ঢাকা, শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪

ইরান বিশ্বের বৃহৎ অস্ত্র নির্মাণ কেন্দ্রে পরিণত হওয়ার শঙ্কা

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৭:৪২, ১৯ আগস্ট ২০২০ | আপডেট: ১৭:৪৮, ১৯ আগস্ট ২০২০

ইরানের বিরুদ্ধে জাতিসংঘের অস্ত্র নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ শেষ হতে চলেছে। অনেকের ধারণা বহু বছর পর এ নিষেধাজ্ঞা উঠে গেলে হয়তো ইরান আবারও সমরাস্ত্রের বাজারে প্রবেশ করবে এবং দেশটি অচিরেই বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ অস্ত্র নির্মাণ কেন্দ্রে পরিণত হবে। খবর পার্স টুডে’র। 

ইরানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আমির হাতামি জাতীয় নিরাপত্তা ও পররাষ্ট্র নীতি বিষয়ক সংসদীয় কমিশনের সঙ্গে বৈঠকে বলেছেন, ‘জাতীয় নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষা সক্ষমতা অক্ষুণ্ণ রেখে এ ক্ষেত্রে উন্নয়ন অব্যাহত রাখবে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। ব্যাপকহারে উৎপাদনের বছরে কৌশলগত অস্ত্র তৈরির অবকাঠামো আমাদের রয়েছে এবং অস্ত্র তৈরির ক্ষেত্রে আমাদের কোনো সমস্যা নেই। অর্থনীতিসহ বেসামরিক বিভিন্ন খাতে সহযোগিতা করতেও এই মন্ত্রণালয় প্রস্তুত রয়েছে।’

আট বছরের প্রতিরক্ষা যুদ্ধ এবং যুদ্ধ পরবর্তী সময়ে দেয়া নিষেধাজ্ঞা ও সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও ইরান আত্মরক্ষায় পারদর্শীতা প্রমান করেছে বলে দাবি তেহরানের। ইরান সম্প্রতি নূর নামে সামরিক স্যাটেলাইট মহাকাশে পাঠাতে সক্ষম হওয়ায় ভূ-রাজনৈতিক বিষয়ক মার্কিন বিশ্লেষক অ্যান্থেনিও কার্তুলুসি বলেছেন, ‘ইরান এমন এক  অবস্থানে পৌঁছে গেছে যা বহুমেরু কেন্দ্রিক নতুন বিশ্ব ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা রাখবে।’

নৌ শক্তির ক্ষেত্রেও ইরান অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জন করেছে। এ ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের ডুবো জাহাজ নির্মাণের কথা উল্লেখ করা যায় যা কিনা আলাদা আলাদা বৈশিষ্ট্যের অধিকারী। পাইলটবিহীন বিমান বা ড্রোন প্রযুক্তিতে ইরান আঞ্চলিক পরাশক্তিতে এবং বিশ্বে চতুর্থ বৃহৎ শক্তিতে পরিণত হয়েছে। যুদ্ধ বিমানের দিক থেকেও ইরান অনেক এগিয়ে। বভার-৩৭৩, খোরদাদ-তিন, তাবাস-দুই ও সাইয়াদের মতো বিমানগুলো ইরান নিজস্ব প্রযুক্তিতে তৈরি করেছে। এ ছাড়া লেজার প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায়ও ইরান হাতে গোনা কয়েকটি দেশের কাতারে শামিল হয়েছে যা কিনা তাদের সামরিক শক্তির বড় প্রমাণ।

এমএস/
 


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি