অবশেষে চীনা প্রতিষ্ঠানই ডিএসইসির অংশীদার
প্রকাশিত : ২১:৪১, ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

সব জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে চীনা সাংহাই স্টক এক্সচেঞ্জ ও সেনজেন কনসোর্টিয়ামের কাছেই শেয়ার বিক্রির চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসইসি)। এদিকে সর্বেোচ্চ লবি নিয়োগ করেও শেয়ার কিনতে ব্যর্থ হয়েছে ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জ অব ইন্ডিয়ার (এনএসই) কনসোর্টিয়াম।
কৌশলগত বিনিয়োগকারী নির্ধারণে আগের সিদ্ধান্তেই অনড় আছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)। তাই আজ সোমবার অনুষ্ঠিত পরিচালনা পর্ষদ সভায় এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এর আগে চীনা প্রতিষ্ঠানকে অংশীদারি দেওয়ার ব্যপারে সিদ্ধান্ত হলেও তা চূড়ান্ত করতে পারছিলেন না ডিএসই।
সিদ্ধান্তের বিষয়ে ডিএসইর চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. আবুল হাশেম সাংবাদিকদের বলেন, সাংহাই স্টক এক্সচেঞ্জ ও সেনজেন স্টক এক্সচেঞ্জকে কৌশলগত বিনিয়োগকারী হিসেবে পার্টনার করতে আমাদের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়েছে। ডিএসইর ব্যবস্থাপনা পরিচালককেই দায়িত্ব দেয়া হয়েছে, তার নেতৃত্বে এ প্রস্তাবনা বিএসইসিতে জমা দেওয়া হবে।
তিনি বলেন, যত দ্রুত সম্ভব আমরা বিএসইসিতে এ প্রস্তাবনা পাঠাব। এরপর নিয়ন্ত্রক সংস্থা তা আইনগতভাবে যাচাই করে তাদের সিদ্ধান্ত জানালে পরবর্তী করণীয় ঠিক হবে। এ সময় পাশে উপস্থিত থাকা ডিএসইর ব্যবস্থাপনা পরিচালক কে এ এম মাজেদুর রহমান বলেন, আমরা ডিএসইর প্রস্তাবনা এ সপ্তাহের মধ্যে জমা দেব।
ডিএসইর পরিচালনা পর্ষদ সূত্রে জানা গেছে, কৌশলগত বিনিয়োগকারী হিসেবে ডিএসইর শেয়ার কিনতে দু’টি কনসোর্টিয়াম টেন্ডারে অংশ নেয়। এর মধ্যে একটি হলো সাংহাই স্টক এক্সচেঞ্জ ও সেনজেন কনসোর্টিয়াম এবং অন্যটি হলো ভারতের ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জ, ফন্ট ইয়ার বাংলাদেশ ও নাসডাক।
সাংহাই স্টক এক্সচেঞ্জ ও সেনজেন কনসোর্টিয়াম ডিএসইর ২৫ শতাংশ শেয়ার কেনার প্রস্তাব দিয়েছে। এ জন্য কনসোর্টিয়ামটি ডিএসইর প্রতিটি শেয়ারের দাম দিতে চেয়েছে ২২ টাকা। এর পাশাপাশি ডিএসইকে ৩৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের কারিগরি সহায়তা দেয়ার প্রস্তাব দিয়েছে সাংহাই স্টক এক্সচেঞ্জ ও সেনজেন কনসোর্টিয়াম।
কৌশলগত বিনিয়োগকারী হওয়ার আগ্রহ দেখিয়ে ভারতের ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জ, ফন্ট ইয়ার বাংলাদেশ ও নাসডাক কনসোর্টিয়াম ডিএসইর ২৫ দশমিক শূন্য ১ শতাংশ শেয়ার কেনার প্রস্তাব দিয়েছে। এ জন্য কনসোর্টিয়ামটি ডিএসইর প্রতিটি শেয়ারের দাম দিতে চেয়েছে ১৫ টাকা। পাশাপাশি কারিগরি সহায়তা দেয়ারও প্রস্তাব দিয়েছিল তারা। তবে কী পরিমাণ কারিগরি সহায়তা দেবে, সে সংক্রান্ত কোনো তথ্য টেন্ডারে উল্লেখ করেনি ভারতীয় প্রতিষ্ঠানটি।
আরকে/ এমজে
আরও পড়ুন