ঘুর্ণিঝড় মোরায় নিহত ৮,নিখোঁজ ৭১, ঘরবাড়ি ভেঙ্গে অনেকেই অসহায়
প্রকাশিত : ১১:২৫, ৩১ মে ২০১৭ | আপডেট: ১৩:৪৯, ৩১ মে ২০১৭

ঘুর্ণিঝড় মোরার ক্ষত মুছতে সময় লাগবে। ঘরবাড়ি ভেঙ্গে অনেকেই এখন অসহায়। এরই মধ্যে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাড়িয়েছে ৮ জনে। বঙ্গোপসাগরে কমপক্ষে ৭১ জন মাঝি এখনো নিখোঁজ রয়েছে। ঝড়ের তান্ডবে সবচে ক্ষতির মুখে পড়েছে কক্সবাজার জেলা। স্থানীয় প্রশাসনের হিসেব অনুযায়ী কক্সবাজারের বিভিন্ন উপজেলায় প্রায় ২০ হাজারের বেশি কাঁচা ঘরবাড়ি ও গাছপালা বিধ্বস্ত হয়েছে। এছাড়া চট্টগ্রামের কয়েকটি উপজেলায়ও ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
মহাবিদপের সংকেত দিলেও শেষ পর্যন্ত স্থলভাগে এসে কমতে শুরু করে প্রবল ঘূর্ণিঝড় মোরার শক্তি। শক্তি কমলেও তান্ডবের কমতি ছিলোনা মোরার। তান্ডব শেষে উপকূলের এলাকাগুলোতে ক্ষয়ক্ষতির চিত্র স্পষ্ট হতে শুরু করে।
মোরায় অন্তত ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। চকরিয়ায় ও কক্সবাজারে গাছচাপা পড়ে নিহত হয়েছে চারজন। এছাড়া উপকূলীয় এলাকায় আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার পথে ও কেন্দ্রে অসুস্থ হয়ে তিনজন এবং সাগরে ডুবে একজনের মৃত্যু হয়েছে।
স্থানীয় প্রশাসনের হিসেবে শুধু কক্সবাজারেই মোরার আঘাতে বিধ্বস্ত হয়েছে ২০ হাজারেরও বেশি কাঁচা বাড়িঘর। ভেঙ্গে পড়েছে অসংখ্য গাছপালা। ছয়টি মাছ ধরার ট্রলারসহ বঙ্গোপসাগরে নিখোঁজ অন্তত ৭১ জন মাঝি।
মোরার প্রভাবে সেন্টমার্টিন, মহেশখালী, মাতারবাড়ি ও কুতুবদিয়ায় গাছপালা উপরে যাওয়ায় বহুস্থানে এখনো বন্ধ রয়েছে সড়ক যোগাযোগ। বান্দরবানে বিভিন্ন জায়গায় বিদ্যুৎ লাইনে গাছ ভেঙ্গে পড়ায় বিচ্ছিন্ন রয়েছে বিদ্যুৎ সংযোগ।
ঘূর্ণিঝড় মোরা উপকূল অতিক্রম করার পর আবার শুরু হয়েছে চট্টগ্রাম বন্দরের কার্যক্রম। শুরু হয়ে গেছে বন্দরের জেটিতে আগে থেকে নামানো পণ্যের ডেলিভারি। তবে বহির্নোঙরে থাকা জাহাজগুলো জেটিতে না ভেরায় পণ্য ওঠানামা এখনো শুরু হয়নি।
প্রায় ৩৬ ঘন্টা পর, মঙ্গলবার বিকাল ৫টার দিকে মংলা বন্দর থেকে আন্তর্জাতিক নৌরুটসহ আভ্যন্তরীন রুটে নৌযান চলাচল আবার শুরু হয়েছে।
এদিকে স্থানীয় প্রশাসনের মাধ্যমে মোরার প্রকৃত ক্ষয়ক্ষতি নিরুপণের কাজ চলছে। আর দুর্যোগ পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবেলায় এরইমধ্যে সরকারের পক্ষ থেকে বরাদ্দ করা ১ কোটি ৮৭ লাখ টাকা উপকূলের ১৫টি জেলায় পৌঁছে দেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন