ঢাকা, মঙ্গলবার   ০৮ জুলাই ২০২৫

অশান্ত হয়ে উঠছে রোহিঙ্গা ক্যাম্প, আতংকে স্থানীয়রা (ভিডিও)

শতরূপা দত্ত

প্রকাশিত : ১৪:০২, ২৯ অক্টোবর ২০২২ | আপডেট: ২০:৫২, ২৯ অক্টোবর ২০২২

Ekushey Television Ltd.

অশান্ত হয়ে উঠছে কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফের রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলো। সন্ত্রাসীদের হাতে খুন হচ্ছেন একের পর এক রোহিঙ্গা নেতা। অভ্যন্তরীণ বিরোধ, ক্যাম্পে আধিপত্য বিস্তার, মাদক ও অস্ত্র ব্যবসার বিরোধে এসব অপরাধ ঘটছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। রোহিঙ্গাদের পাশাপাশি আতংকে আছেন স্থানীয় বাংলাদেশিরাও। 

২০২১ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর রাতে উখিয়ার লাম্বাশিয়া ক্যাম্পের ডি ব্লকে সংগঠনের কার্যালয়ে সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত হন রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহ। আরাকান রোহিঙ্গা সোসাইটি ফর পিস অ্যান্ড হিউম্যান রাইটসের এই চেয়ারম্যান রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে ভূমিকা রাখছিলেন। হত্যাকাণ্ডের আসামিদের অধিকাংশই রোহিঙ্গা বলে জানিয়েছে পুলিশ। 

এরপর থেকেই খারাপ হতে থাকে রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোর পরিস্থিতি। বেপরোয়া হয়ে উঠতে থাকে সন্ত্রাসীরা। 

বিরোধ ও আধিপত্য বিস্তার, ইয়াবা ব্যবসা ও অবৈধ অস্ত্রকারবার ছাড়াও প্রত্যাবাসনের পক্ষে কথা বলায় হত্যা করা হচ্ছে একের পর এক রোহিঙ্গা মাঝিকে। এপিবিএন ও জাতীয় দৈনিকগুলোর তথ্যমতে, চলতি বছর ছয় মাসে ২৩ জন রোহিঙ্গা মাঝি ও স্বেচ্ছাসেবক খুন হয়েছেন। গত তিন মাসেই রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ১৬ জন খুন হয়েছেন। অধিকাংশ হত্যার শিকার হয়েছেন ক্যাম্পভিত্তিক ব্যবস্থাপনা কমিটির নেতা ও পাহারারত স্বেচ্ছাসেবকরা।

স্থানীয়রা বলছেন, মিয়ানমার থেকে আসা সন্ত্রাসীরা বিপুল পরিমাণ ইয়াবা ও অবৈধ অস্ত্র নিয়ে আসছে। তাদের সহযোগিতা করছে স্থানীয় সন্ত্রাসীরা। 

স্থানীয় একজন বলেন, "বার্মা থেকে ইয়াবা এনে ক্যাম্পে ঢুকায়, সেখান থেকে ইয়াবার চালান দেয় বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে।"

সন্ত্রাসীদের তৎপরতার কারণে সাধারণ রোহিঙ্গাদের পাশাপাশি আতংকে রয়েছে ক্যাম্পের ভিতরে অবস্থানরত স্থানীয় বাংলাদেশিরাও।

উখিয়ার পালংখালী ইউপি চেয়ারম্যান গফুর উদ্দিন চৌধুরী বলেন, "আমরা মিয়ানমারের অস্থিরতা নিয়ে শঙ্কিত না, বরং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের অস্থিরতা নিয়ে আমরা বেশি শঙ্কিত।"

রোহিঙ্গা ক্যাম্প ও স্থানীয়দের মাঝে স্বস্তি ফেরাতে চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের আইনের আওতায় আনার চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছে প্রশাসন।

উখিয়া এপিবিএন এর সহকারী পুলিশ সুপার ফারুক আহমেদ বলেন, "হত্যাকাণ্ডসহ বিভিন্ন অপরাধের মূল কারণ হল তারা আধিপত্য বিস্তারের পর এখন মাদক ব্যবসার মধ্যদিয়ে অবৈধভাবে অর্থ উপার্জন করতে চায়।"

মিয়ানমারের রাখাইনে সেনাবাহিনীর নির্যাতনের মুখে ২০১৭ সালের ২৫ আগস্টের পর উখিয়া-টেকনাফের বিভিন্ন সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেন প্রায় ১২ লাখ রোহিঙ্গা। উখিয়া ও টেকনাফের ৩৪টি ক্যাম্পে থাকছেন এই রোহিঙ্গারা।

এসবি/ 


 


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি