ঢাকা, মঙ্গলবার   ০৭ মে ২০২৪

কাবুল শহরজুড়ে তল্লাশি চৌকি বসিয়েছে তালেবানরা

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১২:৫৫, ১৮ আগস্ট ২০২১ | আপডেট: ১২:৫৬, ১৮ আগস্ট ২০২১

আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলের নিয়ন্ত্রণ নেয়ার পর শহরজুড়ে তল্লাশি চৌকি বসিয়েছে তালেবানরা। পুরো শহরের নিয়ন্ত্রণ এখন তাদের হাতে। এমনকি বিমানবন্দরে প্রবেশের সবগুলো মুখেই তাদের পাহারা রয়েছে। এ খবর বিবিসি’র।

ফলে যেসব আফগান দেশ ছাড়তে চান, তাদের এসব তল্লাশি চৌকি পার হয়ে যেতে হচ্ছে। তবে শহরের রাস্তাঘাট ফাঁকা, খুব একটা গাড়ি চলাচল করতে দেখা যাচ্ছে না। মানুষজন ভীত এবং যেকোনো সময় কিছু একটা ঘটে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন তারা। তাই সবাই ঘরের ভেতরেই থাকছেন।

বিবিসি সংবাদদাতা মালিক মুদাচ্ছের জানিয়েছেন, ‘শহরের নিরাপত্তার দায়িত্ব নিয়েছে তালেবানরা, এমনকি যান চলাচল ব্যবস্থারও। তাদের সব জায়গায় দেখা যাচ্ছে, প্রতিটা মোড়ে তারা দাঁড়িয়ে রয়েছে। তারা যে শহরের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে, সেটা তারা নিশ্চিত করছে।’

তালেবান সদস্যরা জানিয়েছেন, তারা শহরের শৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব পালন করছে।

এদিকে, ক্ষমতা পাকাপোক্ত করতে মোল্লা আবদুল গনি বারাদারসহ তালেবানের শীর্ষ নেতারা আজ রাজধানী কাবুলে পৌঁছবেন বলে জানা যাচ্ছে। এরই মধ্যে মধ্যম সারির তালেবান নেতারা নতুন সরকার গঠন নিয়ে আগের সরকারের রাজনৈতিকদের সঙ্গে আলোচনা করে যাচ্ছেন।

মঙ্গলবার কান্দাহারে ফিরেন তালেবানের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা এবং জ্যেষ্ঠ নেতা মোল্লাহ আবদুল গানি বারাদার। তিনি তালেবানের রাজনৈতিক কার্যালয়েরও প্রধান। এটা পরিষ্কার নয় যে, তিনি কোন দেশে থেকে ফিরেছেন। 

কান্দাহার শহরটি তালেবানের আধ্যাত্মিক জন্মস্থান। ২০০১ সালে মার্কিন নেতৃত্বাধীন জোট বাহিনী তাদের বিতাড়িত করার আগে পর্যন্ত এই শহরটি ছিল তাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ঘাঁটি।

তালেবানরা সরকার গঠনের দিকে এগিয়ে গেলেও দেশটির অর্থনীতি নিয়ে ভিন্ন কথা বলছেন পালিয়ে যাওয়া  আফগানিস্তানের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর আজমল আহমাদে। তিনি বিবিসিকে বলেছেন, তার ধারণা তালেবানের শাসনে আগামী দিনগুলোতে দেশের বিপর্যস্ত অর্থনৈতিক অবস্থা আরও খারাপ হবে। কারণ দাতা সহায়তা বন্ধ হয়ে যাবে।

তিনি বলছেন, বিদেশি সহায়তা কমে যাওয়ার কারণেই দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা বিপর্যস্ত হয়েছে, মূল্যস্ফীতি আর দারিদ্র বেড়েছে।

এএইচ/


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি