ্ধ ও জ্বালানি সংকট। অর্থনৈতিকভাবে ভেঙ্গে পড়ে সদ্য স্বাধীন দেশটি। এরমধ্যেই শুরু হয় বাংলাদেশ বিরোধী ষড়যন্ত্র, এর প্রভাবেই দেখা দেয় দুর্ভিক্ষ।  

হাভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ফেলো ও ব্রিটিশ গবেষক আলেকজান্ডার ওয়ালের কথায়, ওই সময় বাংলাদেশ আন্তর্জাতিকভাবে বিচ্ছিন্ন ছিল। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র খাদ্যসাহায্য বন্ধ করে দেয়। আর সেটা ছিল হেনরি কিসিঞ্জারের নিষ্ঠুরতম সিদ্ধান্ত।

আন্তর্জাতিক খাদ্যনীতি গবেষণা প্রতিষ্ঠানের মহাপরিচালক ড. জাস্ট ফারল্যান্ড ১৯৯২ সালের ৭ মার্চ ঢাকায় এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, ১৯৭৪ সালের দুর্ভিক্ষ ছিল মানবসৃষ্ট। তৎকালীন বাংলাদেশ সরকার ও মার্কিন প্রশাসনের মতবিরোধের কারণে খাদ্য সাহায্য বন্ধ হয়ে যায়।  

নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন ১৯৮১ সালে লিখেছিলেন, ১৯৭৪ সালের বাংলাদেশের দুর্ভিক্ষের কারণ আর যাই হোক, সেটা খাদ্য কমে যাওয়ার কারণে ঘটেনি। তবে ওই সময়ে বাংলাদেশকে খাদ্য না দিতে মার্কিন প্রশাসনের রাজনীতিটাও অস্বীকার করা যাবে না।

অধ্যাপক রেহমান সোবহান তাঁর লেখনিতে তুলে ধরেন, ১৯৭৪ সালে বাংলাদেশে দুর্ভিক্ষের প্রেক্ষাপটে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র রাজনৈতিক চাপ সৃষ্টি করে খাদ্য সাহায্যকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করে। সেই চাপ ছিল এমন একটি রাজনৈতিক পরিবর্তন আনার জন্য, যার ফসল ১৯৭৫ সালের পটপরিবর্তন।

এএইচ


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি