ঢাকা, শনিবার   ১৮ মে ২০২৪

ষষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকী

‘আমি গর্বিত আব্দুর রাজ্জাক আমার পিতা’

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ২৩:০৪, ২৩ ডিসেম্বর ২০১৭

মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, রাজনীতিক ও আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সাবেক সদস্য আব্দুর রাজ্জাকের ষষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকী শনিবার। ২০১১ সালের এই দিনে লন্ডনে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। সংগ্রামমুখর বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনের অধিকারী আব্দুর রাজ্জাক তার জীবন উৎসর্গ করেছিলেন বাঙালির স্বাধিকার, স্বাধীনতা, শান্তি ও সামাজিক মুক্তির আন্দোলনে। ছাত্রজীবন থেকে আমৃত্যু তিনি ছিলেন বাঙালি জাতির প্রতিটি গণতান্ত্রিক আন্দোলনে প্রথমসারির সংগঠক ও নেতা। ৬২’র শিক্ষা আন্দোলন, ৬৬’র ৬-দফা আন্দোলন, ৬৯’র গণঅভ্যুত্থান, স্বাধীনতা সংগ্রাম এবং মহান মুক্তিযুদ্ধে তিনি সংগঠকের ভূমিকা পালন করেন।

তিনি ১৯৬৬-১৯৬৭ ও ১৯৬৭-১৯৬৮ সালে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। জননেতা আব্দুর রাজ্জাক ১৯৭০ সালে প্রথমবারের মতো জাতীয় সংসদের সদস্য নির্বাচিত হন। এরপর ১৯৭৩, ১৯৯১, ১৯৯৬ এবং ২০০৯ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী হন। ১৯৯১ ও ১৯৯৬ সালের নির্বাচনে দুটি করে আসনে সাংসদ নির্বাচিত হন। ১৯৭৯ ও ১৯৮১ সালে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর আব্দুর রাজ্জাক পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন।

বর্ষিয়ান এই রাজনীতিবিদকে নিয়ে তার ছেলে শরীয়তপুর-৩ আসনের এমপি নাহিম রাজ্জাক ‘স্মৃতিতে অম্লান’ বইয়ে  “আমি গর্বিত আব্দুর রাজ্জাক আমার পিতা” শিরোনামে প্রবন্ধ লিখেন। একুশে টেলিভিশন অনলাইনের পাঠকদের জন্য তা তুলে ধরা হলো।

আমাদের গ্রামের নাম দক্ষিণ ডামুড্যা। পদ্মার কোলঘেঁষে অবিস্থিত শরীয়তপুর জেলার এই পল্লী গ্রামে আমার পিতা আব্দুর রাজ্জাক জন্মগ্রহণ করেন। আমার পিতামহ কিংবা পূর্ব-পূরুষদের আদি নিবাস এই ডামুড্যাতে। আমার দাদা আলহাজ ইমাম উদ্দিন ছিলেন তৎকালীন ডামুড্যা বাজারের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী, সমাজ সেবক এবং ধর্মানুরগী একজন মানুষ। তিনি ডামুড্যা ফাজিল মাদ্রাসায় অত্যন্ত সুনামের সঙ্গে সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করতেন। সেই সুবাদে ধর্মীয় শিক্ষায় শিক্ষিত করার জন্য তার আদরের রাজ্জাককে মাদ্রাসায়ও ভর্তি করিয়েছিলেন।

কিশোর রাজ্জাক কিছুদিন মাদ্রাসায় পড়ালেখা করে সে সময়কার আদর্শবান প্রধান শিক্ষকের অণুপ্রেরণায় ভর্তি হন ডামুড্যা মুসলিম হাই স্কুল। তিনি তার শিক্ষক ও মুরব্বিদের প্রতি সব সময় শ্রদ্ধাবনত হয়ে থাকতেন। ছোটদের প্রতিও ছিলেন অসম্ভব উদার। তিনি মাঝেমধ্যেই স্বনামধন্য শিক্ষক, এলাকার বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সম্পর্কে প্রশংসা করে আমাকে উপদেশ দিতেন বড়দের প্রতি সম্মান জানাতে  আর ছোটদের প্রতি স্নেহ করতে । তিনি মাঝেমধ্যে বেশ মজা করে একটি স্মৃতিচারণ করতেন। সেটি হচ্ছে মুসলিম হাই স্কুলে অধ্যয়নরত অবস্থায় ‘জীবনের লক্ষ্য’ নামে ক্লাসের প্রতিটি ছাত্র-ছাত্রীকে রচনা লিখতে দিলেন। ক্লাসের প্রায় প্রতিটি ছাত্রই বইয়ের পড়া অর্থাৎ মুখস্ত করা গতানগতিক রচনা লিখে জমা দিলেন। এই রচনার মধ্যে কেউ কেউ লিখেছেন ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, ম্যাজিস্ট্রেট কিংবা সেনাবাহিনীর অফিসার ইত্যাদি ইত্যাদি হতে চাই। কিন্তু আব্দুর রাজ্জাক লিখলেন, আমি বড় হয়ে আইনজীবী ও একজন সমাজ সেবক হতে চাই।

ক্লাসের দায়িত্বরত শিক্ষক সব ছাত্র-ছাত্রীর লেখা জমা নিয়ে ফলাফল ঘোষণা করলেন। কিন্তু আব্দুর রাজ্জাক-এর ফলাফল ঘোষণা করা হলো না। তিনি ধরে নিয়েছেন নিশ্চিত ফেল করেছেন। কিছুক্ষণ পর শিক্ষক আব্দুর রাজ্জাকের নাম ধরে ডাকলেন এবং তাকে বললেন- এ যাবৎ যত ছাত্র-ছাত্রীকে পড়ালেখা শিখিয়েছি, তোমার মতো আর দ্বিতীয়জন ছাত্র পাইনি যে, তারা বড় হয়ে আইনজীবী কিংবা সমাজ সেবক হতে চায়।

 

সেদিনের সেই শিক্ষক তাকে সর্বোচ্চ নম্বর দিয়ে উচ্ছসিত প্রশংসা করেছিলেন।

এরপর তিনি মেট্রিক পাস করার পর ঢাকা কলেজে ভর্তি হন। আব্বা মেধাবী ছাত্র হওয়াতে দাদা স্বপ্ন দেখতেন তার সন্তান বড় হয়ে ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার হবে। আমার আব্বার মামা তৎকালীন বীমা জগতের পথিকৃৎ খোদাবক্স সাহেবের বাসায় পারিবারিকভাবে মিটিং হলো। সেই মিটিংয়ে আব্বার মতামত চাওয়া হলে সেখানেও আব্বা ব্যারিস্টারি পড়ার আশাবাদ ব্যক্ত করেন। ইন্টারমিডিয়েট পাস করার পর তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সক্রিয়ভাবে ছাত্র রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন। এবং খুব অল্প সময়ের মধ্যে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সান্নিধ্য গ্রহণ করেন। বাংরাদেশ নামক একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার প্রতিটি বাঁকে বাঁকে তিনি অসাধারণ ভূমিকা রাখতে সক্ষম হন। জীবনে অসংখ্যবার কারাবরণ করেন। আব্বা জেলে বন্দি অবস্থায় কৃতিত্বের সঙ্গে সর্বোচ্চ ডিগ্রি অর্জন করেন।

 এ প্রসঙ্গে পাঠকদের মনে প্রশ্ন  জাগতে পারে। আমি যখন ধীরে ধীরে বুঝতে শুরু করেছি কিংবা অবুঝ শিশু থেকে দেখে আসছি প্রতিদিন সকাল-বিকাল আমাদের বাসা ভর্তি মানুষ। আব্বা সাংগঠনিক ব্যস্ততার কারণে আমাদরকে তেমন সময় দিতেন না। কর্মীদের প্রতি ছিল তাঁর প্রচন্ড দুর্বলতা । কোনো কর্মী যদি বিপদে পড়ে তার কাছে আসতেন- যেভাবেই হোক তিনি তাকে বিপদ থেকে উদ্ধারের চেষ্টা করতেন। আমি এমনও শুনেছি, আব্বার কাছে কোনো টাকা নেই- কর্মীদের টাকার প্রয়োজন । তিনি তার গাড়ির অতিরিক্ত চাকা বিক্রি করে কর্মীদের টাকা দিয়ে দিতেন । এভাবেই তিনি সারাটা জীবন পার করেছেন। আমি ১৮ বছর বয়সে আব্বার সান্নিধ্য পেয়েছি; অর্থাৎ আমার বয়স যখন ১৮ বছর, তখন সিঙ্গাপুরে তার একাটা অপারেশন হয়েছিল। সেখানে আমি গিয়েছিলাম। আনেকটা বলতে গেলে সেখান থেকে আমি তার সান্নিধ্য লাভ করি। সেই সময়টাতে আব্বা অনেক কথাই বলেছিলেন, যেমন বঙ্গবন্ধুর প্রতি কীভাবে তিনি দুর্বল হয়ে পড়লেন। স্নেহমীয় বঙ্গমাতা বেগম মুজিবের অসাধারণ ধৈর্য, মেধা ও প্রজ্ঞার কথা বলেছেন। আব্বা যখন ছাত্রলীগ করতেন, তখন বেগম মুজিবের কাছ থেকে টাকা এনে ছাত্রলীগের বিভিন্ন প্রোগ্রামে খরচ চালাতেন।  খরচ করার পর অবশিষ্ট টাকা পুনরায় বেগম মুজিবের হাতে তুলে দিতেন।

 

এভাবে তিনি সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে সব সময় দায়িত্ব পালনের চেষ্টা করতেন। আব্বা সমাজতন্ত্রে বিশ্বাস করতেন। তিনি সব সময় বলতেন-সবাইকে নিয়ে ভালো থাকার চেয়ে গৌরবের আর কিছু হতে পারে না। আব্বা নেতা-কর্মীদের নিয়ে কোথাও সংগঠনের কাজে গিয়েছেন, দেখা গেছে দুপুরের খাবারের সময় হয়ে গেছে; কিন্তু সবাইকে নিয়ে হোটেলে খাবার খেলে সঙ্গে যে টাকা আছে তাতে হবে না, তাই সবাইকে নিয়ে হালকা কিছু খাবার খেয়ে দিন পার করে দিয়েছেন। এ রকম ঘটনা তার জীবনে অসংখ্য দিন ঘটেছে।

 আজকে আব্বা বেচেঁ নেই; তার অনেক নেতা-কর্মী কিংবা অনেক ভক্ত অনুসারী রয়েছেন। তাদের মধ্যে কেউ কেউ মন্ত্রী, সচিব, জজ-ব্যারিস্টার অর্থাৎ নিজ নিজ পেশায় প্রতিষ্ঠিত; তাদের সঙ্গে যখন কথা বলি তখন তারা স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে আবেগ আপ্লুত হয়ে পড়েন এবং আব্বার সঙ্গে তাদের স্মৃতিবহ ঘটনগুলোর বিবরণ দেন। তখন আমিও ভীষণভাবে আবেগতাড়িত হয়ে পড়ি। তিনি কিভাবে যে লাখ লাখ নেতা-কর্মীকে ম্যানেজ করে রেখেছেন এটা ভাবতেও অবাক লাগে। আব্বার সঙ্গে যখনই আমার কথা হতো, তখন তিনি একটা কাথা বলতেন- ভালোভাবে লেখাপড়া করবে, তোমাদের লেখাপড়া করার জন্য যত সাপোর্টের প্রয়োজন হয় আমার শত কষ্ট হলেও আমি তোমাদের চাহিদা পূরণ করব। সুশিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে নিজের পায়ে দাঁড়াতে হবে, নিজেকে নিজের মতো গড়ার চেষ্টা করো, কোথাও আমার নাম নিয়ে চলার চেষ্টা করবে না । আমারও সে মোতাবেক চলার চেষ্টা করেছি। আব্বা সব সময় তার দীর্ঘদিনের সহকর্মী বর্তমান বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর অন্যতম সদস্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত, শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমুর কাছে একটা কথাই দুঃখ ভারাক্রান্ত হয়ে বলতেন, আমি কি আমার জীবদ্দশায় যুদ্ধাপরাধীর বিচার দেখে যেতে পারবো? যুদ্ধাপরাধী ও মানাবতাবিরোধীদের বিচারের দাবিতে শহীদ জননী জাহানারা ইমামের সঙ্গে ১৯৯১ সালে আন্দোলনে আব্বা প্রথম সারিতে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। অসাম্প্রদায়িক চেতনায় বিশ্বাসী অনেক বিশিষ্টজন প্রায় সময়ই বলেন, ১৯৯১ সালে ঘাতক-দালাল নির্মূল কমিটিতে যদি আব্দুর রাজ্জাক নেতৃত্ব না দিতেন তাহলে আজকের যুদ্ধাপরাধীদের বিচার দাবির আন্দোলন এত গতি পেত না । এটা চরম সত্য কথা । তারা আরও বলেন, আব্দুর রাজ্জাক ছিলেন নিঃসন্দেহে একজন জীবন্ত কিংবদন্তি। আব্দুর রাজ্জাক তার দীর্ঘ ৫০ বছরের রাজনৈতিক জীবনে কখনও যুদ্ধাপরাধী তথা জামায়াতে ইসলামীর কারো সঙ্গে এক টেবিল বসেননি। আব্বা ছিলেন সম্পূর্ণ অসাম্প্রদায়িক ধর্মভীরু একজন মানুষ। দেশের পীর-মাশায়েখদের প্রতি তার শ্রদ্ধা ছিল অসম্ভব রকমের। তিনি ভারতবর্ষের বিভিন্ন পীর-আওলিয়াদের মাজার জিয়ারত করেছেন।

 

তার শৈশবে যে আইনজীবী হওয়ার স্বপ্ন লালন করতেন, সেই স্বপ্নটি তিনি ১৯৯৩ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যায়ে থেকে এলএলবি ডিগ্রি অর্জনের মাধ্যমে পূরণ করেন। তিনি ঢাকা বার কাউন্সিল এবং শরীয়তপুর বার কাউন্সিলের আজীবন সদস্য। আব্বা এলএলবি সম্পন্ন করার পর একদিন কোর্টে প্র্যাকটিস করতে যান। এটা শুনে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তাকে শুধু হালকা করে বলেছিলেন, ‘রাজ্জাক তোমার কোর্টে যাওয়ার দরকার নেই’ । সে থেকে আব্বা আর কোনোদিন কোর্টে প্র্যাকটিস করতে যাননি। বঙ্গবন্ধুর প্রতি আব্বা এতটাই অনুগত ছিলেন যে, বঙ্গবন্ধু একবার যে কথা বলতেন আজীবন সে কথা অনুযায়ী চলতেন। আব্বা সব সময় নীতি-আদর্শের প্রতি অবিচল আস্থা রেখে পথ চলেছেন। তিনি কখনো লোভী প্রকৃতির মানুষ প্রছন্দ করতেন না। আমাদের বাসায় কালার টেলিভিশন পর্যন্ত ছিল না। আমাদের সব কিছুই তিনি সহজলভ্য করে রাখার চেষ্টা করতেন। তিনি বলতেন, ভোগের মধ্যে কোনো সুখ নেই, ত্যাগেই প্রকৃত সুখ। বঙ্গবন্ধু ১৯৭৪ সালে বাকশাল গঠন করেন এবং আব্বাকে বাকশালের অন্যতম সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব দেন ।

 

১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারকে ঘাতকেরা নির্মমভাবে হত্যা করার পর আব্বা ভীষণভাবে দিশেহারা হয়ে পড়লেন। তৎকালীন সামরিক সরকার তাকে গ্রেফতার করে কুমিল্লা কারাগারে প্রেরণ করে এবং তাকে জেলের মধ্যে বিভিন্ন নির্যাতন চালাতে থাকে। এক পর্যায়ে জিয়াউর সহমান তাকে প্রধানমন্ত্রী করারও প্রস্তুাব দিয়েছিলেন। সেই প্রস্তাব তিনি ঘৃণার সঙ্গে প্রত্যাখান করেছেন।

 

আমার ছোট্ট বেলার একটি ঘটনা মনে আছে, আমার মা আমাকে ধানমন্ডির একটি স্কুলে ইংলিশ মিডিয়ামে ভর্তি করালেন। আব্বা সেখানে বাধা সাধলেন এই বলে যে, তার সন্তানকে ইংলিশ মিডিয়ামে পড়াবেন না। তখন আম্মা বাধ্য হয়ে আমাকে ধানমন্ডি গভ. ল্যাবরেটরি স্কুলে ভর্তি করান। তিনি সব সময় বাঙালি এবং বাঙালি জাতীয়তাবাদে বিশ্বাস করতেন। আব্বা সব সময় আমাদের ভালো লেখাপড়া করার সুযোগ দিয়েছেন। শত অভাব থাকার পরও তিনি আমাদের বুঝতে দিতেন না। তিনি সারাটা জীবন মানুষের কল্যাণে নিবেদিত হয়ে কাজ করেছেন।

 

তার কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ তার শেষ বিদায়ে জাতি যে বিরল সম্মান দেখিয়েছেন, একজন রাজনীতিবিদের এর বেশি চেয়ে চাওয়া-পাওয়ার আর কিছু থাকতে পারে না। আব্বা শুধু রাজনৈতিকভাবেই নয়; সবক্ষেত্রেই আমাদের বলতেন যে, ‘আমি যেভাবে গড়ে উঠেছি, তোরা এভাবে গড়ে উঠার চেষ্টা করবি। আমার নাম কখনও ব্যবহার করার চেষ্টা করবি না; আমরাও স্বাভাবিক উপায়ে সেভাবেই চলার চেষ্টা করছি। আজ বাংলাদেশের যে প্রান্তে গিয়েই বলি-আব্দুর রাজ্জাক আমার পিতা, সেখানেই শ্রদ্ধা-ভালোবাসায় সিক্ত হয়ে যাই। একজন সন্তানের এর চেয়ে আর গৌরবের কিছু হতে পারে না । আমি গর্বিত, আব্দুর রাজ্জাক আমার পিতা।

 

 

এম/এসএইচ


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি