ঢাকা, শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪

খালেদা জিয়ার মেডিকেল রিপোর্টে যা লেখা আছে

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৪:১১, ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২০

জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় দণ্ডিত বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সবশেষ স্বাস্থ্যগত অবস্থার প্রতিবেদন হাইকোর্ট বেঞ্চে দাখিল করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার সকালে বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি একেএম জহিরুল হকের ডিভিশন বেঞ্চে এ প্রতিবেদন নিয়ে আসেন সুপ্রিমকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল মো. আলী আকবর। এর পরই রিপোর্টটি আদালতে পড়ে শোনান বেঞ্চের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি ওবায়দুল হাসান।

ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, খালেদা জিয়া ডায়াবেটিস, হাইপারটেনশন, অ্যাজমা, বাতজ্বর ও কাশিসহ ব্যাক পেইনে ভুগছেন। তাকে অ্যাডভ্যান্সড ট্রিটমেন্ট দেয়ার বিষয়ে তার মতামত জানতে চেয়েছিল সাত সদস্যের মেডিকেল বোর্ড। কিন্তু তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) উন্নত চিকিৎসা গ্রহণের বিষয়ে সম্মতি দেননি।

রিপোর্ট উপস্থাপনের পর খালেদা জিয়ার আইনজীবী ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ আদালতকে বলেন, খালেদা জিয়া কেন অ্যাডভ্যান্সড ট্রিটমেন্টের সম্মতি দেননি সেটি জানা দরকার। হয়তো এই ট্রিটমেন্ট গ্রহণে তার জীবন শঙ্কায় পড়তে পারে। এই দিক বিবেচনায় হয়তো তিনি অনুমতি দেননি।

খালেদা জিয়ার আরেক আইনজীবী জয়নুল আবেদীন বলেন, আমাদের আইনজীবীদের মধ্যে এ বিষয়টি নিয়ে পরামর্শ করা দরকার।

আদালত বলেন, আপনারা মেডিকেল রিপোর্ট চেয়েছিলেন, আমরা সেই রিপোর্ট তলব করেছি। রিপোর্ট আদালতে এসেছে। এখন ওই রিপোর্টের ওপর ভিত্তি করে আমরা পরবর্তী আদেশ দেব। জবাবে জয়নুল আবেদীন বলেন, আমাদের একটি সম্পূরক আবেদন রয়েছে। আমরা আবেদনটি আপনার আদালতে দিতে চাই।

এ পর্যায়ে আদালত বলেন, ‘কোনো আবেদন নেয়া হবে না। আমরা আজকেই আদেশ দেব।’

তখন জয়নুল আবেদীন বলেন, ‘আমাদের সম্পূরক আবেদনটি দিতে দেন। তারপর শুনে আদেশ দেন। আমাদের কোনো আপত্তি নেই।’

এরপর রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম দাঁড়িয়ে বলেন, খালেদা জিয়ার এই রোগগুলো দীর্ঘদিন ধরেই আছে। যখন কোনো বন্দি কারাগারে থাকেন, তখন সরকারেরও তার বিষয়ে উদ্বেগ থাকে। এ পর্যায়ে কোনো সম্পূরক আবেদন দেয়ারও সুযোগ নেই।

পরে আদালত শুনানি বেলা ২টা পর্যন্ত মূলতবি ঘোষণা করেন।


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি