বাজেটে বেসরকারি চাকরিজীবীদের জন্য সুখবর
প্রকাশিত : ১৯:০৩, ২ জুন ২০২৫ | আপডেট: ২০:২৯, ২ জুন ২০২৫

২০২৫-২৬ অর্থবছরে প্রস্তাবিত বাজেটে বেসরকারি চাকরিজীবীদের জন্য আয়করে স্বস্তির খবর মিলেছে। বেসরকারি চাকরিজীবীদের করযোগ্য আয় নির্ধারণের সময় তাঁরা যে ব্যয় বা খরচের ভিত্তিতে কিছু আয় বাদ দিতে পারেন, তার সর্বোচ্চ সীমা আগে ছিল সাড়ে ৪ লাখ টাকা। এবার তা বাড়িয়ে ৫ লাখ টাকা করা হয়েছে।
সোমবার (২ জুন) ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট প্রস্তাবকালে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহ্উদ্দিন আহমেদ এ প্রস্তাব করেন।
বেসরকারি চাকরিজীবীদের বার্ষিক বেতন থেকেই মূলত করযোগ্য আয় নির্ধারণ করা হয়। তবে হাউস রেন্ট, চিকিৎসা ভাতা, যাতায়াত ভাতা ইত্যাদি কিছু খরচ বেতনের আয় থেকে বাদ দেওয়া যায়।
এসব বাদ দেওয়ার সুযোগকে বলা হয় অ্যালাউয়েবল এক্সেম্পশন, যার ফলে প্রকৃত করযোগ্য আয় কিছুটা কমে যায়।
এবারের বাজেটে বেসরকারি চাকরিজীবীদের করযোগ্য আয় পরিগণনার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ বাদযোগ্য অংকের পরিমাণ ৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা হতে বাড়িয়ে ৫ লাখ টাকা করা হয়েছে।
অর্থউপদেষ্টা বাজেট প্রস্তাবকালে বলেন, কর পরিপালন উৎসাহিত করার লক্ষ্যে কর ন্যায্যতা প্রতিষ্ঠায় অর্থ অধ্যাদেশ-২০২৫ এর মাধ্যমে বেশ কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।
এগুলো হলো- ন্যূনতম করের কারণে কোনো করদাতাকে নিয়মিত করের যে পরিমাণ অতিরিক্ত কর প্রদান করতে হয় তা পরবর্তী করবর্ষসমূহে সমন্বয় করার সুযোগ থাকবে।
উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, একজন বেসরকারি চাকরিজীবীর বার্ষিক বেতন ১০ লাখ টাকা হলে তার মধ্যে হাউস রেন্ট, চিকিৎসা ভাতা ইত্যাদি মিলে ৬ লাখ টাকা বাদযোগ্য। আগে সর্বোচ্চ সাড়ে ৪ লাখ টাকা পর্যন্ত বাদ দেওয়া যেত। কিন্তু এখন থেকে সর্বোচ্চ ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত বাদ দেওয়া যাবে।
এর প্রভাবে বেসরকারি চাকরিজীবীরা কিছুটা বেশি করছাড় পাবেন। তাঁদের করযোগ্য আয় কমবে, তাই কর কমে আসবে।
এমবি//
আরও পড়ুন