ঢাকা, শনিবার   ০৩ মে ২০২৫

ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ

কোটার সংস্কার চেয়েছি, বাতিল নয়

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১২:৪৭, ৭ অক্টোবর ২০১৮ | আপডেট: ১২:৫০, ৭ অক্টোবর ২০১৮

Ekushey Television Ltd.

প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণীর সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতির সংস্কার না করে বাতিলের ফলে যে পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে তাঁর দায় সরকারকেই নিতে হবে। আমরা কোটার সংস্কার চেয়েছি, বিলুপ্তি নয়। এছাড়া সরকারি চাকরিতে কোনো বিশেষ নিয়োগ দেওয়া যাবে না।

আজ রোববার কোটা বাতিলের প্রজ্ঞাপন জারির পর আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়ায় এসব কথা বলেন কোটা সংস্কার আন্দোলনের প্লাটফর্ম সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেবির সামনে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য রাখেন সংগঠনের আহবায়ক হাসান আল মামুন। তিনি বলেন, আমরা সব সাধারণ ছাত্রসমাজের প্রতিনিধিত্ব করি, তাই আমরা সব সময় পাঁচ দফার আলোকে কোটা পদ্ধতির সংস্কার চেয়েছি। আমরা কখনোই কোটার বাতিল চাইনি। তাই এ বাতিলের কারণে উদ্ভূত সমস্যার দায়ভার সরকারকেই নিতে হবে। এ ছাড়া সরকারি চাকরিতে কোনো বিশেষ নিয়োগ দেওয়া যাবে না। বিশেষ নিয়োগ ছাত্রসমাজ মেনে নেবে না। সেইসঙ্গে তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণিতেও কোটার যৌক্তিক সংস্কার করতে হবে।

লিখিত বক্তব্যে হাসান আল মামুন আরো বলেন, বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ গত ১৭ ফেব্রুয়ারি থেকে সব সরকারি চাকরিতে পাঁচ দফার আলোকে কোটা পদ্ধতির সংস্কারের জন্য শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করে আসছিল। আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে সরকার কোটা সংস্কার না করে কোটা বাতিল করে পরিপত্র জারি করেছে।

প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে কোটা বাতিলের ফলে যে সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে, তার দায়ভার সরকারকেই নিতে হবে।

এসময় তিনি কোটা আন্দোলনে গ্রেফতার হওয়া সব শিক্ষার্থীর মুক্তি দাবি করেন। এবং যেসব মামলা হয়েছে সেগুলো প্রত্যাহারের দাবি জানান।

সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের যুগ্ম আহ্বায়ক নুরুল হক নুর, ফারুক হোসেন, আতাউল্লাহ, জসিম উদ্দিন আকাশ, মশিউর রহমানসহ কেন্দ্রীয় কমিটির নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

প্রসঙ্গত, সরকারি চাকরিতে প্রবেশে নবম থেকে ১৩তম গ্রেড পর্যন্ত অর্থাৎ প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির পদে কোটা পদ্ধতি না রাখার প্রস্তাব মন্ত্রিসভা অনুমোদন দিয়েছে। গত বুধবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়। এর একদিন পর বৃহস্পতিবার কোটা বাতিলের প্রজ্ঞাপন জারি করে সরকার। ওই দিন থেকেই মুক্তিযোদ্ধা ও উপজাতি কোটা বহাল রাখার দাবিতে শাহবাগে আন্দোলন করছে মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ড ও আদিবাসী ফোরাম।

/ এআর /


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি