ঢাকা, শুক্রবার   ০৩ মে ২০২৪

করাচির রাস্তায় বেড়েছে অপরাধ-ডাকাতি, বাড়ছে উদ্বেগ

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৮:৪৯, ১৭ মার্চ ২০২৪

রাস্তা-ঘাটে অপরাধ তীব্র বৃদ্ধি করাচির জনগণের জন্য সর্বশেষ উদ্বেগের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে এখন। বর্তমানে করাচির মানুষ রাস্তায় বের হলে ছিনতাইয়ের শিকার হওয়ার আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে। শুধু রাতেই না, সাম্প্রতিক ডাকাতির ঘটনাও প্রমাণ করে যে, ডাকাতরা এখন প্রকাশ্য দিবালোকেও মানুষের ওপর হামলা ও ডাকাতি করতে পিছপা হচ্ছে না।

নগরীর বিশিষ্ট সাংবাদিক মানজার রিজভীর মতে, এই পরিস্থিতির জন্য একমাত্র দায়ী প্রশাসন। আজকাল ডাকাতদের কাছে অবৈধ অস্ত্র খুব সহজলভ্য। রাস্তায় ডাকাতের পুরো দল রয়েছে যারা অপরাধ এবং ডাকাতির কাজ করে। কখনও তারা নিরীহ মানুষদের ওপর হামলা করছে, কখনো হোটেল-শপিং মলেও ঢুকে পড়ছে।

তিনি বলেন, ডাকাতদের বিরুদ্ধে মানুষ প্রতিরোধ করার চেষ্টা করলে খুনের ঘটনাও ঘটে। ডাকাতির সময় অন্তত ৩৫টি হত্যাকাণ্ডের ঘটনা আমি নিজেও জানি। এসব ঘটনা এখন স্বাভাবিক হয়ে যাচ্ছে বলে মনে হচ্ছে। কারণ এসব অপরাধীরা এখন আর আইনকে ভয় পায় না। মনে হচ্ছে তারা এখন নিশ্চিত যে তাদের বিরুদ্ধে কেউ দাঁড়াবে না। তারা পুলিশকেও ভয় পায় না, কারণ ধরা পড়লেও কিছু সময়ের মধ্যে তারা মুক্তি পেয়ে যায়। বর্তমানে গোটা শহর অরাজকতায় বিপর্যস্ত বলে মনে হচ্ছে।

বিচার ব্যবস্থা নিয়ে রিজভী আরও বলেন, পুলিশ অপরাধীদের বিরুদ্ধে কিছু ব্যবস্থা নিলেও শুধু ছোটখাটো অপরাধীরাই গ্রেপ্তার বা নিহত হয়। তারা কেবল কর্তৃপক্ষকে ঘুষ দেয় বা কোনও শাস্তি থেকে মুক্ত থাকার জন্য একটি ফাঁকফোকর খুঁজে। আর যখনই তারা কিছু সময়ের জন্য গ্রেপ্তার হয়, তারা মুক্ত হওয়ার পরে অপরাধের জীবন পুনরায় শুরু করে। আদালত, পুলিশ ও বিচার ব্যবস্থাকে এখন বুঝতে হবে যে, এসব অপরাধীদের শাস্তি দেয়াই এ ধরনের সমস্যা থেকে পরিত্রাণের একমাত্র উপায়।

করাচির আরেক নাগরিক জানি সুমরো বলেন, রাস্তায় অপরাধের ঘটনা বৃদ্ধির সবচেয়ে বড় কারণ বেকারত্ব। এই ধরনের অপরাধ বৃদ্ধির আরেকটি কারণ হল যুবকদের মধ্যে মাদকের জনপ্রিয়তা, যা আবার কোথাও বেকারত্বের সাথে সম্পর্কিত। এসবই একটি চক্র এবং আজ অবধি তা অব্যাহত রয়েছে। একদিকে বেকারত্ব, অন্যদিকে অরাজকতা। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে ঘুষের বিনিময়ে এ ধরনের অপরাধীদের পুলিশ যে সহায়তা দিয়ে থাকে।

নিরাপত্তা জোরদার করা হলে এসব অপরাধ কমবে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে সুমরো জোর দিয়ে বলেন, আপনারা নিরাপত্তা জোরদার করতে পারেন, কিন্তু যতক্ষণ না আইন প্রয়োগকারী সংস্থা অপরাধীদের আশ্রয় দিচ্ছে, ততক্ষণ কোনো উন্নতি হবে না। এদিকে, সামি নামে আরেক নাগরিকও রাস্তায় অপরাধ বৃদ্ধির জন্য মুদ্রাস্ফীতি এবং মূল্যবৃদ্ধিকে দায়ী করেছেন।

কেআই//


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি