ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪

আবরার হত্যা: বিচার হবে দ্রুত ট্রাইব্যুনালে

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৪:৫০, ৩০ জানুয়ারি ২০২০

বহুল আলোচিত বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার হত্যা মামলায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির ২৫ ছাত্রের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানি আগামী ১৭ ফেব্রুয়ারি নির্ধারণ করেছেন আদালত। এ সময় আদালত বলেন, বুয়েটছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যা মামলার বিচার হবে দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে।

আজ বৃহস্পতিবার এই নতুন তারিখ ঠিক করেন ঢাকা মহানগর দায়রা জজ এর বিচারক কে এম ইমরুল কায়েস। 

রাষ্ট্রপক্ষের প্রধান কৌঁসুলি (পিপি) মোশাররফ হোসেন বলেন, আজ এই মামলার অভিযোগ গঠনের শুনানির দিন ছিল। আদালত বলেছেন, মামলাটির বিচার হবে দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে। তাঁরা আশা করছেন, মামলাটি দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে বিচারের জন্য দ্রুত গেজেট প্রকাশিত হবে।

২১ জানুয়ারি বুয়েটছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যা মামলায় ২৫ ছাত্রের বিরুদ্ধে অভিযোগ আমলে নেন আদালত। তার আগে ১৩ জানুয়ারি মামলাটি বিচারের জন্য ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতে নথিপত্র পাঠিয়ে দেন ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালত।

২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর রাতে বুয়েটের শেরে বাংলা হলে ছাত্রলীগের কিছু উচ্ছৃঙ্খল কর্মী শিবির সন্দেহে কয়েক ঘণ্টা ধরে বেধড়ক পেটায় আবরার ফাহাদকে। এর ফলে সেখানেই তার মৃত্যু হয়। হলের সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়ে ঘটনায় সংশ্লিষ্টদের মুখ। 

পরেরদিন আবরারের বাবা বরকত উল্লাহ বাদী হয়ে ১৯ জনকে আসামি করে চকবাজার থানায় একটি মামলা করেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবির লালবাগ জোনাল টিমের পরিদর্শক মো. ওয়াহিদুজ্জামান ১৩ নভেম্বর ২৫ জনের নামে এই মামলায় অভিযোগপত্র জমা দেন। এর মধ্যে এজাহারভুক্ত ১৯ জন এবং এজাহার বহির্ভুত ৬ জন।

এ মামলায় কারাগারে থাকা ২২ আসামি হলেন- বুয়েট ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান রাসেল, বহিষ্কৃত সহ-সভাপতি মুহতাসিম ফুয়াদ, বহিষ্কৃত সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদী হাসান রবিন, বহিষ্কৃত তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক অনিক সরকার, বহিষ্কৃত ক্রীড়া সম্পাদক মেফতাহুল ইসলাম জিয়ন, বহিষ্কৃত উপ-সমাজসেবা সম্পাদক ইফতি মোশাররফ সকাল, বহিষ্কৃত সদস্য মুনতাসির আল জেমি, মোজাহিদুর রহমান, খন্দকার তাবাখখারুল ইসলাম তানভির, ইসতিয়াক হাসান মুন্না, মিজানুর রহমান, শামসুল আরেফিন রাফাত, মনিরুজ্জামান মনির ও আকাশ হোসেন, বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত উপ-আইন সম্পাদক অমিত সাহা, হোসেন মোহাম্মদ তোহা, মাজেদুর রহমান, শামীম বিল্লাহ ও মোয়াজ আবু হোরায়রা, এ এস এম নাজমুস সাদাত, এস এম মাহমুদ সেতু, এজাহারের বাইরের ছয় আসামি হলেন-বুয়েট ছাত্রলীগের গ্রন্থণা ও প্রকাশনা সম্পাদক ইসতিয়াক আহমেদ মুন্না, আইন বিষয়ক উপ-সম্পাদক অমিত সাহা, মিজানুর রহমান, শামসুল আরেফিন রাফাত, উপ-দপ্তর সম্পাদক মুজতবা রাফিদ, মাহামুদ সেতু ও মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ১৭তম ব্যাচের মোর্শেদ অমর্ত্য ইসলাম।

পলাতক বাকি তিন আসামি হলেন- ইলেকট্রিক অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্স বিভাগের ১৬তম ব্যাচের ছাত্র মাহমুদুল জিসান, সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ১৭তম ব্যাচের এহতেশামুল রাব্বি ওরফে তানিম ও কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারং বিভাগের ১৬তম ব্যাচের মুজতবা রাফিদ।


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি