ঢাকা, শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪

‘আসুন দেশকে গড়ে তোলার লক্ষ্যে আশাবাদী হই’

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৫:২৮, ১৫ অক্টোবর ২০১৯

দেশের অর্থনীতি এখন অনেক সুসংহত বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশের অর্থ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের সিনিয়র সচিব ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া। বলেছেন, ২০০৭ সালে পৃথিবীব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দা হয়েছিল। এসময় ইউরোপ-আমেরিকার বড় বড় ব্যাংক, শিল্প প্রতিষ্ঠান মুখ থুবড়ে পড়েছে। কিন্তু সে-সময়ও বাংলাদেশের কোনও ব্যাংক বা প্রতিষ্ঠান তেমন কোনও অসুবিধায় পড়েনি। কারণ আমাদের অর্থনীতিকে আমরা স্বনির্ভর করে গড়ে তোলার ব্যাপারেই উদ্যোগী ছিলাম সবসময়। বাংলাদেশ এখন বৈদেশিক সাহায্যের নীতি থেকে সরে এসেছে। বাংলাদেশ এখন কোনও দান বা সাহায্য নেয় না।

কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের মুক্ত আলোচনার ৯৩ তম পর্বে এসব কথা বলেন তিনি। এনবিআর এর চেয়ারম্যান বলেন, ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের জনসংখ্যা ছিল সাড়ে সাত কোটি। আমাদের পুরো গ্রাম খুঁজে হাতেগোণা পাঁচ-সাতটা রেডিও পাওয়া যেত। অধিকাংশ মানুষের হাতে হাতঘড়ি ছিল না। রমজানের সময় আকাশ মেঘলা থাকলে অনেকে ইফতার করত রাত হওয়ার পর। ঘড়ি না থাকায় ইফতারের সময় হয়েছে কি না বোঝা যেত না। এমনও দেখেছি, গ্রামের এক বাড়িতে বিয়ে হলে অন্য বাড়ির বিছানার চাদর ধার করে এনে পর্দা টাঙানো হত।

‘সেই তুলনায় আজ এদেশের জনসংখ্যা প্রায় তিন গুণ। কিন্তু টিভি, ফ্রিজ নেই এমন বাড়ি কেউ এখন কল্পনা করতে পারে না। ২০০৬ সালে আমাদের জাতীয় আয় যা ছিল, মাত্র ১২ বছরে তা বেড়েছে চার গুণ! উন্নয়নের এই অগ্রযাত্রার সাথে এখন প্রয়োজন নীতি-নৈতিকতার বিকাশ। শান্তিতে থাকার জন্যে আমাদের চরিত্রবান ও সৎ হতে হবে, লালন করতে হবে পরোপকারের মানসিকতা। বাড়াতে হবে সহিষ্ণুতা। ভালো মানুষদের সাথে মিশলে এই গুণগুলো বিকশিত হবে। আমাদের দেশের ব্যাপারে আমি আশাবাদী। কারণ উন্নয়নের একটা পর্যায়ে শান্তির জন্যে সৎ ও বিনয়ী হওয়ার কোনও বিকল্প নেই। তাই আসুন, দেশকে গড়ে তোলার লক্ষ্যে আমরা সৎ, বিনয়ী, পরোপকারী ও সহিষ্ণু হই এবং সেইসাথে হয়ে উঠি আশাবাদী।’   

বাংলাদেশের উন্নয়নের ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করে মো. মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া বলেন, স্বাধীনতার পূর্বে আমাদের দেশে অল্প কিছু শিল্প কারখানা ছিল। স্বাধীনতার পর দেশে ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের বিকাশ ঘটে। এখন দেশে বড় বড় শিল্পকারখানা গড়ে উঠেছে। সিমেন্ট কারখানা রয়েছে শতাধিক, স্টিল মিল রয়েছে পঞ্চাশের বেশি। কাগজের মিলের সংখ্যা শতাধিক। সরকার আমাদের ব্যবসার সুযোগ করে দিয়েছে, তাই দেশের অর্থনীতিতে গতি এসেছে।


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি