ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪

এনজিও’র চড়াসুদের ঋণের খপ্পরে কৃষক

তৌহিদুর রহমান

প্রকাশিত : ১১:৪২, ৯ অক্টোবর ২০২১

ব্যাংকের চেয়ে তিনগুণ বেশি সুদ এনজিও-নির্ভর কৃষিঋণে। সুদের হার কমপক্ষে ২৪ শতাংশ। এমন চড়া সুদের ঋণের খপ্পরে দেশের বিপুলসংখ্যক কৃষক। ভাল ফসল ফলিয়েও মুনাফা ঘরে তুলতে পারছেন না তারা।

এ যেন কৃষকের মাথায় কাঁঠাল ভাঙার গল্প। ফসল ফলাতে পোড়ে কৃষকের শরীর; হিমশীতল ঠাণ্ডায় কুঁকড়ে যায় শীর্ণ দেহ। কিন্তু সুফল ভোগ করে অন্যরা। এনজিওদের চড়াসুদ খেয়ে ফেলছে কৃষকের মুনাফা।    

দেশের সর্বত্র ব্যাংকের শাখা নেই, এমন অজুহাতে কৃষিঋণের প্রায় ৭০ শতাংশ বিতরণ হয় এনজিও’র মাধ্যমে। সুদের হার ২৪ শতাংশ। কোনো ক্ষেত্রে আরও বেশি। তবে কৃষক সরাসরি ব্যাংক থেকে ঋণ নিলে সুদ মাত্র ৮ শতাংশ। অর্থাৎ কৃষিঋণের বড় অংশই উচ্চসুদে খাটাচ্ছে এনজিওগুলো।

কৃষকরা জানান, কারও কাছ থেকে ধার নিয়ে বা ঋণ করে এই টাকা-পয়সাগুলো শোধ করতে হচ্ছে। গরু বা ছাগল বিক্রি করে সেই ঋণটা আমরা শোধ করি। আরেক কৃষক জানান, পঞ্চাশ হাজার তুলেছি, সপ্তাহে কিস্তি দিতে হচ্ছে ১৩শ’ টাকা করে। কিন্তু রোজগার হচ্ছে গড়ে ২শ’ টাকা করে।

এদিকে, উচ্চসুদে বিতরণ করলেও এনজিওগুলো অর্থ পাচ্ছে স্বল্পসুদে। এমনটাই বলছে, পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন- পিকেএসএফ।  

পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ বলেন, ‘সরকারের মাইক্রো ক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটি সুদ নির্ধারণ করে দেয় এবং তারাই গত কয়েক বছর ধরে ২৪ শতাংশ নির্ধারণ করে দিয়েছে। এর আগে ২৭ শতাংশ করে দিয়েছিল। কাজেই আমরা তাদের উপর কোন চাপ দিতে পারি না। সুতরাং এটা সরকারিভাবে পরিবর্তন করা দরকার।’

এনজিওর মাধ্যমে বিতরণ হওয়া কৃষিঋণের সুদ বেশি, এ বিষয়ে দ্বিমত করছেন না ক্ষুদ্রঋণ নিয়ন্ত্রক সংস্থার এক কর্মকর্তা। তবে বাড়তি সুদের ব্যাখ্যাও দিলেন তিনি।

মাইক্রো ক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটির এক্সিকিউটিভ ভাইস চেয়ারম্যান মো. ফসিউল্লাহ বলেন, ঋণ দেয়ার পাশাপাশি তারা দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য ট্রেনিং দেয় এবং বিভিন্ন ধরনের যোগাযোগ রাখে। সেটার সর্বোচ্চ সুদের হার ২৪ শতাংশ।

চলতি অর্থবছরে ২৮ হাজার ৩৯১ কোটি টাকা কৃষিঋণ বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

ভিডিও-

এএইচ/


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি