ঢাকা, শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪

ঈদের ছোঁয়া নেই ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কামার পল্লীতে

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ১৫:৫৩, ৩১ জুলাই ২০২০

ঈদুল আযহার তেমন একটা ছোঁয়া নেই ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কামার পল্লীতে। প্রতিবছর এই সময়ে ছুরি, বটি, দাসহ কোরবানির সামগ্রী তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করলেও, এবারের চিত্র অনেকটা ভিন্ন।

করোনার প্রাদুর্ভাবের কারণে একদিকে কমেছে ক্রেতার সংখ্যা, পাশাপাশি কাঁচা মালের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় নামমাত্র লাভে বিভিন্ন কোরবানির সামগ্রী বিক্রি করছেন তারা। উপার্জন কমে যাওয়ায় পরিবার পরিজন নিয়ে দুশ্চিন্তায় দিন কাটছে তাদের। 

জেলায় প্রায় ৫ হাজার কামার (কর্মকার) রয়েছে। এ সময় দা, ছুরি, বটি, খান্ডাসহ কোরবানির সামগ্রী তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করত এখানকার কামার শিল্পের কারিগরা। ঢাকা, চট্রগ্রাম, নরসিংদী ও ভৈরবসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে পাইকাররা এখানকার কামার পল্লীগুলোতে কোরবানির সামগ্রী ক্রয়ের জন্য ভিড় করত। সারা বছর খুব ভাল না কাটলেও এ সময়টাতে তারা ক্ষতি পুষিয়ে নিতো। 

তবে এবার করোনায় পাল্টে গেছে এখানকার কামার পল্লীর চিত্র। নেই তেমন ব্যস্ততা, কমে গেছে কাজের পরিধি। শুধুমাত্র দা, বটি, খান্ড সান দেওয়া ছাড়া নতুন সামগ্রী তৈরির চাহিদা অনেকটা কমে গেছে। 

রঞ্জিত কর্মকার জানান, ‘কোরবানির সামগ্রী তৈরির কাঁচা মালসহ কয়লা ও রেতের দাম বেড়েছে। তেমন চাহিদা না থাকায় এসব পণ্য তারা সীমিত লাভে বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছি। এখানে ১শ’ টাকা থেকে শুরু করে প্রায় হাজার টাকার বিভিন্ন কোরবানির সামগ্রী রয়েছে।

সাধন কর্মকার জানান, ‘ঈদকে সামনে রেখে বাড়তি আয়ের আশা করলেও কাঙ্খিত কাজ না থাকায় হতাশায় দিন কাটছে আমার মতো কয়েক হাজার কর্মকারের।’

জীবন কর্মকার বলেন, ‘করোনার প্রভাবে রোজগার কমে যাওয়ায় নিজের পরিবারের ভরণ-পোষণের পাশাপাশি কারিগরদের মানবেতর জীবনযাপন করতে হচ্ছে।’

ধার-দেনা করে ব্যবসা ধরে রাখলেও, ক্ষতি পুষিয়ে নিতে সরকারি সহায়তার দাবি জানিয়েছেন তারা।

এআই//এমবি


 


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি