আওয়ামী লীগের ব্যাপক বিজয়ে বিশ্ব নেতৃবৃন্দের অভিনন্দন
প্রকাশিত : ২০:৪৪, ৬ জানুয়ারি ২০১৯
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নিরঙ্কুশ বিজয়ে অর্জন করায় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনাকে আন্তরিক অভিনন্দন জানিয়েছেন বিশ্ব নেতৃবৃন্দ।
এ পর্যন্ত ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, বিজেপির সাধারণ সম্পাদক রাম মাধব, চীনের রাষ্ট্রপতি শি জিনপিং ও প্রধানমন্ত্রী লি কেকিয়াং। ভুটানের প্রধানমন্ত্রী লোটে শেরিং, ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব, ওমানের সুলতান কাবুস বিন সাইদ আল সাইদ, সুদানের প্রধানমন্ত্রী মুতাজ মুসা আবদুল্লাহ, ডি-৮ (উন্নয়নশীল-৮)-এর মহাসচিব দাতো কু জাফর কু শারি শেখ হাসিনাকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম এতথ্য নিশ্চিত করেছেন।
প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম এর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, আওয়ামী লীগ সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ফোন করে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এছাড়া নির্বাচনের পরদিন সোমবার আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে ফোন দিয়ে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বিজেপি সাধারণ সম্পাদক রাম মাধব।
আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন চীনের রাষ্ট্রপতি শি জিনপিং ও প্রধানমন্ত্রী লে কেকিয়াং। সোমবার (৩১ ডিসেম্বর) সকালে শেখ হাসিনাকে এ অভিনন্দন জানান তারা। একই দিনে অভিনন্দন জানান ভুটানের প্রধানমন্ত্রী লোটে শেরিং। একইভাবে অন্য দেশের প্রধানরাও অভিন্দন জানিয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে।
তাছাড়া ডি-৮ (উন্নয়নশীল-৮)-এর মহাসচিব দাতো কু জাফর কু শারি এবং ইন্টার প্রেস সার্ভিস নর্থ আমেরিকা (আইপিএস ফোরাম) সভাপতিও শেখ হাসিনাকে আন্তরিক অভিনন্দন জানিয়েছেন।
নির্বাচনের পরদিন সোমবার ভোরে (৪.১০ মিনিটে) নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ গণমাধ্যমে নির্বাচনের ফলাফলের সরকারি ঘোষণা দেন। ঘোষিত ২৯৮টি আসনের মধ্যে ২৫৯টি আসনে নিরঙ্কুশ জয় পেয়েছে আওয়ামী লীগ। এছাড়া এরশাদের জাতীয় পার্টি পেয়েছে ২০টি আসন। বিএনপি পেয়েছে ৫টি আসন। অন্যান্য দলগুলোর মধ্যে স্বতন্ত্র ৩টি, ওয়ার্কার্স পার্টি ৩টি, জাসদ ২টি, বিকল্পধারা ২টি, গণফোরাম ২টি, তরিকত ফেডারেশন ও জেপি পেয়েছে ১টি করে আসন। নির্বাচনের আগে গাইবান্ধা-৩ আসনের এক প্রার্থী নিহত হওয়ার পর ওই আসনে ভোট গ্রহণ স্থগিত রাখা হয়।
১৯৭০ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ১৬০ আসন পেয়ে বিজয়ী হয়েছিল। পাকিস্তান পিপলস পার্টি পেয়েছিল ৮৩ আসন। ১৯৭৯ সালের নির্বাচনের নির্বাচনে বিএনপি ২০৭ আসন পায়। আওয়ামী লীগ পায় ৫৪ আসন। সংসদীয় ব্যবস্থা চালুর পর ২০০১ সালে বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোট ২১৬ আসনে জয়ী হয়। আওয়ামী লীগ পেয়েছিল ৬২ আসন। ২০০৮ সালে মহাজোট ২৬৩ এবং চারদলীয় জোট ৩৩ আসন পায়। ২০১৪ সালের নির্বাচনে বিএনপিসহ অধিকাংশ দল অংশগ্রহণ করেনি।
বিচ্ছিন্ন সহিংস ঘটনা ছাড়া সারা দেশে উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠিত হয় একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ২৯৯টি ভোটগ্রহণ হয়। ভোট চলার সময়ে অন্তত ৬৯ প্রার্থী নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেন। সংঘাতে প্রাণ গেছে অন্তত ১৯ জনের। এর অধিকাংশই আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী।
আরকে//
আরও পড়ুন
