আগামী নির্বাচনে সব দল অংশ নেবে : শেখ হাসিনা
প্রকাশিত : ২২:৩৩, ৫ জুলাই ২০১৮ | আপডেট: ১৬:২৩, ৬ জুলাই ২০১৮

আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দলীয় এমপিদের নির্বাচনের প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশ দিয়ে বলেছেন, আগামী সংসদ নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হবে। সব দল নির্বাচনে অংশ নেবে। তাই দলের সাংগঠনিক শক্তি বাড়াতে হবে। সেইভাবে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার প্রস্তুতি নিতে হবে। দলের অভ্যন্তরীণ কোন্দল দ্রুত মিটিয়ে ফেলারও নির্দেশ দেন তিনি।
বৃহস্পতিবার সংসদ ভবনের নবম তলায় সরকারি দলের সভাকক্ষে আওয়ামী লীগের সংসদীয় দলের বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন।
বৈঠকের পর বেরিয়ে নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান সাংবাদিকদের বলেন, আগামী নির্বাচনে নামে হোক বেনামে হোক বিএনপি অংশ নেবে। দল থেকে যাকে মনোনয়ন দেওয়া হবে, তার পক্ষে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী কঠোর নির্দেশনা দিয়েছেন।
বৈঠকে জানানো হয়, আগামী রোববার সংবিধানের সপ্তদশ সংশোধনী বিল পাস হবে। বিল পাসের ক্ষেত্রে বিভক্তি ভোটসহ বিভিন্ন আনুষ্ঠানিকতার বিষয়ে বৈঠকে এমপিদের ব্রিফ করা হয়। গত ১০ এপ্রিল এ বিল সংসদে উত্থাপিত হয়। সংসদীয় কমিটি সেটি যাচাই-বাছাই করে ৬ জুন সংসদের বৈঠকে প্রতিবেদন দেয়। বিলে সংসদের সংরক্ষিত ৫০ নারী আসনের মেয়াদ আরও ২৫ বছর বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। বিল পাসের দিন সব এমপিকে সংসদের বৈঠকে উপস্থিত থাকার জন্য প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা দিয়েছেন।
বর্তমান সাংসদদের সবাই আগামী নির্বাচনে মনোনয়ন নাও পেতে পারেন— এমন কথা উল্লেখ করে বৈঠকে শেখ হাসিনা বলেন, বর্তমান এমপিদের অনেকেই বাদ পড়তে পারেন। জনপ্রিয়তা দেখে নমিনেশন দেওয়া হবে। গত নির্বাচনে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী নুরুল ইসলাম বিএসসি ও ধর্মমন্ত্রী অধ্যক্ষ মতিউর রহমান মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন; কিন্তু দলের প্রয়োজনে তারা সরে দাঁড়িয়েছেন। আগামী নির্বাচনেও যে কাউকে এ ধরনের ত্যাগ স্বীকার করতে হতে পারে। সবাইকে সেই মানসিক প্রস্তুতি রাখতে হবে।
এ সময় আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, সংরক্ষিত আসনের অনেক নারী সংসদ সদস্য তার নিজের এলাকা বা তার জন্য নির্ধারিত নির্বাচনী এলাকায় গিয়ে খবরদারি করেন। এ ধরনের তথ্য তার কাছে রয়েছে। এমন খবর তিনি আর শুনতে চান না। নারী এমপিদের তিনি এলাকায় গিয়ে খবরদারি না করার নির্দেশনা দেন।
নারী সাংসদদের সতর্ক করে দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, নারী এমপিদের এলাকা চিহ্নিত করে দেওয়া হলেও, তাদের ওই এলাকায় মনোনয়নের প্রত্যাশা করা ঠিক হবে না। নির্বাচিত এমপি ও মনোনয়নপ্রত্যাশীদের পরস্পরের প্রতি বিষোদগার না করারও নির্দেশ দেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, অনেক এলাকায় সংসদ সদস্য এবং নতুন মনোনয়নপ্রত্যাশীরা একে অপরের বিরুদ্ধে কথা বলেন। এ ধরনের ঘটনাও তিনি দ্বিতীয়বার শুনতে চান না। যিনি এমপি, এলাকায় গিয়ে তার কথা বলার অধিকার রয়েছে। যিনি মনোনয়ন চান, তারও সেই অধিকার আছে। পরস্পরকে দোষারোপ না করে সবাইকে জনগণের দুয়ারে যেতে হবে। সরকারের উন্নয়নের কথা তুলে ধরে ভোট চাইতে হবে। তৃণমূলের সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ে তুলতে হবে।
এসএইচ/
আরও পড়ুন