ঢাকা, শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪

বাংলাদেশ ক্রিকেট দল

এবার মিশন বিশ্বকাপ

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৫:০৭, ২৪ ডিসেম্বর ২০১৮ | আপডেট: ১৫:১২, ২৪ ডিসেম্বর ২০১৮

বাংলাদেশ ক্রিকেট দল ব্যস্ত একটি বছর শেষ করল। দেড় মাস পর নিউজিল্যান্ড সফরে যাবেন সাকিব-তামিমরা। তাই বলে খুব বেশি দিন বিশ্রামের সুযোগ নেই তাদের সামনে। ৫ জানুয়ারি থেকে ব্যস্ত হয়ে পড়তে হবে বিপিএল নিয়ে।

অবশ্য নতুন বছরের শুরু থেকেই বিশ্বকাপের প্রস্তুতিটাও থাকবে তাদের মাথায়। ৩০ মে বিশ্বকাপ শুরু হলেও বাংলাদেশের প্রথম ম্যাচ ২ জুন দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে।

আসলে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ দিয়েই বিশ্বকাপের দল গোছানো শুরু করে দিয়েছে টাইগার টিম ম্যানেজমেন্ট। দেশের মাটিতে ১৬ জনের স্কোয়াড ঘোষণার সময়ই সে ইঙ্গিত দিয়েছিলেন প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন।

তিনি পরিস্কার করেই বলেছিলেন, ঘরের মাঠের সিরিজে তেরো জনের দল দিলেই পারতেন। কিন্তু স্কোয়াডের সদস্য সংখ্যা বাড়ার পেছনে কারণ আছে। বিশ্বকাপে যাদের সুযোগ পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে তাদের সবাইকে তারা জাতীয় দলে রেখেছেন।

দলের সঙ্গে থাকলে তাদের মানসিক অবস্থা ভালো থাকবে। দল থেকে বাদ পড়লে মানসিক ধাক্কার পাশাপাশি অনুশীলনেও অমনোযোগিতা আসতে পারে। ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ শুরুর আগে অধিনায়ক মাশরাফিও একই কথা বলেছিলেন।

তাই এ সিরিজকে বিশ্বকাপের প্রস্তুতি হিসেবে ধরতে নারাজ ছিলেন তিনি। তার মতে, বিশ্বকাপের প্রস্তুতিটা তারা শুরু করবেন নিউজিল্যান্ড সফর থেকে। বিশ্বকাপের আগামী আসর বসছে ইংল্যান্ডে।

সেখানকার কন্ডিশন ও উইকেটের সঙ্গে নিউজিল্যান্ডের বেশ মিল। ১৩ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হতে যাওয়া দেড় মাসের নিউজিল্যান্ড সফরে তিনটি ওয়ানডের পাশাপাশি থাকছে তিনটি টেস্ট। সেখান থেকে ফিরে মাসখানেকের বিশ্রাম।

বিশ্বকাপের চূড়ান্ত প্রস্তুতি নিতে মে মাসের শুরুতে আয়ারল্যান্ড সফরে যাবে টাইগাররা। সেখানে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও আয়ারল্যান্ডের সঙ্গে একটি ত্রিদেশীয় সিরিজ খেলবে তারা।

সিরিজ শেষে আয়ারল্যান্ড থেকে সরাসরি তারা চলে যাবে ইংল্যান্ড। বাংলাদেশের চূড়ান্ত বিশ্বকাপ ক্যাম্প হবে লেস্টারে। আয়ারল্যান্ডে ত্রিদেশীয় টুর্নামেন্ট ও ইংল্যান্ডে বিশ্বকাপের চূড়ান্ত প্রস্তুতি ক্যাম্প মিলিয়ে প্রায় আড়াই মাসের সফরে ১ মে দেশ ছাড়বে বাংলাদেশ দল।

বিশ্বকাপের জন্য বাংলাদেশ দল গোছানো প্রায় শেষ পর্যায়ে। ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে লিটন দাস ও সৌম্য সরকার রানে ফেরায় টপঅর্ডার নিয়ে অস্বস্তি দূর হয়েছে।

মাশরাফি, সাকিব, মুশফিক, তামিম ও মাহমুদুল্লাহ- এই পাঁচ সিনিয়র ক্রিকেটার তো অটোমেটিক চয়েজ। তাদের সঙ্গে দুই ব্যাটসম্যান ইমরুল কায়েস ও মোহাম্মদ মিঠুনও সুযোগ পেতে পারেন। দুই পেসার মুস্তাফিজুর রহমান ও রুবেল হোসেনের দলে থাকাটাও এক প্রকার নিশ্চিত।

স্পিনে সাকিবের সঙ্গী হিসেবে মেহেদী হাসান মিরাজ ও নাজমুল ইসলাম অপুর থাকাটাও প্রায় নিশ্চিত। সমস্যাটা পেস-অলরাউন্ডার নিয়ে। ইংল্যান্ড বিশ্বকাপের জন্য বাংলাদেশ একজন পেসারকে চাইছে যিনি ছয়-সাত নম্বরে ব্যাটিং করতে পারেন। শুধু এ কারণেই দীর্ঘদিন ধরে আরিফুল হককে সুযোগ দেওয়া হচ্ছে।

কিন্তু প্রত্যাশা মেটাতে পারছেন না তিনি। উইন্ডিজের বিপক্ষে তিনটি টি২০-তেই তাকে সুযোগ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু একটিতেও ভালো খেলতে পারেননি। এর মধ্যে শেষ ম্যাচে তার আউট হওয়ার ধরন ছিল ভীষণ দৃষ্টিকটু।

চোখে লাগার মতো আরও একটি বিষয় হলো, তাকে দিয়ে বোলিং করানোর আস্থাই পাননি অধিনায়ক। যে কারণে তিন ম্যাচে এক ওভারও বোলিং করা হয়নি আরিফুলের।

তিনি প্রত্যাশা মেটাতে ব্যর্থ হওয়ার কারণেই সম্ভবত জিম্বাবুয়ে সিরিজে ফেরানো হয়েছে তরুণ পেস অলরাউন্ডার সাইফউদ্দিনকে। ক্যারিবীয়দের বিপক্ষেও তাকে খেলানো হয়েছে।

এমএইচ/


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি