খালেদের বিরুদ্ধে ৪ মামলা
প্রকাশিত : ২০:৩৯, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯ | আপডেট: ২০:৪২, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯
রাজধানীর ফকিরাপুলে ইয়ংমেনস ক্লাবে ক্যাসিনো চালানোর ঘটনায় গ্রেপ্তার যুবলীগ নেতা খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়ার বিরুদ্ধে চারটি মামলা করা হয়েছে। এরমধ্যে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)-৩-এর ওয়ারেন্ট অফিসার গোলাম মোস্তফা বাদী হয়ে গুলশান থানায় অস্ত্র, মাদক ও মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে তিনটি মামলা দায়ের করেন। আর মতিঝিলি থানায় মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা করেন র্যাবের ওয়ারেন্ট অফিসার চাইলা প্রু মার্মা।
এ বিষয়ে গুলশান থানার ডিসি সুদীপ চক্রবর্তী জানান, খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়াকে গুলশান থেকে আটক করে র্যাব। বৃহস্পতিবার দুপুরে তাকে গুলশান থানায় হাজির করা হয়। তার বিরুদ্ধে গুলশান থানায় অস্ত্র, মাদক ও মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে আলাদা ৩টি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, বুধবার খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়ার বাসায় অভিযান চালিয়ে ১টি শটগান, দু’টি পিস্তল, শটগানের ৫৭ রাউন্ড গুলি ও ৭.৬৫ এমএম-এর ৫৩ রাউন্ড গুলি জব্দ করা হয়। এছাড়া, ৫৮৫ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট ও ১০ লাখেরও বেশি দেশি নগদ টাকা ও ৭ লাখের বেশি বিভিন্ন দেশের মুদ্রা জব্দ করা হয়। তিনটি আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্সের মেয়াদ ২০১৭ সালে শেষ হয়ে গেছে বলেও তিনি জানান।
সুদীপ চক্রবর্তী বলেন, ‘আমরা অস্ত্র ও মাদক আইনে দায়ের করা দু’টি মামলায় খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়াকে গ্রেফতার দেখিয়ে ৭ দিন করে ১৪ দিনের রিমান্ডের আবেদন চেয়ে আদালতে পাঠিয়েছি। আর মানিলন্ডারিং আইনে করা মামলাটি শিডিউল অনুযায়ী পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) তদন্ত করবে। তাদের কাছে ওই মামলার কাগজপত্র পাঠিয়ে দেওয়া হবে।’
সূত্র থেকে জানা যায়, বুধবার সন্ধ্যায় গুলশান-২ এর নিজ বাসা থেকে খালেদ মাহমুদকে আটক করার পর রাতভর জিজ্ঞাসাবাদে মতিঝিলের ক্যাসিনো পরিচালনার বিষয়টি মতিঝিল থানা পুলিশ, মতিঝিল জোন, পুলিশ সদর দফতর ও ডিএমপি সদর দফতরের কর্মকর্তারা জানতেন বলে দাবি করেন খালেদ। তবে পুলিশের সঙ্গে ক্যাসিনো পরিচালনার জন্য কোনো আর্থিক লেনদেনের বিষয়ে সুস্পষ্টভাবে কিছু বলেননি তিনি।
এসি
আরও পড়ুন