এরপরও তাঁরা কীভাবে ক্ষমতায় আসার স্বপ্ন দেখে: শেখ হাসিনা
প্রকাশিত : ১৮:৫২, ৩ অক্টোবর ২০১৮
বিএনপির প্রতি ইঙ্গিত করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, যারা সামান্য এতিমের টাকার লোভ সামলাতে পারল না, তারা কিভাবে ক্ষমতায় আসার স্বপ্ন দেখে। তাঁদের জন্য এত মায়াকান্না-ই বা কেন?
আজ বুধবার বিকাল ৪টায় গণভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি। জাতিসংঘ সফরসহ বিভিন্ন উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে অংশগ্রহণ এবং বিশ্বনেতাদের সঙ্গে আলোচনার বিষয়ে গণমাধ্যমকে জানাতে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল আইয়ের বার্তা প্রধান শাইখ সিরাজ প্রশ্ন করেন, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সব দলের অংশগ্রহণ নিয়ে আপনি কতটা আশাবাদী?
জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি আশা করি নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হবে। তারপরও কেউ না এলে এটা তাদের দলীয় সিদ্ধান্ত।
শেখ হাসিনা বলেন, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার আসামিকে তাদের কেবিনেটে স্থান দেওয়া হয়েছিল। এরপরও তারা কিভাবে স্বপ্ন দেখে ক্ষমতায় আসার।
বিএনপির জ্বালাও পোড়াও রাজনীতির কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যারা মানুষ পোড়ানোর খেলা খেলে তাদের জন্য এত মায়াকান্না কেন? যারা সামান্য এতিমের টাকার লোভ সামলাতে পারে না তাদের জন্য এত কান্না কেন? এরা কীভাবে স্বপ্ন দেখে ক্ষমতায় আসার? কীভাবে দেশ চালাবে তারা?
প্রধানমন্ত্রী বলেন, খালেদা জিয়া, তার ছেলে তারেক জিয়া এতিমের টাকা মেরে খেয়েছে। আরো বহু দুর্নীতি করেছে। এফবিআই এসব বিষয়ে সাক্ষী দিতে প্রস্তুত।
২০০৮ সালের ডিজিটাল বাংলাদেশের পরিকল্পনা নিয়ে এসেছিলেন। এবারের নির্বাচনী ইশতেহারে কি থাকছে? উত্তরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এবার আগামী ৮১ বছরের ডেল্টা প্ল্যান করেছি। ২১০০ সালে অর্থাৎ আগামী শতাব্দীতে বাংলাদেশ কেমন হবে সেই পরিকল্পনা করে ফেলেছি।’
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৩তম অধিবেশনে যোগদানের লক্ষ্যে যুক্তরাষ্ট্রে সপ্তাহব্যাপী সরকারি সফর করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সংবাদ সম্মেলনে এ সফরকালে প্রধানমন্ত্রীর বেশ কিছু প্রাপ্তিসহ কয়েকটি দেশের রাষ্ট্র প্রধানদের সঙ্গে বৈঠক ও তার ফলাফল বিস্তারিত তুলে ধরেন।
উল্লেখ্য, শেখ হাসিনা গত ২৭ সেপ্টেম্বর নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দফতরে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৩তম অধিবেশনে ভাষণ দেন এবং জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেসের সঙ্গে বৈঠক করেন।
প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের পাশাপাশি নেদারল্যান্ডসের রানি ম্যাক্সিমা, এস্তোনিয়ার প্রেসিডেন্ট ক্রেস্টি কালজুলেইদ এবং যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেইওর সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন। তিনি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দেয়া সংবর্ধনা সভায়ও যোগ দেন।
প্রধানমন্ত্রী রোহিঙ্গা সংকট, সাইবার নিরাপত্তা, শান্তিরক্ষা কার্যক্রম, নারীর ক্ষমতায়ন, নারী শিক্ষা এবং বৈশ্বিক মাদকদ্রব্য সমস্যা নিয়ে কয়েকটি উচ্চপর্যায়ের অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
/ এআর /
আরও পড়ুন