ঢাকা, শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪

‘মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ’

আবারও এভ্রিল কাণ্ড!

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৫:১০, ১১ অক্টোবর ২০১৮ | আপডেট: ১৫:১২, ১১ অক্টোবর ২০১৮

বিতর্ক যেন পিছুই ছাড়ছে না ‘মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ’ প্রতিযোগিতা নিয়ে। গত বছর জান্নাতুল নাঈম এভ্রিলকে নিয়ে যে অস্বস্তিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছিল, সেই একই ঘটনা উঠে এসেছে এবারের প্রতিযোগিতায়। যদিও প্রতিযোগিতা শেষ, তবে এতো দিনে সন্ধান মিলেছে এ বছর প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া এক প্রতিযোগীর বিয়ে সংবাদ। আফরিন সুলতানা লাবণী নামের এই প্রতিযোগী চ্যাম্পিয়ন বা প্রথম কিংবা দ্বিতীয় রানারআপ কিছুই হতে পারেননি। তারপরও এতো সব বিচার বিশ্লেষণ ও পর্যবেক্ষণ শেষেও কি করে বিবাহিত প্রেতিযোগী এতে অংশ নিয়েছে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশ পেয়েছে যে- লাবণী বিবাহিত এবং তার বিরুদ্ধে এই অভিযোগটি করেছেন লাবণীর সাবেক স্বামী আতাউর রহমান আতিক। তারা জামালপুর সদর বাগেরহাটা কলেজ রোডের বাসিন্দা। আতিক পেশায় ব্যবসায়ী, পাশাপাশি কয়েকটি মিউজিক ভিডিওতে মডেল হয়েও কাজ করেছেন তিনি।

আতিকের দেয়া তথ্য মতে, ২০১৪ সালের ১৮ আগস্ট জামালপুর কোর্টে গিয়ে লাবণীকে বিয়ে করেন তিনি। দুই বছর সংসার করার পর ২০১৬ সালের ১৭ মে তাদের ডিভোর্স হয়। ডিভোর্সের পর লাবণীর নামে দুটি চুরির মামলাও করা হয়। যেগুলো এখনও নিষ্পত্তি হয়নি। গণমাধ্যমে তাদের বিয়ের কাবিননামা ও কাগজপত্র প্রকাশিত হয়েছে।

লাবণীর স্বামী আতাউরের ভাষ্য,  ২০১২ সালের শেষের দিকে তাদের পরিচয় ও প্রেম হয়। আতাউর তখন ঢাকায় থাকতেন। লাবণীর মায়ের চিকিৎসা এবং লাবণীর পেছনে অনেক টাকা খরচ করেছেন তিনি। সে সময় রাজধানীর চকবাজারে সামসুল হক টাওয়ারে আতাউরের দুটি দোকান ছিল। যা এখন আর নেই।

আতাউরের অভিযোগ, ‘লাবণী আমার অনেক টাকা নিয়ে পালিয়ে যায়। ওর নামে চুরির মামলাও করেছি। এখন সে ছাত্রলীগের জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক। ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে ২০১৬ সালের মামলা ২০১৮ সাল পর্যন্ত নিয়ে এসেছে।’

তবে এই লাবণীকে ঘিরে রয়েছে আরও রহস্যময় খবর। এবার মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ-২০১৮ এর গ্র্যান্ড ফিনালে বিচারকদের অদ্ভুত প্রশ্ন আর প্রতিযোগীদের উত্তর নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ মানুষের মুখে মুখে ছিল সমালোচনার ঝড়। আলোচনা সমালোচনা হয়েছে প্রতিযোগীদের অদ্ভুত সব উত্তর নিয়ে। এসব বিষয়ের ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে সম্প্রতি গণমাধ্যমের মুখোমুখি হন এই- লাবনী।

প্রতিযোগীতার গ্র্যান্ড ফিনালেতে লাবণীকেও প্রশ্ন করা হয়। তার কাছে তিনটা উইশ সম্পর্কে বলতে বলেছিলেন বিচারক সাদিয়া ইবনাজ ইমি। কিন্তু লাবনীর উত্তরে বিব্রত হয়েছিলেন বিচারকদের সঙ্গে সঙ্গে দর্শকরাও। এ নিয়ে অনেক ট্রলও হতে হয়েছে লাবনীকে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এমন উত্তরের পেছনের রহস্য জানান তিনি।

লাবনী বলেন, সেদিন তিনি কি উত্তর দিয়েছেন তা নিজেও জানেন না। কারণ মঞ্চে ওঠার কিছুক্ষণ আগে তিনি নাকি জানতে পারেন তার মা মারা গেছেন।

তিনি বলেন, ‘পরে আবার জানতে পারি আমার মা মারা যায়নি, মার পাশের বেডের অন্য একজন মারা গেছে। এ অবস্থায় আমি ছিলাম স্টেজে কিন্তু মন ছিল হাসপাতালে মায়ের কাছে। এরপর ২ অক্টোবর আমার মাও মারা যান।’

লাবণী বলেন, ‘মাকে রেখে এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার কারণ ছিল আমার মায়ের ইচ্ছা পূরণ করা।’

প্রসঙ্গত, গত ৩০ সেপ্টেম্বর বসুন্ধরা কনভেনশন সেন্টারে জাঁকজমক আয়োজনে ‘মিস ওয়ার্ড বাংলাদেশ ২০১৮’-এর গ্র্যান্ড ফিনালে অনুষ্ঠিত হয়। এ বছর সেরা সুন্দরীর মুকুট উঠেছে পিরোজপুরের মেয়ে জান্নাতুল ফেরদৌস ঐশীর মাথায়। তিনি এ বছরের ডিসেম্বরে চিনে অনুষ্ঠিতব্য ‘মিস ওয়ার্ল্ড’-এর মূল প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করবেন।

এসএ/


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি