ঢাকা, রবিবার   ২৭ জুলাই ২০২৫

আজ বাংলাদেশের উন্নয়নশীল দেশের স্বীকৃতি মিলতে পারে!

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১০:৩৬, ১২ মার্চ ২০১৮

Ekushey Television Ltd.

বিশ্বের কোন দেশ অর্থনৈতিক এবং সামাজিকভাবে কতটা অগ্রগতি করেছে সেটি মূল্যায়নের জন্য জাতিসংঘের অর্থনৈতিক এবং সামাজিক পরিষদের উন্নয়ন নীতিবিষয়ক কমিটি বা সিডিপি আজ সোমবার নিউইয়র্কে বৈঠকে বসতে যাচ্ছে। এ বৈঠকের মাধ্যমে বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে উঠে আসার স্বীকৃতি মিলবে বলে সরকারি কর্মকর্তারা বলছেন।

কিন্তু এই স্বীকৃতির ফলে কি লাভ হবে বাংলাদেশের? অর্থনীতিবিদ ড. আহসান মনসুর বলছেন, বিষয়টি কোন দেশের জন্য গৌরবের। জাতি হিসেবে সবাই চায় নিজেদের মর্যাদা ও গৌরব প্রতিষ্ঠিত করতে। তবে, এর ফলে বস্তুগত কোন উন্নয়ন বা সুবিধা আলাদা করে বাংলাদেশ পাবে বলে তিনি মনে করেন না। কিন্তু এই স্বীকৃতি বাংলাদেশকে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে সম্মানিত করবে।

স্বল্পোন্নত থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের জন্য তিনটি সূচক বিবেচনা করা হয়। তিন বছরের গড় মাথাপিছু জাতীয় আয়, মানবসম্পদ সূচক, যাতে পুষ্টি, স্বাস্থ্য, স্কুলে ভর্তি ও শিক্ষার হারের সমন্বয়ে তৈরি হয়, এবং অর্থনৈতিক ভঙ্গুরতা সূচক, যেটি প্রাকৃতিক দুর্যোগ, বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক আঘাত, জনসংখ্যার পরিমাণ এবং বিশ্ববাজার থেকে একটি দেশের দূরত্বের ওপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়।
কর্মকর্তারা বলছেন, এই প্রতিটিতে বাংলাদেশ অগ্রগতি করেছে।

যদিও ড. মনসুর বলছেন, এই স্বীকৃতি পাবার জন্য বাংলাদেশের লম্বা সময় লেগেছে। স্বাধীনতার পর ৪৭ বছর পেরিয়ে গেছে।
কিন্তু ড. মনসুর বলছেন, বাংলাদেশের অর্থনীতির প্রাথমিক অবস্থা অত্যন্ত প্রতিকূল ছিল। তাছাড়া গত দশ বা পনের বছরে উন্নয়নের ধারা যেমন অব্যাহত ছিল, সেটি যদি আরও আগে শুরু হতো, তাহলে বাংলাদেশ এই স্বীকৃতি আগেই পেতে পারত।
জাতিসংঘের এ কমিটি প্রতি তিন বছর পর-পর বৈঠকে বসে।

একটি বিশেষজ্ঞ টেকনিক্যাল কমিটির মাধ্যমে উন্নয়নশীল দেশের স্বীকৃতি পাবার পর যেকোন দেশের মূল্যায়ন হয়। ২০২১ সালে এ বিষয়ে প্রথম রিভিউ হবে, বাংলাদেশ সব ক্ষেত্রে তা অর্জনকে কতটা সুদৃঢ় করেছে, এরপর ২০২৪ সালে আরেকটি মূল্যায়ন হবে।

এই দুটি পর্যালোচনায় উতরে গেলে ২০২৪ সালে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে তখন প্রস্তাব করা হবে উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে স্থায়ী স্বীকৃতি দেবার জন্য।
বর্তমানে স্বল্পোন্নত দেশ হিসেবে বাংলাদেশ রফতানিসহ বিভিন্ন খাতে অর্থনৈতিক সুবিধা পায়। যেমন তৈরি পোশাক রপতানির ক্ষেত্রে বিশেষ সুবিধা পায় বাংলাদেশ, যেটি বাংলাদেশের প্রধান রফতানি আয়ের সংস্থান করে।

নতুন স্বীকৃতির ফলে স্বল্পোন্নত দেশ হিসেবে পাওয়া সেসব সুবিধা বন্ধ হয়ে যেতে পারে বলে আশংকাও করেন অনেকে।
তথ্যসূত্র: বিবিসি।

এসএইচ/


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি