ঢাকা, শুক্রবার   ০৩ মে ২০২৪

আজ সেই ভয়াল ২৯ এপ্রিল

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৭:১৪, ২৯ এপ্রিল ২০১৮ | আপডেট: ১৭:৩৭, ২৯ এপ্রিল ২০১৮

১৯৯১ সালের ভয়াল ২১ এপ্রিলের আঘাতের পর লাশ। ছবি:  বুলবুল আহমেদ

১৯৯১ সালের ভয়াল ২১ এপ্রিলের আঘাতের পর লাশ। ছবি: বুলবুল আহমেদ

আজ সেই ভয়াল ২৯ এপ্রিল। উপকূলবাসীর কাছে এক দুঃসহ স্মৃতির নাম। ১৯৯১ সালের এ দিন রাতে বাংলাদেশের বঙ্গোপসাগর উপকূলে আঘাত হেনেছিল মহাপ্রলয়ংকারী ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাস। আর সেই ভয়াল ঘূর্ণিঝড়ে লাশের পর লাশ ছড়িয়ে-ছিটিয়ে ছিল চারদিকে। বিস্তীর্ণ অঞ্চল পরিণত হয় ধ্বংসস্তূপে। পরদিন সেই ধ্বংসলীলা দেখে কেঁপে উঠেছিল বিশ্ব বিবেক। সহায় সম্বল ও স্বজনহারা উপকূলের বেঁচে যাওয়া মানুষগুলো পেয়েছিলেন নবজন্ম।


        ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসের আঘাত তছনছ ব্রিজ। ছবি : বুলবুল আহমেদ
সেই মহাপ্রলয়ংকারী ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসের আঘাত তছনছ করে দিয়েছিল উপকূলীয় জনপদ। ঘণ্টায় ২০০ থেকে ২২৫ কিলোমিটার গতিবেগের প্রচণ্ড ঘূর্ণিঝড় এবং ২৫ থেকে ৩০ ফুট উঁচু জলোচ্ছ্বাসে দেশের উপকূলীয় এলাকা পরিণত হয়েছিল বিরানভূমিতে। ভেসে গিয়েছিল ফসলের ক্ষেত, লাখ লাখ গবাদিপশু। ভয়াবহ ওই ঘূর্ণিঝড়ে মারা যান প্রায় এক লাখ ৬০ হাজার মানুষ। যদিও সরকারি হিসাব মতে মৃতের সংখ্যা এক লাখ ৩৮ হাজার। কক্সবাজারের আট উপজেলা ও চট্টগ্রামের বাঁশখালী-আনোয়ারাসহ উপকূলের হাজার হাজার গ্রাম লণ্ডভণ্ড হয়েছিল। সম্পদহানি হয়েছিল চার হাজার কোটি টাকারও বেশি। বিলীন হয়ে গিয়েছিল চট্টগ্রাম-কক্সবাজারসহ বিভিন্ন উপকূলীয় এলাকার প্রায় আড়াইশ কি.মি. বেড়িবাঁধ।

        ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসের আঘাতের পরে চিত্র। ছবি: বুলবুল আহমেদ 

ভয়াল সে স্মৃতি আজও কাঁদায় পুরো উপকূলবাসীকে। দিনটি বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি শোকাবহ দিন। দুঃসহ সে স্মৃতি এখনও কাঁদায় স্বজনহারা মানুষগুলোকে। সেই ধ্বংসযজ্ঞের স্মৃতি বয়ে নিয়ে আবারও উপকূলীয় মানুষের কাছে দিনটি ফিরে এসেছে। ২৯ এপ্রিল স্মৃতি ফাউন্ডেশন প্রতি বছরের মতো দিবসটি উপলক্ষে এবারও জাতীয় প্রেসক্লাবে কোরআনখানি, মিলাদ ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করেছে।

এসএইচ/


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি