অর্থ সংগ্রহে ডাকাতিতে হুজি সদস্যরা
প্রকাশিত : ১৫:৩৫, ৪ মার্চ ২০১৯ | আপডেট: ১৫:৫০, ৪ মার্চ ২০১৯

রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থানা ও রামপুরা এলাকায় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা (পূর্ব) বিভাগের একটি টিম বিশেষ অভিযানে ব্যাংক ডাকাতির প্রস্তুতিকালে ১২জন ডাকাত ও সরকার কর্তৃক নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন হরকাতুল জিহাদ এর দু`জন সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে।
সোমবার (৪ মার্চ) দুপুর ১২টায় ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) আব্দুল বাতেন এ তথ্য জানান। রাত সোয়া ৮টা ও পৌনে ১২টায় বিশেষ অভিযানে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ডাকাত দলের সদস্যরা হুজি সদস্যদের সঙ্গে যুক্ত। তারা অর্থ সংগ্রহের জন্য নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন হরকাতুল জিহাদ এর সঙ্গে মিলে বিভিন্ন জায়গায় ডাকাতি করছে। এর মাধ্যমে তারা জেলে থাকা তাদের নেতা উজ্জ্বলকে উদ্ধারের চেষ্টা চালাচ্ছে।
এ সময় ডাকাতদের কাছ থেকে ৪টি বিদেশি পিস্তল, ৩৩ রাউন্ড গুলি, ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত একটি পিক আপ, মুখোশ এবং ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত চাপাতি, ছোড়া, কাটার, ফ্রেমসহ হেক্সো ব্লেড, স্লাই রেঞ্চ, স্ক্রু ড্রাইভার, স্কচটেপ উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত ডাকাত দলের সদস্যরা হলো-১. মোফাজ্জল হোসেন ওরফে বড় ভাই ওরফে দাদা ওরফে দাদু (ডাকাত সর্দার)। ২. জহির উদ্দিন চৌধুরী। ৩. আতিকুর রহমান ৪. মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান নয়ন। ৫. লাড্ডু মোল্লা। ৬. কাইয়ুম শিকদার। ৭. আলাউদ্দিন শেখ। ৮. মুন্সি খসরুজ্জামান ওরফে মেজর। ৯. জাহাঙ্গীর হাওলাদার ১০. সুব্রত দাস ১১.মিন্টু কর্মকার ১২. অলিউল্লাহ হাওলাদার অলি।
আর গ্রেফতারকৃত হুজি সদস্যরা হলো- ১. হাফেজ ওরফে খালিদ ওরফে ইব্রাহিম গাজী। ২. মামুনুর রশিদ ওরফে বাচ্চু মোল্লা। এ সময় তাদের কাছ থেকে ২টি অগ্নেয়াস্ত্র (১টি বিদেশি একে পয়েন্ট ২২ বোরের রাইফেল ও ১টি পাইপ গান), ৮ রাউন্ড গুলি, জিহাদি বই, গানপাউডার, ককটেল ও সংগঠন পরিচালনার কাজে ৩ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানায়, গ্রেফতারকৃত ডাকাতরা ধোলাইপাড় মোড়স্থ পূবালী ব্যাংকের সিকিউরিটি গার্ডদেরকে জিম্মি করে ডাকাতি করতে সমবেত হয়েছিল। ঢাকার কদমতলী, রামপুরা, সাভার ও ময়মনসিংহ, মুন্সিগঞ্জ, যশোর, ফেনী কুমিল্লাসহ অন্যান্য জেলার বিভিন্ন স্থানের ব্যবসায়িক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে ডাকাতি করেছে।
তারা আরও জানায়, গত ১৩ জানুয়ারি ২০১৯ ময়মনসিংহের ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো কোম্পানিতে ডাকাতির চেষ্টাকালে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে তারা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ করে। উক্ত ঘটনায় পুলিশের একজন সদস্য বুকে গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হন।
তাদের জিজ্ঞাসাবাদে আরও জানা যায়, আসামীরা সীমান্ত পাড়ি দিয়ে ভারতের বিভিন্ন স্থানে ডাকাতি সংঘটনকালে গ্রেফতার হয়ে বিভিন্ন মেয়াদে জেলও খেটেছে।
এসি
আরও পড়ুন