ঢাকা, শুক্রবার   ১৬ মে ২০২৫

গারো আদিবাসীদের চর্চার অভাবে বিপন্ন হতে বসেছে নিজস্ব সাংস্কৃতিক কর্মকান্ড

প্রকাশিত : ১২:২৬, ৮ অক্টোবর ২০১৬ | আপডেট: ১২:২৬, ৮ অক্টোবর ২০১৬

Ekushey Television Ltd.

কাজের সন্ধানে, নিজ গোষ্ঠী ছেড়ে রাজধানী ঢাকাসহ বড় বড় শহরগুলোতে পাড়ি জমাচ্ছে গারো আদিবাসীরা। এতে, তাদের আর্থিক অবস্থার পরিবর্তন হচ্ছে, কিন্তু যথাযথ চর্চার অভাবে বিপন্ন হতে বসেছে নিজস্ব সাংস্কৃতিক কর্মকান্ড। পর্যাপ্ত কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করে আদি এই জাতিকে বাঁচানোর দাবী গারো সম্প্রদায়ের। মেঘালয় পাহাড়ের কোল ঘেষা, ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটের চর-বাঙ্গালীয়া এ গারো পল্লী। আদি এই জনগোষ্ঠীর রয়েছে সমৃদ্ধ সংস্কৃতিক ঐতিহ্য। হাজার বছর ধরে তারই ধারাবাহিক চর্চা করে আসছে তারা। গারোদের নিজস্ব ভাষা আছে, ঠিকই, কিন্তু লেখার নেই কোন লিপি। আর তাই বাংলা অথবা রোমান হরফই ভরসা তাদের। এছাড়া গারোদের পরিবার ব্যবস্থা মাতৃতান্ত্রিক। বিয়ের পর, বরকে কনের বাড়িতে, চলে যাওয়ার চিরায়ত প্রথা এখন খুব একটা দেখা যায় না। কে-কার বাড়িতে যাবে, তার সিদ্ধান্ত আসে দুই পরিবারের পারিবারিক বৈঠকে। পুরুষ কিংবা নারী উভয়ই কর্মঠ। জীবন-জীবিকা নির্বাহের তাগিদে ঘরে-বাইরে কঠোর পরিশ্রম করে তারা। কিন্তু এখন শুধু কাজের সন্ধানে আদি পেশা কৃষি কাজ ছেড়ে পাড়ি জমাচ্ছে ঢাকা-সহ বিভিন্ন শহরে। অন্যদিকে, চর্চা না থাকায় হুমকির মুখে গারোদের সাংস্কৃতিক কর্মকান্ড। তাই, আদি এই জাতিগোষ্ঠীকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন নিজ এলাকায় কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা। পাহাড়ি আদিবাসীদের কল্যানে মন্ত্রণালয় থাকলেও সমতলের আদিবাসীরা তার সুবিধা খুব একটা পাচ্ছে না। তাই যত দ্রুত সম্ভব একটি নীতিমালা প্রণয়নের দাবি সংশ্লিষ্টদের। গারো আদিবাসীদের সার্বিক উন্নয়নে সরকারের বিশেষ পদক্ষেপ প্রয়োজন বলেও মনে করছেন তারা।
Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি