ঢাকা, মঙ্গলবার   ২১ মে ২০২৪

ইস্টার আইল্যান্ডের স্থাপনার রহস্যভেদ করতে পারেননি বিশেষজ্ঞরা

প্রকাশিত : ০৯:১২, ৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ | আপডেট: ১৪:১৮, ৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

রহস্যের শেষ নেই পৃথিবীতে। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির উৎকর্ষতার অনেক আগে আমাদের পূর্ব পুুরুষেরা এমনসব কীর্তি করে গেছেন যার রহস্যভেদ এখনো করতে পারেননি বিশেষজ্ঞরা। পৃথিবীর অন্যতম নির্জন দ্বীপ দক্ষিন-পূর্ব প্রশান্ত মহাসাগরের ইস্টার আইল্যান্ডে রয়েছে এমন কিছূ স্থাপনা যা নিয়ে গবেষকদের ভাবনার শেষ নেই। আনুমানিক এক থেকে দেড় হাজার বছর আগে কেন, কিভাবে আর কি উদ্দ্যেশ্যে দৈত্যাকার মূর্তিগুলো বানানো হয়েছিল তা এখনো রহস্য। একটি দুটি নয় সমুদ্রের দিকে মুুখ করে, প্রায় হাজারখানেক মুর্তি দড়িয়ে আছে দ্বীপের চারপাশে। যেন কোন আগন্তুকের জন্য অবিরাম অপেক্ষা বিস্ময়কর স্থাপনাগুলোর। লোহার ব্যবহার ছাড়া এতো আগে পাথর কেটে প্রায় ৩০ফুট উচ্চতা এবং ৮০টন ওজনের মুর্তিগুলোর নির্মান এখানো রহস্য। তবে আরো বিস্ময়কর বিষয় হলো চাকা আর কোন রকম বাহন ছাড়াই বিশাল মূর্তিগুলোর স্থানান্তর। যা নিয়ে গবেষণা চলছে এখনো। পৃথিবীর অন্যতম নির্জন দ্বীপ ইস্টার আইল্যান্ড। স্থানীয় নাম রাপা নুয়ি, যার সবচেয়ে কাছের দ্বীপটিও প্রায় আড়াই হাজার কিলোমিটার দূরে। চিলির অধীনে থাকা ৬৪ স্কয়ার মাইলের ইস্টার আইল্যান্ডের অবস্থান, মূল ভূখন্ড থেকে প্রায় সাড়ে তিন হাজার কিলোমিটার পশ্চিমে। ধারণা করা হয়  ৩শ’ থেকে ৪’শ খৃষ্টাব্দের মধ্যে এখানে প্রথম জনবসতি শুরু হয়। পৃথিবীর সাথে যোগাযোগ পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন থাকলেও, ১৭২২সালে ডাচ এক্সপ্লোরার জেকব রগভি প্রথম দেখা পান দ্বীপটির। সেদিন ছিল ইস্টার সানডে। আর তখন থেকেই দ্বীপটির নাম ইস্টার আইল্যান্ড।
Ekushey Television Ltd.





© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি