ঢাকা, রবিবার   ২৮ এপ্রিল ২০২৪

কাদেরকে দেখে দেবী শেঠি যা বলেন

প্রকাশিত : ২০:০০, ৪ মার্চ ২০১৯

ভারতের প্রখ্যাত হৃদরোগ চিকিৎসক ডা. দেবী শেঠির পরামর্শে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন মন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। ভারতের প্রখ্যাত হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ দেবী শেঠি কাদেরকে হাসপাতালে দেখার পরেই এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

দেবী শেঠি কাদেরকে দেখার কিছুক্ষণ পরেই অ্যাম্বুলেন্সে করে বিমানবন্দরের দিকে রওনা হয়। সেখান তাকে সিঙ্গাপুরে নেওয়ার জন্য গতকাল থেকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স প্রস্তুত ছিল।

আজ ঢাকায় এসে দেবী শেঠি বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে দেখতে যান।

সেখানে গিয়ে তিনি কাদেরকে দেখেন এবং সব কাগজপত্র পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেন। এরপর বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য কনক কান্তি বড়ুয়া এবং সে হাসপাতালের কার্ডিওলজি বিভাগের প্রধান একটি সংবাদ সম্মেলন করেন।

তবে সে সংবাদ সম্মেলনে ডা. দেবী শেঠি উপস্থিত ছিলেন না। ডা. দেবী শেঠিকে উদ্ধৃত করে বড়ুয়া বলেন, ঢাকার হৃদরোগ বিশেষজ্ঞরা যা করেছে সেটি খুবই চমৎকার।

ওবায়দুল কাদেরের স্ত্রী এ সময় উপস্থিত ছিলেন। তিনি বলেন, ইওর হাজব্যান্ড ইজ লাকি (আপনার স্বামী সৌভাগ্যবান)।... ইউরোপ-আমেরিকাতেও এর চেয়ে বেশি কিছু করার নাই।

দেবী শেঠিকে বাংলাদেশে আনার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগ্রহ প্রকাশ করেছিলেন বলে জানান বঙ্গবন্ধু মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য কনক কান্তি বড়ুয়া। দুপুর একটার দিকে দেবী শেঠি ঢাকায় এসে পৌঁছেন।

ডিসেম্বরেও একবার হার্ট অ্যাটাক হয়েছিল ওবায়দুল কাদেরের বলে জানা গেছে। বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বলেছেন, ওবায়দুল কাদেরের ডায়াবেটিস ছিল অনিয়ন্ত্রিত। কাদেরের এর আগেও হার্ট অ্যাটাক হয়েছিল বলে জানান ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া।

ওনাকে স্ট্যান্টিং করার জন্য আগেও পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল। গত ২০ ডিসেম্বর আমার এখানে আসার পর আমি একটা মেডিকেল বোর্ড করে ওনাকে পরামর্শ দেই। আমার মেডিকেল বোর্ড বলেছে, আপনি এখানে ভর্তিই থাকেন। কিন্তু স্বাভাবিকভাবেই ইলেকশন ৩০ তারিখে। উনি বললেন যে ইলেকশনের পর পরেই এসে উনি ভর্তি হবেন।

তারপরেও ওনার সঙ্গে দেখা হলে ওনাকে রিকোয়েস্ট করেছিলাম আমরা। কিন্তু উনি বলছেন, আমি তো ভালো আছি, সুস্থ আছি। ঠিক আছে এক সময় আসবো।

রোববার ভোরে ঢাকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছিলেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের এই নেতা এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী। এরপর সেখানে আইসিইউতে চিকিৎসা দিতে দিতেই তার একটি হার্ট অ্যাটাক হয়। তারপর এনজিওগ্রাম করে দেখা যায়, তার হৃদযন্ত্রে তিনটি ব্লক রয়েছে, যার একটিতে স্টেন্টিং করে দেওয়া হয়।

তাঁর হৃদযন্ত্রে তিনটি ব্লক ধরা পড়েছে। চিকিৎসকেরা গতকাল জরুরি ভিত্তিতে একটি অপসারণ করেছেন। এখন আরও দুইটি ব্লক রয়েছে বলে হাসপাতাল থেকে জানানো হয়েছে।

চিকিৎসকেরা বলেছেন, ব্লকগুলো সম্পূর্ণ অপসারণের জন্য বড় অপারেশনের দিকে যেতে হতে পারে। কাদের ২০১৬ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ২০ তম জাতীয় সম্মেলনে দলের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন।

তথ্যসূত্র: বিবিসি।

এসএইচ/


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি