ঢাকা, শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪

অবসরে প্রধান বিচারপতি

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১১:২৭, ৩০ ডিসেম্বর ২০২১

অবসরে যাচ্ছেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন। সংবিধান অনুসারে বয়স ৬৭ বছর পূর্ণ হওয়ায় ৩০ ডিসেম্বর (বৃহস্পতিবার) অবসরে যাচ্ছেন তিনি। অফিসিয়ালি সুপ্রিম কোর্টে বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের শেষ কার্যদিবস।

এরও আগে গত ১৫ ডিসেম্বর শেষ বিচারিক কর্মদিবস পালন করেন বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন। গত ১৯ ডিসেম্বর থেকে সুপ্রিম কোর্টে শুরু হয় অবকাশ। এর ফলে অবকাশে বসেননি আপিল বিভাগ। তাই দেশের ২২তম প্রধান বিচারপতিকে গত ১৫ ডিসেম্বর শেষ বিচারিক কর্মদিবসে বিদায় সংবর্ধনা দেওয়া হয়।

এক নজরে বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন
বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন ১৯৫৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর কুমিল্লা জেলার নাঙ্গলকোট উপজেলার দৌলখাঁড় ইউনিয়নের দেওভান্ডার গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবার নাম সৈয়দ মুস্তফা আলী ও মায়ের নাম বেগম কাওসার জাহান।

সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের শিক্ষা জীবন কেটেছে কুমিল্লা শহরে। কুমিল্লা জেলা স্কুল থেকে ১৯৭২ সালে সেকেন্ডারি স্কুল সার্টিফিকেট, কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজ থেকে ১৯৭৪ সালে এইচএসসি পরীক্ষা এবং একই কলেজ থেকে ১৯৭৬ সালে বিএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। পরে ১৯৮০ সালে কুমিল্লা আইন কলেজ থেকে এলএলবি ডিগ্রি অর্জন করেন। এছাড়া তিনি লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অব ওরিয়েন্টাল আফ্রিকান স্টাডিজ এবং ইনস্টিটিউট অব অ্যাডভান্সড লিগ্যাল স্টাডিজ থেকে ছয় মাসের ‘কমনওয়েলথ ইয়াং ল ইয়ার্স কোর্স’ সম্পন্ন করেন।

১৯৮১ সালে তিনি আইনজীবী হিসেবে জেলা বারের সনদ প্রাপ্ত হন। বিএসসি ও এলএলবি সম্পন্ন করে ১৯৮১ সালে জেলা জজ আদালতে কাজ শুরু করেন তিনি। এরপর ১৯৮৩ সালে হাইকোর্ট বিভাগে অ্যাডভোকেট হিসেবে তিনি অন্তর্ভুক্ত হন। ১৯৯৯ সালে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ পান। সৈয়দ মাহমুদ হোসেন ২০০১ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত বিচারপতি হিসেবে এবং এর দুই বছর পর ২০০৩ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি একই বিভাগে স্থায়ীভাবে নিয়োগ পান। এরপর ২০১১ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি তিনি আপিল বিভাগের বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান।  

সৈয়দ মাহমুদ হোসেন দুইবার নির্বাচন কমিশন গঠনের জন্য গঠিত সার্চ কমিটির চেয়ারম্যান ছিলেন।
এসএ/

 


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি